সহিংসতায় না জড়ানোর সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর নাসিরনগরে
আমরা ধর্ম বর্ণ ও রাজনৈতিক মতামতের ভিত্তিতে কোনো রকম ঘৃনা ও হানাহানিতে জড়াব না-ড: বদিউল আলম মজুমদার
সহিংসতায় জড়িত হবেননা তারা আর । একে অপরকে মর্যাদা দেবেন,অদূর ভবিষৎতে যাই ঘটুক তা সকলে মিলে মোকাবেলা করবেন। এমন আরো অনেক আচরন বিধিতে স্বাক্ষর করলেন নাসিরনগরের স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ। আর সবাই হাত উচিয়ে সুখে শান্তিতে সম্প্রতির সঙ্গে বসবাস করবেন বলে অঙ্গীকার করলেন। তারা নির্বাচনী আচরন বিধি মেনে চলারও অঙ্গীকার করলেন।
সহিংসতা প্রতিরোধ ও শান্তি -সম্প্রতির লক্ষ্যে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সাথে আচরণবিধি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানটির আয়োজক দি হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশ।
গতকাল সোমবার বিকেলে উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের হরিণবেড় বাজার প্রাঙ্গণে এই স্বাক্ষর অনুষ্ঠানটি হয়। হরিপুর ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দ্বীন ইসলামের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন সু শাসনের জন্য নাগরিক সুজনের সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার।
বিশেষ অতিথি ছিলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান তাসলিমা সুলতানা খানম নিশাত, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক বিজয় দাস, বিএনপির সভাপতি তিতন আলী ফকির, অনুতোষ দাস, পুরোহিত সবুজ চক্রবর্তী, হরিপুর সুন্নি দাখিল মাদরাসার প্রধান শিক্ষক ইমাম মো. সেহরাব হোসেন, দি হাঙ্গার প্রজেক্টের প্রকল্প ব্যবস্থাপক সৈকত শুভ্র আইচ মনন প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বদিউল আলম মজুমদার বলেন, আমরা সবাই মিলে শান্তিতে সম্প্রতির সাথে বসবাস করব। আমরা একটা ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র চাই। আমরা একে অপরের প্রতি সহমর্মিতা ও শ্রদ্ধা প্রদর্শণ করব। আমরা ধর্ম বর্ণ ও রাজনৈতিক মতামতের ভিত্তিতে কোনো রকম ঘৃনা ও হানাহানিতে জড়াব না। আওয়ামীলীগ ও বিএনপির নেতারা হানাহানি দ্বন্ধ বন্ধের জন্য সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেছেন। শান্তির চুক্তিতে স্বাক্ষর করে তাঁরা অঙ্গীকার করেছেন। এটা একটা ঐতিহাসিক কাজ। তিনি বলেন, নাসিরনগরে এখানে যা হয়েছে তা ভুল হয়েছে।