সরাইলে পুর্ব বিরোধের জের ধরে ফের সংর্ঘষ , নারী পুরুষসহ আহত ৩০
মোহাম্মদ মাসুদ, সরাইল ॥ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে পুর্ব বিরোধের জের ধরে সংর্ঘষ । নারী পুরুষসহ আহত হয়েছেন ৩০ জন। আহতদের মধ্যে ২ জনকে সরাইল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে । ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের কাঠানিশার উত্তর পাড়া এলাকায় ।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, আজ বুধবার (২৯ এপ্রিল)সকাল ৬টায় কাঠানিশার বর্তমান ইউপি সদস্য মিজান মিয়া ও ইয়াছিন মুন্সির বাড়ির লোক জনের মধ্যে এ সংর্ঘষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের লোকজন আহত হয় । কিছু দিন যাবত উভয় পক্ষের লোকজনদের মধ্যে মসজিদে যাওয়া কে কেন্দ্র করে বাকবিতন্ডা হয় । ইউপি চেয়ারম্যন মো. কাজল চৌধুরী সালিস সভা করে । এতে উভয় পক্ষের লোকজনের মধ্যে আরো বিরোধ সৃষ্টি হয় ।
আজ সকালে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মিজান মেম্বার তার লোকজন নিয়ে ইয়াছিন মুন্সির বাড়ির লোকজনের উপর হামলা করে । বাড়ি ঘর , দোকানপাট, বাড়ির দেয়াল ভাংচুর করে । এতে উভয় পক্ষের নারী পুরুষ আহত হয় । এসময় উভয় পক্ষের মধ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।এতে আহত হয় শিরিনা আক্তার (৩০), সাকিলা (১৬), আরিজ মিয়া (২৪), মো. নাজির মিয়া (২৭), মো. মনির খা (৩০), তারা সরাইল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে চলে যায়। গুরুতর আহত মো. মুছা মিয়া (৫৫), রিনা বেগম (৪০) কে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মনসুর আহমেদ জানায়, সকালে ইউপি সদস্য মিজান মিয়া তাদের দু‘শতাধিক লোক নিয়ে আমাদের উপরে অতর্কিত হামলা চালায়, আমাদের বাড়ি ঘর ভাংচুর ও লুটপাঠ করে। তাদের অত্যাচারে আমরা অতিষ্ট ।
ইউপি সদস্য মিজান মেম্বারের ভাই জাবেদ বলেন, কিছুদিন যাবত তাদের এলাকার লোকজন আমাদের মসজিদে নামাজ পড়তে আসেনা এই বিষয়ে তাদের সঙ্গে বাকবিতন্ডা হলে তারা আমাদের উপর হামলা করে ।
পরে সরাইল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
গত ২৭ র্মাচ এ দু‘পক্ষের মধ্যে ডোবার পানি সেচ দেয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ হয়েছিল। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়।