Main Menu

নবীনগরে মাদক সম্রাট লিটন দেবের খুটির জোর কোথায়?

+100%-

মিঠু সূত্রধর পলাশ,নবীনগর প্রতিনিধি: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর পৌর এলাকার মাদক ব্যবসায়ী লিটন দেব এলাকায় মাদকের সম্রাট হিসেবেই পরিচিত। নবীনগর পৌর এলাকায় ৪নং ওয়ার্ডের হরিসভা মন্দিরের পাশে এই মাদক সম্রাটের নিজ বাড়ি ও মাদক সরবারহের আস্তানা। পুলিশ অসংখ্যবার মাদক বেচাকেনা করার সময় হাতে নাতে লিটন দেব ও তার পরিবারকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে।অদৃশ্য এক শেল্টারে জেল থেকে সে ছাড়া পেয়ে আবারো শুরু করেন মাদক কারবারি।
নবীনগর থানা সূত্রে জানা যায়, মাদক সম্রাট লিটন দেবকে অসংখ্য বার মাদক সহ আটক করা হয়েছে। তার বিরোদ্ধে ডরজন খানেক মাদকের মামলা চলমান রয়েছে নবীনগর থানায়। ধারনা করা হয় নবীনগরের বাইরেও তার বিরোদ্ধে মাদকের মামলা থাকতে পারে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মাদক সম্রাট লিটন দেব এক সময় নবীনগর বাজারের পান বিক্রেতা ছিলেন। পান বেঁচে যে টাকা আয় হয় তা দিয়ে তার হচ্ছিল না। তাই সে বেশি লাভের আশায় মাদক বেঁচা কেনা শুরু করেন। আরো বেশি লাভের আশায় অদৃশ্য একটি মহলের শেল্টারে সে বড় ধরণের মাদক কারবারি শুরু করেন। হয়ে উঠেন নবীনগরের মাদকের সম্রাট ।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়,অসংখ্যবার সে মাদক সহ ধরা পরলেও তাকে যারা পরিচালনা করে তারা থেকে যায় ধরা ছোঁয়ার বাইরেই। হাজত থেকে ছাড়া পাওয়ার পর পরই সে আবার মাদকের ব্যবসার সাথে জরিয়ে পরেন। তাকে এলাকার কেউ কিছু বলতে পারেনা।কেউ কিছু বললে সে তাকে দা নিয়ে মারতে যায়। এমনিই একটি ভিডিও ফেইসবুকেও বাইরাল হতে দেখা গেছে।
স্থানীয়রা জানান,গত সোমবার (২৭/০৪) দুপুরে পৌরএলাকার হরিসভা মন্দিরের সাথে অবস্থীত তিতাস নদীর ঘাটে লিটন দেবের এক বস্তা চোলাই মদ ধরেন এলাকাবাসী। পরে সেই চোলাই মদ ড্রেইনে ফেলে বিনষ্ট করেন এলাকাবাসী। এসময় উপস্থিত ছিলেন নবীনগর বাজার কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মো.জয়নাল মিয়া,সুরুজ মিয়া, কাঠ ব্যবসায়ী আমজাদ মিয়া সহ আরো অনেকেই।
সকল অভিযোগ অস্বীকার করে লিটন দেব জানান, আমি অনেক আগে মাদক বেচাকেনা করতাম। এখন আমি এলাকায় একটি দোকন নিয়ে মুদি মালের ব্যবসা করি।
নবীনগর থানার ওসি রনোজিত রায় জানান, লিটন দেব কে অসংখ্য বার মাদক সহ আটক করা হয়েছে। তার রিরুদ্ধে অনেক মামলা চলমান রয়েছে।তার বাড়িতে প্রায়ই আমরা অভিযান চালাই।






Shares