Main Menu

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৩৭ লাখ টাকা ছিনতাই: ২ জন গ্রেপ্তার

+100%-

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ব্যবসায়ী ফজলুল হকের কাছ থেকে প্রায় ৩৭ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় হোতাসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) ভোরে নরসিংদী জেলার ব্রাহ্মণদী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার দক্ষিণ পৈরতলা এলাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তাররা হলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার পূর্ব মেড্ডার হাবিবুর রহমানের ছেলে এনায়েত উল্লাহ ও দক্ষিণ পৈরতলার রশিদ মিয়ার ছেলে আকাশ মিয়া। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বুধবার (২৭ মার্চ) সকাল ১০টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার পাইকপাড়া জামে মসজিদ এলাকা থেকে ট্রাভেল এজেন্সির ব্যবসায়ী ফজলুল হককে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে জোর করে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। পরে তাকে মারধর করে তার কাছ থেকে ৩৫ লাখ ৭৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে শহরের পীরবাড়ি এলাকায় মাইক্রোবাস থেকে ফেলে দিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা এসে তাকে উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসে। বিকেলে বিষয়টি জানাজানি হলে ঘটনার রহস্য উদঘাটন ও দুর্বৃত্তদের গ্রেপ্তারে মাঠে নামে পুলিশের একাধিক টিম ও ডিবি পুলিশ।

পরে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় বৃহস্পতিবার ভোরে পুলিশ ঘটনার মূলহোতা এনায়েত উল্লাহকে নরসিংদী জেলার ব্রাহ্মণদী গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় পুলিশ তার কাছ থেকে ২ হাজার ইউরো উদ্ধার করে। পরে তার দেয়া স্বীকারোক্তি অনুযায়ী মাইক্রোবাসের চালক মোঃ আকাশ মিয়াকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার দক্ষিণ পৈরতলা থেকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় তার বাড়ি থেকে ছিনতাইকাজে ব্যবহৃত কালো রঙের হাইয়েস মাইক্রোবাসটি জব্দ করা হয়।

এ ব্যাপারে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আসলাম হোসেন বলেন, ছিনতাইকারীরা মাইক্রোবাস স্ট্যান্ডের নৈশ প্রহরী এরশাদের মাধ্যমে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত মাইক্রোবাসটি ভাড়া করে।

তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, আসামীরা ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী ফজলুল হকের পূর্ব পরিচিত। প্রধান আসামী এনায়েত উল্লাহ এক সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার মেড্ডায় বসবাস করতেন। তারা আগে থেকেই জানতেন ট্রাভেল ব্যবসায়ী ফজলুর রহমানের কাছে হুন্ডিসহ বিভিন্ন দেশে লোক পাঠানোর টাকা থাকে।

ছিনতাইকারীরা তাদের সোর্সের মাধ্যমে নিশ্চিত হয়, ফজলুল হক টাকা নিয়ে কখন বের হবেন। এই তথ্য অনুযায়ী তারা আগে থেকে উৎপেতে থেকে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটায়। পুলিশ বাকী দুই আসামীকে গ্রেপ্তারের জন্য ও বাকি টাকা উদ্ধারের জন্য অভিযান চালাচ্ছে।

উল্লেখ্য, ব্যবসায়ীয় ফজলুল হক ঢাকায় ট্রাভেল এজেন্সির ব্যবসা করেন। তার গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের বাঘাউড়া গ্রামে।

এদিকে ছিনতাইয়ের শিকার ফজলুল হক জানান, জমি বিক্রির টাকা ব্যাংকে জমা দেওয়ার জন্য তিনি বুধবার সকালে বাসা থেকে রিকসাযোগে রওনা দেন। তিনি বাসা থেকে বের হয়ে পূর্ব পাইকপাড়া জামে মসজিদ রোডের সামনে আগে থেকে দাঁড়িয়ে থাকা কালো রঙের একটা মাইক্রোবাস থেকে তিন জন আমার রিকসা গতিরোধ করে। এদের মধ্যে এক জন ছিলো পুলিশের ড্রেস পড়া ও বাকী দুজন ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে আমার নাম জানতে চায়।

নাম বলার সাথে সাথে তারা বলে আমার সাথে অবৈধ জিনিস আছে বলে জোড় করে আমাকে মাইক্রোবাসে তুলে। পরে তারা আমাকে বেধরক মারধর আমার সাথে থাকা ৩৫ লাখ ৭০ হাজার টাকার ব্যাগসহ নিয়ে আমাকে পীরবাড়ি এলাকার গাড়ি থেকে নামিয়ে দেয়। স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসে।






Shares