Main Menu

নাবালকদের নাশকতার জন্য তৈরি করছে জঙ্গিরা

+100%-

azimpur-lady-militantবিশেষ প্রতিবেদন: একের পর সূত্র বিশ্লেষণ করে চমকে যাচ্ছেন গোয়েন্দারা৷ সন্ত্রাসবাদ ছড়িয়ে দিতে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের পাশাপাশি নাবালকদেরও প্রশিক্ষণ দিচ্ছে জঙ্গিরা৷ চারদিন আগে ঢাকার আজিমপুরের জঙ্গি ডেরায় বিশেষ অভিযানে ধরা পড়ে তাহরিম কাদরি৷ ১৪ বছরের এই নাবালক সরাসরি ছুরি নিয়ে রক্ষীদের উপরে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল৷ প্রশ্ন, তাহলে কি বাংলাদেশের মাটিতে নাশকতার জাল আরও ছড়িয়ে দিতে নাবালকদের ব্যবহার করছে জঙ্গিরা ?
গত শনিবার ঢাকার আজিমপুরে জঙ্গি ডেরায় অভিযান চালায় কাউন্টার টেররিজম ইউনিট৷ অভিযানের অন্যতম চাঞ্চল্যকর ঘটনা, রক্ষীদের উপর মহিলা জঙ্গিদের আক্রমণ৷ গুলি পালটা গুলির লড়াইয়ের মাঝে খতম হয় জঙ্গি তানভীর কাদেরি৷ তার সঙ্গে গত পয়লা জুলাই গুলশনে ভয়ঙ্কর জঙ্গি হামলার প্রত্যক্ষ যোগসূত্র পেয়েছেন গোয়েন্দারা৷ অভিযানে ধরা পড়ে তিন মহিলা জঙ্গি৷

নাশকতা দমনে বিশেষ সোয়াট বাহিনীর উপর ছুরি নিয়ে হামলা চালিয়ে ধরা পড়ে নিহত তানভির কাদরির ছেলে তাহরিম ওরফে আবদুল করিম৷ ১৪ বছরের তানভির বর্তমানে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের হেফাজতে রয়েছে। আজিমপুরে অভিযান মামলায় বলা হয়েছে, রক্ষীরা যে বাড়ির দরজা ঠেলে ভেতরে ঢুকেছিলেন সেখানেই লুকিয়ে ছিল তাহরিম৷ আড়াল থেকে সে পুলিশের ওপর ছুরি হাতে নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে। যেভাবে তানভির খুনিদের কায়দায় ছুরি নিয়ে রক্ষীদের উপরে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল তাতে চমকে গিয়েছেন গোয়েন্দারা৷ কতটা মানসিক প্রস্তুতি থাকলে এই কাজ করা সম্ভব তা নিয়েও আলোচনা চলছে৷ তদন্তে উঠে এসেছে, তাহরিম কাদরি তার বাবা-মায়ের মতো জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ হয়েছে কি না, তা অনুসন্ধান করে দেখা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, তাহরিমের একটি যমজ ভাই রয়েছে। তার কোনও খোঁজ নেই৷ গোয়েন্দাদের ধারণা, তাহরিমের ওই যমজ ভাইকেও জঙ্গি ডেরায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে৷ এখানেই প্রশ্ন, বাংলাদেশে নাশকতার জাল আরও ছড়িয়ে দিতে কি এবার থেকে নাবালকদের ব্যবহার করবে জঙ্গিরা ?
আজিমপুরের জঙ্গি ডেরা থেকে আরও দুই শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে, তারা জঙ্গি-বাবা মায়ের সঙ্গে একই আস্তানায় কেন এসেছিল সে বিষয়ে বিশ্লেষণ চলছে৷ গোয়েন্দাদের আরও ধারণা, এই দুই শিশুকেও নাবালক জঙ্গি হিসেবে তৈরি করা হত৷ তদন্তে উঠে এসেছে, ধৃত তাহরিম ক্লাস ‘এইট’ -এর ছাত্র। গত কয়েক মাস ধরে স্কুলে অনিয়মিত ছিল। বাবা-মা দুজনই জঙ্গি৷ ফলে সহজেই তানভিরকে নাশকতার কাজে নামানো গিয়েছিল৷ ধৃত মহিলাদের জেরা করে মিলবে আরও অনেক সূত্র, মনে করছেন গোয়েন্দারা৷ঢাকার গুলশন ও কিশোরগঞ্জে পরপর নাশকতার পর সন্ত্রাস দমনে বিশেষ অভিযানে ধরা পড়েছে মহিলা আত্মঘাতী জঙ্গিরা৷ এদের বেশিরভাগই জেএমবি সদস্য৷ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকেও ধরা পড়েছে জেএমবির মহিলা সদস্য৷ তবে আক্রমণকারী নাবালক হিসেবে প্রথম পুলিশের জালে এসেছে তাহরিম৷ তাকে জেরা করেও মিলতে চলেছে আরও সূত্র৷






Shares