Main Menu

মন্দির গর্ভে হাজার টন সোনা গুপ্তধনের সন্ধানে নামছে ভারত

+100%-
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:ভারতের উত্তর প্রদেশের এক প্রাচীন শিব মন্দিরের নীচে হাজার হাজার টন সোনা লুকানো রয়েছে। ওই সোনা আগামী শুক্রবার থেকে উদ্ধারে নামবে ভারত সরকার।প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ , সোনিয়া গান্ধি, পি চিদাম্বরম, সুশীল কুমার সিন্ধে এবং খনি মন্ত্রী দিনশা প্যাটেল বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর ভারতের আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া এবং জিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার বিজ্ঞানীদের খনন কাজ শুরুর নির্দেশ দিয়েছেন।এই পরিমান সোনা উদ্ধার হলে ভারতের অর্থনীতি আমেরিকার সমপর্যায়ে চলে যাবে। ডলার থেকে বহুগুণে বেড়ে যাবে রূপির মূল্য। এছাড়া বর্তমানে যে টালমাটাল অর্থনীতি রয়েছে ভারতের তাতেও স্থিতিশীলতা আসবে। এই সোনা আগামী নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়ারও ক্ষেত্রে একটা মোক্ষম সুবিধা এনে দেবে কংগ্রেসকে।

১৯৯৮ সালে পোখরান-২ পারমানবিক বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে সারা বিশ্বে যে চকম ফেলেছিল ভারত। তারপরই গুপ্তধন উদ্ধারের এই বিষ্ময়কর চমক দেখবে বিশ্ব।

১৮৫৭ সালে সিপাহি বিদ্রোহের অভিযোগে ব্রিটিশরা উত্তর প্রদেশের উন্নাও রাজ্যের রাজা রাও রামবক্স সিংহ’কে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করেছিল। তারই প্রাসাদের পাশে রয়েছে জীর্ণ শির্ণ প্রাচীন একটি শিব মন্দির। যার ভূগর্ভে রয়েছে হাজার হাজার টন সোনা।

লখনৌ ও কানপুরের মধ্যবর্তী উত্তর প্রদেশের এই উন্নাও রাজ্য এখন একটি জেলা। এই জেলার প্রত্যন্ত দৌন্ডিয়া খেরা গ্রামে রয়েছে এই শিব মন্দিরটি। রাজা রাও রামবক্সের রাজপ্রাসাদ ও শিব মন্দিরটি এখন ভগ্নস্তুপ। বলা হচ্ছে, এর নিচে ১ হাজার টন সোনা গুপ্তধন হিসেবে রক্ষিত আছে।

প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ এবং সোনিয়া গান্ধিসহ সরকারের উর্ধতন ব্যক্তিবর্গের কাছে এটা অবিশ্বাস্য মনে হলেও ভারতের অর্থনীতির আমূল পরিবর্তন আনতে আশায় বুক বেধেছেন তারা।

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় গত ১০ দিন আগে থেকে এর সত্যতা যাচাই শুরু করে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া এবং জিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার বিজ্ঞানীরা। ওই এলাকায় ড্রিল করে দু’টি গর্ত খনন করেন তারা। সেন্সরের মাধ্যমে তারা জানতে পেরেছেন এর মধ্যে এমন কিছু আছে যা মাটি নয়। তখনই গুপ্তধন পাওয়ার আশা জেগে ওঠে।

বিজ্ঞানীদের রিপোর্ট সরকারের হাতে আসার পরই প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ আগামী শুক্রবার অর্থাৎ ১৮ অক্টোবর আনুষ্ঠানিকভাবে এর খনন কাজ শুরু করতে নিদের্শ দিয়েছেন।

এই গুপ্তস্বর্ণ উদ্ধারের জন্য রাজা রাও রামবক্স উন্নাও ও ফতেপুর জেলার জনপ্রিয় সাধু যোগী শোভন সরকার’কে স্বপ্নে আদেশ দেন। তার দাবি, একাধিক বার রাজা রামবক্স তাকে স্বপ্নে বলেছেন, এই সোনা উদ্ধার না হওয়ায় তার আত্মা শান্তি পাচ্ছেনা। ব্রিটিশরা এই দেশপ্রেমিক রাজাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মারায় তার আত্মা অভিশপ্ত রয়েছে বলে শোভন সরকারের বিশ্বাস। তিনি তার আত্মার সদগতি চান।

যোগী শোভন সরকার, স্বামী ওম নামে তাঁর এক শিষ্যের মাধ্যমে স্বপ্নাদেশের কথা জানান, রাহুল গান্ধির অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী ও ছত্তিশগড়ের কংগ্রেস সভাপতি চরণদাস মহন্তকে। চরণদাস মহন্ত পরে চিঠি লিখে তা জানান প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ , সোনিয়া গান্ধি, পি চিদাম্বরম, সুশীল কুমার সিন্ধে এবং খনি মন্ত্রী দিনশা প্যাটেলকে। সাধু শোভন সরকারও চিঠি লিখে স্বপ্নাদেশের কথা জানান প্রধানমন্ত্রী ও রিজার্ভ ব্যাংকের গভর্ণরকে।

এরপরই মনমোহন সিংহ ও সোনিয়া গান্ধি চরণদাসকে ঘটনাস্থলে পরিদর্শনে পাঠান। চরণদাস সরেজমিনে ২২ সেপ্টেম্বর ও ৭ অক্টোবর পর পর দুইবার  শিব মন্দির ও ভগ্ন রাজপ্রাসদ ঘুরে দেখেন এবং যোগী শোভন সরকারের সঙ্গে কথা বলেন। বিস্তারিত জানান সরকারের হাইকমান্ডকে। তারপরই সরকার দ্রুত এই গুপ্ত স্বর্ণ উদ্ধারের মিশনে নামেন। রাষ্ট্রীয় নীতিতে প্রথমে বিষয়টি গোপন রাখার চেষ্টা করলেও পরে তা দিল্লীতে প্রকাশ করা হয়।

কংগ্রেস নেতৃত্ব মনে করছেন, এখানে ৫ থেকে ৬ হাজার টন সোনা থাকতে পারে। সত্যিই গুপ্তভান্ডার থেকে যদি টনকে টন সোনা পাওয়া যায় তবে তা হবে ইউপিএ সরকারের শেষ সময়ের বড় চমক।

এরআগে ১৯৯৮ সালে প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপাই’র বিজেপি- এনডিএ সরকারের বড় চমক ছিল পারমানবিক বোমার সফল বিস্ফোরণ।






Shares