Main Menu

নবীনগরে এক অসহায় মুক্তিযোদ্ধা সন্তানকে তার ভিটে মাটি থেকে উচ্ছেদের পায়তারা

+100%-

মিঠু সূত্রধর পলাশ নবীনগর প্রতিনিধি:  ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার জিনদপুর ইউনিয়নের নীলনগর গ্রামের প্রবাসী খায়ের মিয়ার স্ত্রী,তিন সন্তানের জননী ও অসহায় মুক্তিযোদ্ধা সন্তান মমতাজ বেগমকে তার ভিটে মাটি থেকে উচ্ছেদের পায়তারা করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।্ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুর্বৃত্তরা দফায় দফায় হামলা চালিয়েছে অসহায় মমতাজ বেগমের বাড়িতে। এ বিষয়ে মমতাজ বেগম নবীনগর থানায় অভিযোগ দাখিল করতে এসে প্রতিপক্ষের দেওয়া উদ্দেশ্য প্রনোদিত মামলায় গ্রেফতার করা হয় তাকে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জায়গা সংক্রান্ত টাকা লেনদেনের বিষয় নিয়ে প্রতিবেশি সুমি আক্তারের সাথে বিরুদের সৃষ্টি হয় মমতাজ বেগমের। সে বিরুদ যাতে সংঘর্ষে রূপ না নেয়,সে জন্য স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের নেতৃতে শালিশি বৈঠকে সেই জায়গা সংক্রান্ত টাকা লেনদেনের বিষয়টির মিমাংসাও করা হয়।
মমতাজ বেগমের ভাই সেলিম মিয়া জানান, গত শুক্রবার (০৭/০৬) বিকেলে সেনাবাহিনীর সদস্য ইয়ার হোসেনের স্ত্রী সুমি আক্তার (৪৫),তার ছেলের আমজাদ(১৮) , মেয়ে তানিয়া বেগম(২৮) ও মেয়ের জামাইয় পারভেজ মিয়া(৩২),আব্দুল আজিজ(৪২), রুবেল মিয়া(৩৮), আল-আমিন(৪২), জীভন মিয়া(৩৮), মো. মাছুম(৩০), নবী হোসেন(২৪), সোহেল মিয়(২৬), মামুন মিয়া(২৭), মালি হোসেন(২৩), ছুলেমান(৪৫). সাইফুল ইসলাম(২২) দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমার বোনের বাড়িতে অতর্কিত হামলা চালায়। আমার বোন নবীনগর থানায় ফোন করলে, পুলিশ খবর পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে এবং উভয় পক্ষের গুরুতর আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করে। পরে ওই দিনই এ বিষয়ে দুই পক্ষই পৃথক ভাবে মামলা করতে নবীনগর থানায় উপস্থিত হয়। পুলিশ একজনের মামলা আমলে নিয়ে আমার বোন মমতাজ বেগম(৪৫) ও তার দুই ছেলে প্রবাসী মোস্তাকিম(২৭) ও মো. তারেক(১৯) কে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গত বুধবার (১২/৬) বিকেলে অসহায় মুক্তিযোদ্ধা সন্তান মমতাজ বেগমকে তার ভিটে মাটি থেকে উচ্ছেদের দাবীতে মানবন্ধন ও সংবাদ সংম্মেলন করেন সেনাবাহিনীর সদস্য ইয়ার হোসেনের স্ত্রী সুমি আক্তার,তার শ্বশুর মজিদ ফকির, চাচা শ্বশুর হাজী মন মিয়া, দেবর রাকিবুল হাসান, আরেক দেবর সুমন মিয়া সহ তার আত্বীয় স্বজনরা।
এরপর মমতাজ বেগমের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, ওয়াল শেট পাকা বাড়িটির জানালার কাঁচ গুলি ভাঙ্গা,টিনের বাউন্ডারিতে দা দিয়ে কোপানো এবং অসংখ্য ইটের টুকরো ছড়ানো ছিটানো। স্থানীয়রা জানান,ভাঙ্গা এ ইটের টুকরো গুলি দিয়েই বাড়িটিতে ঢিল ছুড়া হয়েছে। পরে বাড়িতে এসে হামলা করা হয়।
এ বিষয়ে অত্র ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ জানান, এটি একটি পারিবারিক ঝগড়া। জায়গা সংক্রান্ত বিষয়েই এই ঝামেলার সুত্রপাত। সে জায়গা সংক্রান্ত বিষয়ের ঝামেলা আমি শেষ করে দিয়েছি। এর পরেও কিছু থেকে থাকলে দেশে আইন-আদালত আছে। এ বিষয় নিয়ে মমতাজ বেগম কে উচ্ছেদ করার কথা আইনত দন্ডনিয় অপরাধ। কিছু মানুষ এলাকায় থাকে দুটি পক্ষ থেকে টাকা খাওয়ার জন্য। মানুষ তাদের চিনে। উচ্ছেদের বিষয়ে তারই বলতে পারে,আমরা পারিনা।
নবীনগর থানার ওসি রনোজিত রায় জানান, সংঘর্ষের ঘটনায় মামলায় তিন জন কে আটক করে জেল হাজতে পাঠনো হয়েছে। মামলাটি তদন্তনাধীন রয়েছে। এরপরও আসামিকে তার নিজ বাড়ি থেকে উচ্ছেদের দাবি জানানোর কতটা যৌক্তিক সে বিষয়ে আপনারা সাংবাদিকরাই ভালো বলতে পারবেন।






Shares