Main Menu

প্রতিদ্বন্ধি চেয়ারম্যানপ্রার্থীসহ ২১ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

+100%-

 

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার চম্পকনগর ইউনিয়ন পরিষদের উপনির্বাচনে গুলিবিদ্ধ হয়ে ১ জনের মৃত্যুর ঘটনায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিহত বাবুলের মা হোসনেহার বেগম বাদী হয়ে বিজয়নগর থানায় চেয়ারম্যান পদের একপ্রতিদ্বন্ধীসহ ২১ জনের বিরুদ্ধে রোববার রাতে এই মামলা দায়ের করেন। মামলায় অজ্ঞাত আসামী করা হয়েছে আরো ৭০/৮০ জনকে। রোববার চম্পকনগর ইউনিয়নের উপ নির্বাচন চলাকালে পেটুয়াজুরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্র দখল করাকে কেন্দ্র করে চেয়ারম্যান প্রার্থী হামিদুল হক হামদু ও জাকির হোসাইন শাহআলমের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এসময় দু’দলের সমর্থকদের মধ্যে গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়। ঐসময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে পুলিশ ১৬/১৭ রাউন্ড রাবার বুলেট ছুড়ে। এ ঘটনায়  সাটিরপাড়া গ্রামের আবদুল হেকিম এর ছেলে বাবুল মিয়া(২৫) গুলিবিদ্ধ হয়। পরে তাকে আখাউড়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মারা যায় সে। বাবুল নিহত হওয়ার ঘটনায় ঐদিন রাতেই তার মা হোসনেহার বেগম বাদী হয়ে বিজয়নগর থানায় চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্ধিতাকারী জাকির হোসাইন প্রকাশ শাহআলম(৩২)কে প্রধান আসামী করে ২১ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার এজাহারে তিনি বলেন নির্বাচনে তার ভাতিজা হামিদুল হক হামদু চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্ধিতা করেন। নির্বাচনের বিষয়াদি নিয়ে জাকির হোসেন শাহআলমের সঙ্গে তার মনোমালিন্যের সৃষ্টি হয়। ঘটনার দিন ভোট গ্রহন চলাকালে পৌনে ৪ টার দিকে পেটুয়াজুরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্র দখলের জন্যে জাকির হোসাইন প্রকাশ শাহআলম দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র সজ্জিত লোকবল নিয়ে কেন্দ্রের সীমানায় প্রবেশ করে। তখন আমার ছেলে বাবুল ও অন্যান্যরা বাধা দিলে দু-পক্ষের মধ্যে মারামারি শুরু হয়। একপর্যায়ে জাকির হোসাইন শাহআলম তার হাতে থাকা দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে আমার ছেলের বাম বাহুতে ও বুকের ডানপার্শ্বে কয়েকটি গুলি করে। এতে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। এর আগে-পরে অন্যান্য আসামীরাও লোহার রড এবং দা দিয়ে আঘাত করে তাকে গুরুতর আহত করে। পরে বাবুলকে  আখাউড়া হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার মৃত বলে ঘোষনা করে। এই মামলার অন্যান্য আসামীরা হচ্ছে আলী আজ্জম(৪০),আবু ছালেক(৩০),মাসুদ উকিল(২৮),শামসু মিয়া (৪৫),আনু মিয়া (৫৫),বাচ্চু মিয়া (২৫),অহিদ মিয়া (২৭),সাচ্চু মিয়া(৩০),কবির ভূইয়া(৩২),জহির মিয়া (৩৫),আলফু মোল্লা(৩২),আরব আলী(৩০),ইদ্রিছ মিয়া(২৮),দুধ মিয়া(৩৫),ফায়জ মিয়া (৩৫),ছিফত আলী (২৮),শাহআলম (৩৫),রফু মিয়া (৫০),দুলাল মিয়া (২৮),আছমুদ্দিন (৩০)। বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: আবদুর রব জানিয়েছেন এ ঘটনায় ৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।  একইদিন মাছিহাতা ইউনিয়নের কাছাইট পূর্ব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্র দখল করা কেন্দ্র করে  দু’পক্ষের সংঘর্ষে ৩০ জন আহত হয়। পুলিশ ব্যাপক লাঠিপেটা ও অর্ধশতাধিক রাউন্ড রাবার বুলেট ও টিয়ার সেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় কোন মামলা হয়নি। সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আকুল চন্দ্র বিশ্বাস বলেন সংঘর্ষে জড়িত দু-পক্ষের কেউই মামলা দেয়নি।






Shares