Main Menu

আখাউড়ায় রমজানে বেড়েছে নিত্যপণ্যের দাম

+100%-

আখাউড়া প্রতিনিধি রোজার শুরুতেই আখাউড়ার বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কয়েক ধাপ বেড়েছে। বিশেষ করে যেসব পণ্য ইফতার ও সেহরির সময় লাগে, সেসব দ্রব্যের বেড়েছে মাত্রাহীনভাবে।
ভোক্তাদের অভিযোগ, দাম বেড়ে যাওয়ায় বাজারে জিনিসপত্র কিনতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে গরিব
ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষদের। চাল, ডাল, ছোলা, রসুন, পেঁয়াজ, আলু থেকে শুরু করে সব ধরনের পণ্যই বিক্রি হচ্ছে কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা বেশি দরে। কোনো কোনো পণ্যের ক্ষেত্রে দাম বেড়েছে তার চেয়েও বেশি। দু-তিনদিনের মাথায় বাজারের এই লাগামহীন ঊর্ধ্বগতিতে ক্রেতাদের মাঝে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। বাজার মনিটরিং করা হলে ও নিয়ন্ত্রণে আসেনি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম।

পৌর শহরের আখাউড়ার বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত দুই,তিন দিন বাজার ঘুরে সরজমিনে দেখা গেছে প্রতি কেজি বেগুন ৮০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা, করলা ৭০ টাকা, শসা ৬০ টাকা, আলু ২২ টাকা, পেঁয়াজ ৩৫ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, কাঁচামরিচ ১০০ টাকা কেজি ও কাঁচা কলা ৫০ টাকা হালি বিক্রি হচ্ছে। অথচ রোজা শুরুর একদিন আগে একই বাজারে প্রতি কেজি বেগুন ৪০ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকা,  করলা ৪০ টাকা, শসা ৩০ টাকা, আলু ১৫ টাকা, পেঁয়াজ ১৮ টাকা, ঢেঁড়স ৩০ টাকা, কাঁচা মরিচ
৫০ টাকা কেজি ও কাঁচা কলা ৩০ টাকা হালি বিক্রি হতে দেখা গেছে।

পৌর শহরের বাসিন্দা মোঃ মোক্তার হোসেন ফায়সাল বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কয়েক ধাপে বেড়ে যাওয়াতে বাজার করতে আসা সকলেই হিমশিম খাচ্ছে। রমজান মাসে এমনিতেই বাড়তি খরচ হচ্ছে। সেদিক সামলাতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে। এরপর বাজারে জিনিসপত্রের দাম যেভাবে হু হু করে বাড়ছে, তাতে দুদিন পরে হয়তো বাজারে ঢোকাই যাবে না। তখন বড় লোকদের দখলেই থাকবে বাজার। আমাদের মতো মধ্যবিত্ত মানুষদের আর বাজারে আসতে হবে না। অন্য বাজার করতে আসা ব্যাবসায়ী শাহ্ আলম বলেন, আমাদের মত গরিবদের না খেয়ে মরতে হবে এমন অবস্থা যদি থাকে বাজারের মধ্যে, স্থানীয় প্রশাসনের সু-দৃষ্টি কামনা করছেন তিনি।

পৌরশহরের সড়ক বাজারের রয়েল ব্যবসায়ী বলেন, রোজার আগের দিন ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় ছিল দোকানে। ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা অন্তত এক সপ্তাহের রোজার বাজার করে নিয়ে গেছেন। তবে খেটে খাওয়া ও সাধারণ মানুষ নিত্যপণ্যের লাগামহীন দামে অসহায়বোধ করছেন।

এই বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ শামছুজ্জামান বলেন,আমরা রোজার আগেও মনিটরিং করেছি রোজার মধ্যে ও করেছি এই জন্য যেন বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম সবার সাধ্যের মধ্যে থাকে, যারা অতিরিক্ত দামে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যে বিক্রি করেছে আমরা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছি।






Shares