Main Menu

আশুগঞ্জ ইউপি নির্বাচন:: সুষ্ঠ নির্বাচন নিয়ে শঙ্কায় প্রার্থীরা

+100%-

upelection

আশুগঞ্জে বিদ্রোহী প্রার্থী নিয়ে বেকায়দায় আওয়ামীলীগ

                দলীয় প্রার্থীর পক্ষে মাঠে নেই বিএনপি

নিজস্ব প্রতিবেদক আশুগঞ্জ ::  ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার ৭ ইউনিয়নের প্রত্যন্ত অঞ্চল এখন নির্বাচনী প্রচারনায় সরগরম। পোস্টারে পোস্টারে ছেয়ে গেছে গ্রামের বিভিন্ন হাটবাজার ও মেঠোপথ। সবর্ত্রই বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। প্রতিদিন ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত উঠান বৈঠক,পথসভা আর ব্যাপক সংযোগে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীরা। এদিকে প্রতিটি ইউনিয়নে প্রভাবশালী বিদ্রোহী প্রার্থী থাকায় বেকায়দায় পড়েছে আওয়ামীলীগ।একক প্রার্থী থাকলেও দলীয় প্রার্থীর পক্ষে মাঠে নেই বিএনপি।তবে সুষ্ঠ নির্বাচন নিয়ে শংকা ও সংঘাতের আশংকা করছেন বিএনপি ও আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থীরা। ভোটারদের ধারনা উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের মধ্যে ৪টিতে ত্রিমুখী ও ৩টিতে দ্বিমুখী লড়াই হওয়ার সম্ভ্যবনা রয়েছে।
আশুগঞ্জ উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের মধ্যে ৭টি ইউনিয়নে আগামী ২২ মার্চ ভোট গ্রহন। উপজেলা ৭ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ২৯জন,সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ৫৫জন ও সাধারণ সদস্য পদে ১৮৪জনসহ মোট ২৬৮জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন।এদের মধ্যে চরচারতলা ইউনিয়নে-বিএনপি প্রার্থী মোঃ ফাইজুর রহমান(ধানের শীষ), আওয়ামীলীগ প্রার্থী মোঃ আইয়ুব খান(নৌকা) ও বিদ্রোহী প্রাথী জিয়া উদ্দিন খন্দকারের(আনারস) মধ্যে ত্রিমুখী,দূর্গাপুর ইউনিয়নে- আওয়ামীলীগ প্রার্থী সাজু খান(নৌকা),বিদ্রোহী প্রার্থী জাকির হোসেন বাদল(আনারস), বিএনপি প্রার্থী মিজান খা(ধানের শীষ)মধ্যে ত্রিমখী,তালশহর ইউনিয়নে-আওয়ামীলীগ প্রার্থী আবু শামা(নৌকা),বিএনপি প্রার্থী গোলাম নবী(ধানের শীষ) ও জাতীয় পার্টির প্রার্থী বজলুর রহমানের(লাঙ্গল) মধ্যে ত্রিমখী,তারুয়া ইউনিয়নে-বিএনপি প্রার্থী কবির হোসেন(ধানের শীষ),আওয়ামীলীগ প্রার্থী ইদ্রিস হাসান(নৌকা) ও বিদ্রোহী প্রার্থী বাদল সাদিরের(আনারস) মধ্যে ত্রিমখী,আড়াইসিধা ইউনিয়নে-আওয়ামীলীগ প্রার্থী ডাঃ সেলিম মিয়া(নৌকা) ও বিদ্রোহী কামরুল হাসান মোবারকের(আনারস) মধ্যে দ্বিমুখী.শরীফপুর ইউনিয়নে-আওয়ামীলীগ প্রার্থী সাইফউদ্দিন চৌধুরী(নৌকা) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সুমন চৌধুরীর(আনারস) মধ্যে দ্বিমুখী এবং লালপুর ইউনিয়নে-আওয়ামীলীগ প্রার্থী মোঃ মোর্শেদ মাস্টার(নৌকা) ও বিদ্রোহী প্রার্থী আবুল খায়েরর(আনারস) মধ্যে দ্বিমুখী লড়াইয়ের সম্ভ্যবনা রয়েছে।
প্রার্থীদের সাদাকালো ব্যানার,পোস্টারে ছেয়ে গেছে গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চল।নির্ঘুম চলছে প্রার্থীদের প্রচারনা।গ্রামের চায়ের দোকান গুলোতে জমে উঠেছে তৃণমূলের রাজনীতি।দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত চলছে মাইকিং।বিভিন্ন জনপ্রিয় গানের সূরে সূরে চালানো হচ্ছে প্রচারনা।ব্যাপক গনসংযোগ,উঠান বৈঠক ও পথসভায় ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীরা।দলীয় প্রার্থীর পক্ষে উপজেলা আওয়ামীলীগের আহবায়ক হাজী মোঃ সফিউল্লাহ মিয়াসহ শীর্ষ নেতারা প্রচারনায় মাঠে নামলেও বিএনপি‘র সভাপতি আবু আসিফ আহম্মেদ ছাড়া উপজেলা বিএনপি‘র শীর্ষ নেতাদের কাউকে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে মাঠে কাজ করতে দেখা যায়নি।উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছে না বিএনপি।উপজেলা বিএনপি‘র সাবেক ও বর্তমান কমিটির অনেক শীর্ষ নেতারা এবং ৬টি ইউনিয়নে বিএনপি‘র ইউনিয়ন কমিটির নেতারও আওয়ামীলীগ ও আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে প্রকাশ্যে মাঠে কাজ করার অভিযোগ উঠেছে।জয়ের ব্যাপারে আওয়ামীলীগ প্রার্থীরা শতভাগ আশাবাদী হলেও সুষ্ঠ নির্বাচন নিয়ে এখনো শংকায় বিএনপি ও আওয়ামীলীগ বিদ্রোহী প্রার্থীদের।
কোথাও কোথাও আচরন বিধি লঙ্গন করে নির্মাান করা হয়েছে একাধীক তোরণ।পথ সভায় ব্যবহার করা হচ্ছে রঙ্গিন ব্যানার।গনসংযোগের নামে চলছে মিছিল ও শোডাউন আর পথসভার নামে চলছে জনসভা ও ওপেন কনসার্ট।এসব আচরনবিধি লঙ্খনের অধিকাংশ অভিযোগ আওয়ামীলীগ প্রার্থীদের বিরুদ্বে।লিখিত অভিযোগের অজুহাতে ব্যবস্থা নিচ্ছে উপজেলা নির্বাচন অফিস।এদিকে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী ও বিএনপি প্রার্থীর কর্মী সমর্থকদের বিভিন্ন পুলিশী হয়রানী করারও অভিযোগ উঠেছে।
নৌকা,ধানের শীষ আর আনারস প্রতীক নিয়ে প্রার্থীদের প্রচারনা থেমে নেই।ভোটাররা অপেক্ষা করছেন আগামী ২২ মার্চ কেমন হবে দলীয় প্রতীকে ইউপি নির্বাচন।সুষ্ঠ নির্বাচন নিয়ে সাধারণ ভোটারদের মাঝে শংকা যেন কিছুতেই ছাড়ছে না।সুষ্ঠ নির্বাচন না হলে আওয়ামীলীগ ও বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের মাধ্যে সংঘাতের আশংকা করছেন ভোটাররা।
উপজেলা আওয়ামীলীগের আহবায়ক হাজী মোঃ সফিউল্লাহ মিয়া জানান, ইতোমধ্যে আওয়ামীলীগের ৭ বিদ্রোহী প্রার্থীকে বহিস্কার করা হয়েছে।তৃর্ণমুলে বিভক্ত থাকায় অওয়ামীলীগ প্রার্থীদের একটু সমস্যা হয়েছে।তবে বিদ্রোহী প্রার্থীরা পক্ষে যারা কাজ করছে তাদের ব্যাপারে খোজ খবর নেয়া হচ্ছে।আশা করি এগুলো সব ঠিক হয়ে যাবে।যারা দলের বাইলে কাজ করবে তাদের বিরুদ্বে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে ।
উপজেলা বিএনপি‘র সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবু আসিফ আহম্মেদ জানান, উপজেলা বিএনপি,যুবদল ও ছাত্রদলের অধিকাংশ শীর্ষ দলীয় প্রার্থীর পক্ষে মাঠে কাজ করছে না। উপজেলা বিএনপির বর্তমান কমিটির ৪জন ও সাবেক কমিটি এবং যুবদল,ছাত্রদলের শীর্ষ নেতা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতারা প্রকাশ্যে আওয়ামীলীগ ও বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে মাঠে নেমেছে।ইতোমধ্যে যুবদলের ২জনকে বহিস্কার করা হয়েছে। বাকীদের বিষয়ে জেলা কমিটিকে অবহিত করা হয়েছে।তিনি উপজেলা বিএনপি‘র দলীয় প্রার্থীরা প্রচারনায় সমান সুযোগ পাচ্ছে না ও প্রচারনায় বাধা দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করে বলেন সুষ্ঠ নির্বাচন হলে অধিকাংশ ইউনিয়নে বিএনপি প্রার্থী জয়লাভ করবে।
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাচন অফিসার আরিফুল ইসলাম জানান সুষ্ঠ নির্বাচনে জন্য সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।প্রতিটি কেন্দ্রে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া নেয়া হয়েছে।আচরন বিধি বঙ্গের লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।মাঠে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্যাট নিয়মিত কাজ করছে।






Shares