Main Menu

অবশেষে বদলী বহুল আলোচিত আশুগঞ্জের ইউএনও: এখনও বহাল তবিয়তে দুই সিপাহশালার

+100%-

unoস্টাফ রিপোর্টার:: আশুগঞ্জে আলোচিত ইউএনও সন্দ্বিপ কুমার সিংহ অবশেষে বদলী হয়েছেন। নানান কারণে সমলোচিত ইউএনও সন্দ্বিপ কুমার সিংহ গত দুই ধরে বছর জুড়ে ছিলেন তুমুল আলোচনায়। তবে তিনি বদলী হলেও বহাল তবিয়তে আছেন তার সকল অপকর্মে দুই সহযোগি অফিস সহকারী লৎফুর রহমান ও ড্রাইভার কামরুল। তাকে চট্রগ্রামে বাশখালি উপজেলায় বদলী হলেও এখন সিলেট তাকে বিভাগে ন্যাস্ত করা হয়েছে।

ইউএনও সন্দ্বিপ কুমার সিংহ আশুগঞ্জ উপজেলায় গত ২০১৩ সালে ১৪ নভেম্বর যোগদান করার পর স্থানীয় সংসদ সদস্য জাতীয় পার্টি আর উপজেলা চেয়ারম্যান বিএনপি হওয়ায় তার দুই সহযোগি অফিস সহকারী লৎফুর রহমান ও ড্রাইভার কামরুলকে দিয়ে একটি অপকমের্র সিন্ডিকেট করে তুলেন তিনি। তাদের সঙ্গে নেন কৃষকদল কৃন্দ্রীয় কমিটি সহ সভাপতি আমিনুল হক আমিন এর ভাগিনা স্থানীয় বিএনপি নেতা ও ঠিকাদার মোস্তাফিজুর রহমান।

অভিযোগ রয়েছে তার দায়িত্বকালে বিনা টেন্ডারে ঠিকাদার মোস্তাফিজকে দিয়ে তিনি কোটি কোটি টাকার কাজ করিয়েছেন । আর হাতিয়ে নিয়েছেন তিনি কোটি কোটি টাকার কমিশন বাণিজ্য। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কাজ গুলো হল উপজেলা সীমানা প্রাচীর নিমার্ণ, অফিসার ক্লাব নির্মাণ, কাচারী বিথিকা উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ, ও মসজিদ মার্কেট নির্মাণ। তাছাড়া উপজেলায় সকল কিছু ক্রয় করাও ছিল ঠিকাদার মোস্তাফিজ ও অফিস সহকারী লৎফুর এর সিন্ডিকেট। তারা দুই জনেই মিলে তা নিয়ন্ত্রন করতেন। ইউএনও সন্দ্বিপ কুমার সিংহ অফির্সাস ক্লাব নিমার্ণে নামে আশুগঞ্জ বন্দরের ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়ে ছিলেন কয়েক কোটি টাকা। যদিও অফিসার ক্লাব বোর্ডে মাত্র ২৫ জনের অর্থ দেওয়ার কথা উল্লেখ রয়েছে।

গত কোরবানী ঈদে নিজেই চালিয়েছেন রেল গেইট চামড়া বাজার। আর চামড়া বাজারের টাকা তুলেছেন দুই সিপাহীশালা অফিস সহকারী লৎফুর রহমান ও ড্রাইভার কামরুল। গত চামড়া বাজার থেকে কত টাকা উঠেছে তা কেউই জানে না। তবে সমলোচনা ছিল যথা সময়ে চামড়া বাজারের বর্জ্য পরিস্কার করা হয়নি।

অভিযোগ ছিল গত ঈদে মোটা অংকের কমিশনে আশুগঞ্জ গরু বাজার তিনি বিনা টেন্ডারে একজনকে পাইয়ে দেওয়ার। চলতি বছর আয়োজন করা হয়েছিল ইউএনও গোল্ড কাপ ব্যাডমিন্টন প্রতিযোগিতা। ফাইনালে সম্মাননা দেওয়া হয়েছে বিএনপি ও জামায়াত শিবির সমর্থিত কয়েকজনকে। সবচেয়ে বেশি আলোচনা ছিল ইউএনও অফিস সহকারী লৎফুর রহমান এর সম্মাননা পাওয়া নিয়ে।

পহেলা বৈশাখে নববর্ষে জাতীয় ভাবে প্রধানমন্ত্রী ইলিশ খাবেন না এই সম্মানে ইলিশ না খাওয়ার সিদ্ধান্ত থাকলে উপজেলা প্রশাসনে আয়োজনে তিনি দেড় মন ইলিশ দিয়ে ভুরিভোজন করেছেন। তাছাড়া তিনি উপজাতি হলেও তার পাশে সব সময় স্থানীয় বিএনপি ও জামায়াত শিবিরের উপস্থিতি আওয়ামীলীগের সিনিয়র নেতারা তার উপর ছিল নাখোশ।

সর্বশেষ গত ৪ জুন আশুগঞ্জ সদর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ প্রার্থী মো.সালাহ উদ্দিন বিপুল ভোটে জয়ী হলেও ফলাফল নিয়ে তিনি টানবাহনা করলে আওয়ামীলীগ নেতাদের হাতে নাজেহাল হন ইউএনও সন্দ্বিপ কুমার সিংহ।

তার এই সীমাহীন দুর্নীতি ও সেচ্ছাচারিতা খতিয়ে দেখে একটি জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা। সংস্থাটি এই বিষয়ে গুরত্বপূর্ণ তথ্য পায়। এবং তাকে দ্রুত আশুগঞ্জ বদলী করার সুপারিশ করে। ফলে তিনি বদলী হলে এখনো বহাল তবিয়তে রয়েছে তার দুই সিপাহীশালা অফিস সহকারী লৎফুর রহমান ও ড্রাইভার কামরুল। ফলে তাকে চট্রগ্রামে বাশখালি উপজেলায় বদলী হলেও এখন তাকে সিলেট বিভাগে ন্যাস্ত করা হয়েছে। নিজ জেলা মৌলভীবাজার ছাড়া অন্য যে কোন জেলায় কোন এক উপজেলায় পদায়ন করার কথা রয়েছে।

ইউএনও সন্দ্বিপ কুমার সিংহ মুঠোফোনে তিনি বদলী হওয়ার  কথা তিনি স্বীকার করেছেন।






Shares