Main Menu

আশুগঞ্জে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে সন্ত্রাসী হামলায় গুরুতর আহত ব্যবসায়ী॥

+100%-

নিজস্ব প্রতিবেদক॥  ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে ব্যবসায়ীকে গুরুত্ব আহত করেছে সন্ত্রাসীরা। গত ২ এপ্রিল বৃহস্পতিবার রাতে শহরের পশ্চিম বাজারে নিউ নাফ টেলিকম দোকানে হামলা চালিয়ে প্রতিষ্ঠানে ভাংচুর ও প্রতিষ্ঠানের পরিচালক কামরুল হাসানকে গুরুত্ব আহত করে। আহত ব্যবসায়ী কামরুল হাসান ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

এ ঘটনায় কামরুল হাসানের বড় ভাই বাদী হয়ে আশুগঞ্জ থানায় মামলা করলেও প্রকাশ্যে হামলাকারীরা ঘুরাফেরা করায় আতংকে দিনকাটছে ব্যবসায়ীর পরিবার। মামলায় আসামীরা হলো চর চরতলার গ্রামের মৃত কাদির মিয়া ছেলে ফিরোজ মিয়া, ফিরোজ মিয়ার ছেলে সোহেল মিয়া, জুয়েল মিয়া, সজিব মিয়া ও আলমনগরের জারু মিয়ার ছেলে নিজাম মিয়া।
মামলার বিররণে জানা যায়, আশুগঞ্জ বাজারে প্রতিষ্ঠিত মোবাইল ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান নাফ টেলিকম। প্রতিষ্ঠানটি স্যামসাং, ভিবো, অপো, এম.আই মোবাইল কোম্পানীর বেশ কয়েকটি শো-রুম রয়েছে। শো রুমের ভিবো মোবাইল কোম্পানীর স্যালসম্যান হিসেবে কর্মরত ছিল উপজেলার চর চরাতলা গ্রামের ফিরোজ মিয়ার ছেলে সোহেল মিয়া। সম্প্রতি কোম্পানীটি সোহেল মিয়াকে চাকুরীচ্যুত করে। কোম্পানী কৃতপর্ক্ষ কি বিষয়ে সোহেলকে চাকুরীচ্যুত করেছে এ বিষয়ে কিছুই জানাইনি বলে জানান কামরুল হাসান।
কামরুল হাসানের বড় ভাইও প্রতিষ্ঠানের সত্বাধীকারী মাসুদ রানা জানান, সোহেলকে কি কারণে চাকুরীচ্যুত করেছে তা আমার ভাই জানতে পারেনি। চাকুরীচ্যুত করার পিছনে আমার ভাইয়ের কোন হাত ছিল না। কিন্তু পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে চর চরতলার ফিরোজ মিয়ার ছেলে সোহেল মিয়ার নেতৃত্বে সোহেলের ভাই জুয়েল মিয়া, সজিব মিয়া ও তার বন্ধু আলমনগরের জারু মিয়ার ছেলে নিজাম মিয়া দলবল নিয়ে আমার ভাইয়ের উপর হামলা চালিয়েছে। এবং হামলা করে দোকান ভাংচুর, নগদ টাকা লুটপাট করে নিয়ে যায়। যা খুবই দুঃখজনক। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করায় আমাদের হুমকি দিচ্ছে। এবং আসামীরা প্রকাশ্যে ঘুরছে। কিন্তু পুলিশ আসামীদের গ্রেপ্তার করছেনা। এখন আমার পরিবার আতংকে দিনকাটাচ্ছি।
আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাসুদ আলম জানান, ঘটনার সাথে জড়িত ব্যাক্তিদের গ্রেপ্তারের চেস্টা চলছে। আশাকরি দ্রুত তাদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।






Shares