Main Menu

নাসিরনগরে সংখ্যালঘু নির্যাতনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন

+100%-

নিজস্ব প্রতিবেদক::সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার নওয়াগাঁও গ্রামে মুজিব জন্মশতবার্ষিকীর দিনে গুজব ছড়িয়ে হিন্দুদের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ, নারী নির্যাতন এবং মন্দিরে নগ্ন হামলা ও লুটপাটের প্রতিবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে নাসিরনগর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে বাংলাদেশ পূজা উৎযাপন পরিষদের উদ্যোগে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া জনতারা জানান, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর হামলা-নিপীড়ন ও লুণ্ঠনকারীদের অবিলম্বে আইনের আওতায় এনে দ্রুত বিচার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। নাসিরনগর ও সুনামগঞ্জের শাল্লার ঘটনার সাথে যারা জড়িত তাদের অনতিলম্বে গ্রেপ্তার করতে হবে। এছাড়াও সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন বাস্তবায়ন করতে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন বক্তারা।
মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে স্বাগত বক্তব্য রাখেন নাসিরনগর গৌরমন্দিরের সাধারন সবুজ দাস। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, পূজা উৎযাপন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অনাথ বন্ধু দাস, সাধারণ সম্পাদক নির্মল চৌধুরী, নাসিরনগর গৌরমন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি কাজল জ্যোতি দত্ত, বীর মুক্তিযোদ্ধা কার্তিক চন্দ্র দাস, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অরুন জ্যোতি ভট্টার্চায, নাসিরনগর সরকারি কলেজের প্রভাষক পার্থ প্রতীম সৌম প্রমূূখ।
সমাবেশে বীর মুক্তিযোদ্ধা কার্তিক চন্দ্র দাস বলেন, নাসিরনগর, রামু, মুরাদনগর হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর অভিযোগ আনা হয় মুসলমানের ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত আনার। এ অভিযোগে হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর নগ্ন হামলা করা হয়। বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনে প্রমাণ হয়েছে এ ঘটনার সাথে হিন্দু সম্প্রদায়ের কেউ জড়িত নয়। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে তারা সবাই জেলে সম্প্রদায়ের মানুষ। এদেশের স্বাধীনতা বিরোধীরা রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে সংখ্যালঘূদের ব্যবহার করছে। আমরা এদেশের সংখ্যালঘুদের উপর সকল হামলার সুষ্ঠ বিচার চাচ্ছি।
পরে মানববন্ধন ও বিক্ষোভে অংশ নেওয়া নাগরিকরা নাসিরনগর উপেেজলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাজমা আশরাফীর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর একটি স্মারকলিপি দেন।






Shares