Main Menu

নাসিরনগরে ভি জি এফের চাল খোলা বাজারে বিক্রি ও ওজনে কম দেওয়ার অভিযোগ ।

+100%-

Rich1436541361নাসিরনগর সংবাদদাতাঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার ৬নং বুড়িশ্বর ইউনিয়নে আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সরকারের দেওয়া গরীব ও দুস্থদের মাঝে ভি জি এফের চাল বিতরণের সময় কালো বাজারে বিক্রি ও ওজনে কম দেওয়ার বিষয়ে ব্যপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।

জানা গেছে, পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সরকার অত্র ইউনিয়নের ১৮৩৩জন গরীব ও অসহায় লোকের নামে মাথাপিছু ২০কেজি করে ৩৬মেঃ টন ৬৫০কেজি চাল বরাদ্ধ দেন। নিয়মানুযায়ী ইউনিয়ন পরিষদ সচিব ও একজন ট্যাগ অফিসারের মাধ্যমে উক্ত চালগুলো সুষ্ঠ বন্টনের কথা রয়েছে। কিন্তু বুড়িশ্বর ইউপি চেয়ারম্যান শপথ নেওয়ার এক দিন পর সচিবের মাধ্যমে নিজে চাল উত্তোলন করে ট্যাক অফিসারের অনুপস্থিতে কিছু সংখ্যক লোকের মাঝে চাল বিতরণ করে।

আশুরাইল ২নং ওয়ার্ডে আহাদ মিয়ার মেয়ে দরিদ্র মারুফা বেগম, জামাল মিয়ার স্ত্রী ফুলমতি বেগম ,কুদ্দুছ মিয়ার মেয়ে দিলারা বেগম, কারণ মিয়ার ছেলে কাজিম উদ্দিন এ প্রতিনিধিকে জানান মুকুল চেয়ারম্যান নিজে উপস্থিত থেকে কয়েক জনকে মাত্র ১০/১২কেজি করে চাল দিয়ে অন্যান্যদের চাল নেই বলে ঘাড় ধরে বিদায় করে দেয়।

আশুরাইল গ্রামের মোঃ নূর আলম, মোঃ জানে আলম, সাবেক ইউপি সদস্য মোঃ ফরিদ মিয়া, বর্তমানা ইউপি সদস্য মোঃ আব্দুল করিম, মোঃ ছানাউল হক সহ আরো অনেকেই এ প্রতিনিধিকে জানান নিয়ম মোতাবেক চেয়ারম্যান শপথ গ্রহণের পর আগষ্ঠের প্রথম সপ্তাহে সকল নিবার্চিত প্রতিনিধিদের নিয়ে মিটিং শেষে দায়িত্ব গ্রহণ করার কথা। কিন্তু তা না করে ক্ষমতার অপব্যবহার করে এ কাজ করেছে।তারা এর সুবিচার দাবী করেন।

সড়জমিন এলাকায় অনুসন্ধানে গিয়ে আশুরাইল ৩নং ওয়ার্ডের তালিকা সংগ্রহ করে দেখা গেছে,উক্ত ওয়ার্ডে ৭৫ জন লোকের নাম ভি,জি,এফ তালিকায় অন্তরভূক্ত রয়েছে। বর্তমানে কুয়েতে আছে এবং জমিজমা রয়েছেএবং আর্থিক ভাবে স্বচ্ছল এমন লোকের ও অনেক নাম উক্ত তালিকায় রয়েছে। জানা গেছে উক্ত তালিকার মাত্র ১৫জন লোককে চাল দেওয়া হয়েছে। বাকীরা চাল পায়নি। তারা জানায় বাটখারার পরিবর্তে বালতি দিয়ে মেপে চাল দেওয়া হয়েছে। কয়েক জনের চাল মেপে জন প্রতি ১০/১২কেজি চাউল পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে বুড়িশ্বর ইউনিয়নের সচিব নারায়ন চন্দ্র বিশ্বাসের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলে কোন চাল কালো বাজারে বিক্রি করা হয়নি এবং কাউকে ওজনে কম দেওয়া হয়নি। যথাযথ নিয়মে চাল বিতরণ করা হয়েছে বলে দাবি করেন সচিব।

এ বিষয়ে অত্র ইউনিয়নের দায়িত্ব প্রাপ্ত ট্যাগ অফিসার নাসিরনগর ইউ, আর, সির প্রশিক্ষক মোঃ শাহজাহান ভূইয়ার সাথে যোগাযোগ হলে, তিনি বলেন বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত থাকার কারণে চাল বিতরণের দিন আমি যেতে পারেনি। তবে আমার এক জন শিক্ষক প্রতিনিধি কে পাঠিয়ে ছিলাম। ওই শিক্ষক প্রতিনিধির নাম জানতে চাইলে নাম জানাতে অস্বীকৃতি জানান তিনি।শাহজাহান ভুইয়া বলেন আমি মাল ডেলিভারীর তালিকায় স্বাক্ষর করিনি ।আগামীকাল আমি নিজে গিয়ে সড়েজমিনে গিয়ে দেখব বলে জানান শাহজাহান ভুইয়া। এ বিষয়ে নাসিরনগর উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা চৌধুরী মোয়াজ্জম আহমদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে দেখা হবে। এ বিষয়ে অভিযুক্ত চেয়ারম্যান এ টি এম মোজাম্মেল হক সরকরা মুকুল এর সাথে তার ব্যবহারিত মোবাইল ফোনে বার বার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলো তিনি ফোন রিসিভ করেননি।






Shares