Main Menu

যানজট আর ভ্যাপসা গরমে অস্থির ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাসী

+100%-
সুমন নূর : যানজট আর ভ্যাপসা গরমে অস্থির হয়ে উঠেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসী। সাথে যোগ হয়েছে বিদ্যুতের আসা যাওয়ার খেলা। বাজারের উত্তাপের মতো সর্বত্রই এখন উত্তাপ বিরাজ করছে। কোথাও যেন শান্তি নেই। কর্মের জন্য বাইরে বেরিয়ে ঘামযুক্ত শরীর নিয়ে ফিরতে হচ্ছে মানুষকে। ঘরে ফিরেও শান্তি নেই। বিদ্যুতের অভাবে ঘুরছেনা পাখা। ঘেমে নেয়ে একাকার হতে হচ্ছে শহরবাসীকে। মাঝে মাঝে মেঘের দেখা মিললেও বৃষ্টি হচ্ছে না ভ্যাপসা গরম আরও বেড়ে যাচ্ছে। ফলে চলতে ফিরতে সর্বত্রই অস্বস্তিভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে।
আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, গতকাল বুধবার  সারাদেশেই উচ্চ তাপমাত্রা বিরাজ করে। এরমধ্যে সিলেটে সবোর্চ্চ ৩৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বিরাজ করে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বিরাজ করে। উচ্চ তাপমাত্রার পাশাপাশি এদিন বাতাসের আদ্রতা ছিল সকাল ৬ টায় ৮৬ ভাগ, সকাল ৯ টায় ৬৩ ভাগ এবং বিকেলে ছিল ৬৬ ভাগ। এ কারণে সারাদিনই ভ্যপসা গরম পড়তে থাকে। কয়েকবার বৃষ্টির ভাব সৃষ্টি হলেও তা আর পূর্ণ রূপ পায়নি। ফলে মেঘের আসা-যাওয়ার খেলায় তীব্র কষ্ট অনুভূত হয়েছে মানুষের। এর সাথে যোগ হয়েছে বিদ্যুতের লোডশেডিং। গত কয়েকদিন থেকেই শহরে বিদ্যুতের আসা-যাওয়ার খেলা চলছে। দিনে-রাতে কয়েক দফায় দেড় থেকে দু’ঘণ্টা করে লোডশেডিং হচ্ছে। অনেক সময় রাতে ঘুমানোর পর লোডশেডিংয়ের কারণে ঘেমে নেয়ে জেগে উঠছে মানুষ। দেড়-দু’ঘণ্টা পর বিদ্যুৎ আসলেও আর ঘুমাতে পারছেন না তারা। ফলে চরম অস্বস্তিকর পরিবেশে রাত-দিন কাটছে শহরবাসীর। এর সাথে নিত্যদিনের যানজট নগরবাসীর ভোগান্তি আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। প্রতিদিনই তীব্র যানজটে স্থবির হয়ে পড়ছে শহরবাসী। এক রাস্তার শহর ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অবাধে চলছে বৈধ অবৈধ যান। ব্যাটারী চালিত অটো রিক্সা, রিক্সা, মালবাহী ভ্যান গাড়ির  দীর্ঘ সারি সারি লাইন। প্রধান  সড়ক, কি অলিগলি সর্বত্রই একই অবস্থা। দিনের শুরু থেকে শেষ অবধি সড়কে গাড়ি ও রিকসার দীর্ঘ সারি সারি লাইন। সকাল কি বিকাল, দুপুর কি সন্ধ্যা, কোন একটা সময় নেই যে কোন এক স্থানে যানজট লেগে থাকে না। লাগাতার যানজটে পড়ে মূল্যবান শ্রমঘণ্টা হারাচ্ছে মানুষ। দশ মিনিটের পথ যেতে সময় লাগছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। আর একটু দূরের পথের অবস্থাতো অবর্ণনীয়। এর সাথে যোগ হয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মিছিল। সাম্প্রতিক কালে হরতালের প্রভাবে এমনিতেই কর্মদিবস। হরতালের বাইরে যতটুকু সময় পাওয়া যায়, তাও ভেস্তে যায় মিছিলের কারনে। ফলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় নষ্ট হচ্ছে নগরবাসীর। যা অস্থির করে তুলেছে শহরবাসীকে।






Shares