Main Menu

ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর মেয়রের উদ্যােগে জলাবদ্ধতা দূরীকরণ কর্মসূচী চলছে..

+100%-

mayor19516নিজস্ব প্রতিবেদক:: আশির দশকের বা নব্বইয়ের দশকের প্রথম দিকে যারা ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরকে দেখেছেন, তারা দেখেছেন ফুলবাড়িয়া থেকে টাউন খাল পর্যন্ত বাইপাস সড়কের পূর্ব পাশ দিয়ে  একটি ক্ষুদ্র আকারের খাল বিদ্যমান ছিল। শহরের এক তৃতীয়াংশের বৃষ্টির জমাটবদ্ধ পানি এখান দিয়ে নিষ্কাশন হয়ে টাউন খালে সরে যেত। কালের বিবর্তনে এবং এক শ্রেণীর প্রভাবশালী ব্যক্তিদের করাল থাবায় এই খালটি আস্তে আস্তে নালায় এবং পরবর্তীতে বন্ধ হয়ে যায়। প্রভাবশালী মহল শহরের কথা চিন্তা না করে মাটি আবর্জনা দিয়ে খালটি ভরাট করে বিভিন্ন স্থানে বহুতল ভবন, মাইক্রোবাস ষ্ট্যান্ড, বাঁশ বিক্রি করার জায়গা সহ মসজিদ পর্যন্ত গড়ে তুলে। এদিকে জলাবদ্ধ পানি সরার জায়গা না পেয়ে শহরের একটি বৃহৎ অংশ পানির নিচে তলিয়ে যেত। বিশেষ করে বর্ষা কালে ফুলবাড়িয়া, মুন্সেফ পাড়া, শান্তিবাগ, দীর্ঘদিন যাবৎ পানির নিচে তলিয়ে থাকত। এতে করে এ এলাকার বাসিন্দারা খুবই যন্ত্রনায় থাকত এবং এসব জমাটবদ্ধ পানি থেকে বিভিন্ন রোগের সৃষ্টি হত।
গত কয়েক বৎসর যাবৎ ফুলবাড়িয়া, মুন্সেফপাড়া, বিস্তীর্ণ এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে    জন দুর্ভোগ ভয়াবহ আকার ধারন করত।
মেয়র নির্বাচিত হয়েই মিসেস নায়ার কবীর অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শহরের জলাবদ্বতা দূরীকরণ এবং ড্রেনের বজ্য পরিষ্কারের কর্মসূচী হাতে নেন।

মে মাসের ৪ তারিখে ফুলবাড়িয়ায় তিনি ফুলবাড়িয়া থেকে টাউন খাল পর্যন্ত লুপ্ত প্রায় ড্রেনটি পুনঃউদ্ধারের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। গত দু’দিন ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে প্রচুর বৃষ্টি হয়েছে এবং উল্লিখিত এলাকায় পানি জমাট বাধে।
আজ সকালে মধ্যপাড়া বাইপাস সড়কের নিকটে গিয়ে দেখা যায়, মসজিদের যে অংশ ভেঙ্গে ড্রেন তৈরী করা হয়েছে, সেদিক দিয়ে তীব্র বেগে পানি নামছে। এ এক অভূতপূর্ব দৃশ্য। পথচারী সহ এলাকার লোকজন উৎসুক হয়ে দেখছে পানির তীব্রতা।

ড্রেন তৈরীতে বাধা দেয়া মসজিদ কমিটির সেক্রেটারী প্রথমেই জন সাধারণের কাছে ক্ষমা চেয়ে নেন, প্রাথমিক অবস্থায় এ কাজে বাধা দেয়ার জন্য। বর্তমানে তিনি অনেক খুশী। এ রকম প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন সবাই। আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়েছেন পৌর মেয়রকে।drain

এখানে কর্মরত পৌরসভার উপ-সহকারী প্রকৌশলী সুমন দত্ত জানান, মেয়রের নির্দেশে শহরের জলাবদ্ধতা দূরীকরণে এবং ড্রেনের মুখ খোলা এবং ড্রেনে জমে থাকা বজ্য পরিষ্কার করার জন্য তারা কাজ করছেন। তিনি আরও জানান, এ কাজে প্রধান সমন্বয়কের ভূমিকা পালন করছেন সারওয়ার জাহান দিপু।

ইতিমধ্যে টেংকের পাড় মসজিদের সামনে থেকে হাসপাতাল হয়ে পৌরসভার পিছন দিক দিয়ে মৌলভীপাড়া হয়ে টাউন খাল পর্যন্ত ড্রেনটি পরিষ্কার করা হয়েছে। সিনেমা হল হতে কোর্ট রোড, মসজিদ রোড, ছাতিপট্টি, টি.এ.রোড হয়ে টাউন খাল পর্যন্ত ড্রেনটি পরিষ্কার করার কাজ চলছে।
দীর্ঘদিন যাবৎ ড্রেনগুলো পরিষ্কার না করার বজ্যগুলো শক্ত আকার ধারণ করেছে। এগুলো সরাতে অনেক সময় লাগছে। পরবর্তীতে কার্যক্রম সম্পর্কে উনি জানান, বিরাসার মোড় হয়ে খৈয়াসার ওবায়দুল মোকতাদির সড়কের পার্শ্বের ড্রেন, যেটি মোদক বাড়ি হয়ে পুরাতন পুলিশ ফাড়ির সামনে দিয়ে তিতাস নদী পর্যন্ত গিয়েছে সেটাকে পরিষ্কার করা।
mayor195161
আজ বেলা দেড়টার দিকে পৌর মেয়র ড্রেন পরিষ্কার কার্যক্রম পর্যবেক্ষন করেন। এ সময় উনি জানান, ড্রেন ও নালায় যেসব আবর্জনা পাওয়া যাচ্ছে, তার বেশীর ভাগই হোটেল রেস্তোরায় উচ্ছিষ্ট আর্বজনা এবং পলিথিন। এসব ময়লা পরিষ্কার করতে গিয়ে পরিচ্ছন্ন কর্মীদের অনেক বেগ পোহাতে হচ্ছে। তাছাড়া ড্রেনের মধ্যে এসব আবর্জনা ফেলার কারণে ড্রেনের মধ্যে দিয়ে পানির প্রবাহে মারাত্মক প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়। এ পৌরসভার নাগরিক সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি এবং মান উন্নয়ন ও উন্নয়নের ধারা এগিয়ে নিতে পৌরসভার সর্বস্তরের মানুষের সহযোগিতা কামনা করেন।






Shares