Main Menu

জাতীয় পাট দিবসের বর্ণাঢ্য র‌্যালী ও আলোচনা সভায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট শামসুজ্জামান

পরিবেশ সুরক্ষায় পলিথিন নয় সকলকে পাটজাত পণ্য ব্যবহার করতে হবে বেশী করে

+100%-

পঁচনের অযোগ্য পলিথিন নয়, পরিবেশ রক্ষাকারী পাটজাত পণ্য ব্যবহার এবং ধ্বংসের কবল থেকে উদ্ধার করে বাংলাদেশের সোনালী আঁশ নামে খ্যাত পাটের সুদিন ফিরিয়ে আনা, কৃষক পর্যায়ে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে পাট উৎপাদনের প্রতি গুরুত্ব প্রদানের মাধ্যমে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলা প্রশাসন ও পাট অধিদপ্তরের উদ্যোগে র‌্যালী, আলোচনা সভায় গতকাল ৬ মার্চ জাতীয় পাট দিবস-২০১৯ উদযাপিত হয়েছে।

জাতীয় পাট দিবস উদযাপন উপলক্ষে সকালে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মোহাম্মদ শামসুজ্জামান এর নেতৃত্বে পাট অধিদপ্তর, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, ম্বেচ্ছাসেবী সংস্থা স্বদেশী’র কর্মকর্তা ও বিপুল সংখ্যক সদস্য, জেলা তথ্য অফিস, মুক্তিযোদ্ধা, ব্যবসায়ী, উইমেন্স চেম্বার অব কমার্স, প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার প্রতিনিধিসহ তৃণমূল জনসাধারণের অংশ গ্রহণে পাটজাত পণ্যের বিভিন্ন শ্লোগান সহকারে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালী শহর বাইপাস এলাকা প্রদক্ষিণ করে।

র‌্যালী শেষে সার্কিট হাউস সভা কক্ষে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মো: আবু নাছের এর সভাপতিত্বে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মোহাম্মদ শামসুজ্জামান বলেন, সুন্দর মানের পাটজাত পণ্যের পরিবর্তে ব্যবসায়ী পর্যায়ে পরিবেশ ধ্বংসকারী ও পঁচনের অযোগ্য পলিথিন এবং প্লাস্টিক জাতীয় পণ্যের উৎপাদন ব্যবহার বাড়িয়ে দেয়ায় বাংলাদেশের সোনালী আঁশ নামে খ্যাত পাট শিল্প বিগত সময়ে ধ্বংসের দোরগোড়ায় পৌঁছে যায়। পাটকল বন্ধ করে দেয়ায় এবং বাজারে পাটের মূল্য উৎপাদন খরচের নীচে নেমে যাওয়ায়, ন্যায্য মূল্য না পাওয়ায় গত কয়েক বছর আগেও আমাদের দেশের কৃষক মনের ক্ষোভে বাজারে স্তুপিকৃত পাট পুড়িয়ে দিতো। যা ছিল খুবই হৃদয় বিদারক ও মনে কষ্ট দায়ক। এতে বাংলার প্রাণ কৃষক পাট উৎপাদনে আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মোহাম্মদ শামসুজ্জামান বলেন, সোনার বাংলাদেশের প্রধান অর্থকরি ফসল এক সময় ছিল পাট। এই পাট দিয়ে দুই দেশ চলতো। পাকিস্তানীরা আমাদের বাংলাদেশে উৎপাদিত পাটের আয় দিয়ে তাদের অর্থনীতির উন্নতি করেছিল। আমাদের দেশের উন্নতি বিনষ্ট করে তাদের স্বার্থে পাকিস্তানীরা আমাদের দেশে প্রতিষ্ঠিত আদমজীসহ অন্যান্য পাটকলগুলো ধ্বংস করে দিয়েছিল সুপরিকল্পিতভাবে। এই অবস্থায় আবারো পাট উৎপাদন, বাজারে পাটের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করা, পাটজাত পণ্য তৈরী ও এর ব্যবহার বৃদ্ধি করে সোনালী আঁশের গৌরব ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বর্তমান সরকার বিভিন্ন ধরণের সুচিন্তিত উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। বর্তমানে ব্যাগ, সোফাসহ সুন্দর কারুকার্য মন্ডিত অনেক ধরণের আকর্ষণীয় পাটজাত পণ্য দেশের বাজারের পাশাপাশি বিদেশের বাজারেও ঠাঁই পাচ্ছে। যা আমাদের দেশের জন্য গর্বের । কারণ, পাটজাত উৎপাদিত পণ্য পরিবেশের জন্য উপকারী, আর পলিথিন ও প্লাস্টিক পণ্য ধ্বংসাত্মক। তাই পরিবেশ সুরক্ষায় ও বাণিজ্যিক স্বার্থে এবং কৃষকের আস্থা ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে পলিথিন ও প্লাস্টিক এর পরিবর্তে সকলকে পাটজাত পণ্য ব্যবহার করতে হবে বেশী করে।
আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন পাট অধিদপ্তরের মুখ্য পরিদর্শক মো: শোয়েব নাঈম। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিশেষ অতিথি মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আবু হোরায়রাহ, পাট উদ্যোক্তা সৈয়দ আজিজুর রহমান, ব্যবসায়ী হাজী মো: শাহ আলম, উইমেন্স চেম্বার অব কমার্স এর সভাপতি জুম্মান আজিজ ইমা। আলোচনা সভা সঞ্চালনা করেন এস এম শাহীন।প্রেস রিলিজ






Shares