ইমরান খান হল লেঃ জেঃ আমির আবদুল্লাহ খান নিয়াজি’র ভাতিজা!!!
ইমরান খানের পুরো নাম ইমরান খান নিয়াজি। বাবা’র নাম ইকরামুল্লাহ খান নিয়াজি। মায়ের নাম শওকত খানম। ইমরান খানের বাবা ইকরামুল্লাহ খান নিয়াজি’র চাচাতো ভাই হল আমির আবদুল্লাহ খান নিয়াজি। যিনি একে খান নিয়াজি নামে পরিচিত। এই একে খান নিয়াজি ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পূর্ব পাকিস্তানের কমান্ডিং অফিসার। যাকে সবাই লেফটেন্যান্ট জেনারেল একে খান নিয়াজি নামেই চেনে। এই লেফটেন্যান্ট জেনারেল একে খান নিয়াজি-ই ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিকাল ৪টা ৩১ মিনিটে ভারত বাংলাদেশ যৌথবাহিনীর কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরা’র কাছে আত্মসমর্পণ করেন। জেনারেল নিয়াজিকে এক সময় বলা হত টাইগার নিয়াজি। কিন্তু সেই টাইগার নিয়াজিকেই বাংলাদেশের মুক্তিপাগল সাধারণ মানুষের কাছে অসহায় আত্মসমর্পণ করতে হয়েছিল।
১৯৭১ সালের সেই পরাজয়ের কারণে টাইগার নিয়াজি বাস্তবে একজন বিলাই নিয়াজিতে পরিনত হয়েছিলেন। সৈনিক জীবনের সবচেয়ে বড় পরাজয় হল যুদ্ধে আত্মসমর্পণের সময় বিপক্ষের কাছে জেনারেল ব্যাচ আর পিস্তল জমা দেওয়া। নিয়াজি’র জীবনের সবচেয়ে বড় পরাজয় লিখিত হয়েছে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিকাল ৪টা ৩১ মিনিটে। পৃথিবীর ইতিহাসে গোটা বিশ্ববাসী সেই অনুষ্ঠান সরাসরি প্রত্যক্ষ করেছেন। সেই পরাজয়ের স্মৃতি মিস্টার নিয়াজি ইহকালে আর ভুলতে পারার কথা নয়।
মিস্টার আমির আবদুল্লাহ খানের সঙ্গে সম্পর্কে মিস্টার ইমরান খান নিয়াজি চাচা ভাতিজা। অর্থ্যাৎ ইমরান খানের বাবা ইকরামুল্লাহ খান নিয়াজি’র চাচাতো ভাই হলেন এই লেফটেন্যান্ট জেনারেল আমির আবদুল্লাহ খান নিয়াজি। তো, চাচার সেই পরাজয়ের গ্লানি তো জনাব ইমরান খানেরও পরিবারের সদস্য হিসাবে খুব সাংঘাটিকভাবেই লাগার কথা। যে কারণে মিস্টার ইমরান খান কখনোই বাংলাদেশকে সহ্য করতে পারেন না। নিজের রক্তের এমন পরাজয় কে সহ্য করতে পারে? সুতরাং জনাব ইমরান খান জামায়াত নেতা আবদুল কাদের মোল্লার ফাঁসির পরে যা বলার কথা, যেমন কষ্ট পাবার কথা, যেমন উক্তি করার কথা, স্বাভাবিক কারণেই তাই করেছেন।
আমরা ইতিহাস না জেনেই ইমরান খানকে একজন ক্রিকেটার হিসেবে অনেকে অনেক উঁচুতে বসিয়েছি। আসলে তিনি তো সেই পরাজিত শক্তির একেবারে ফ্যামিলি মেম্বার। যাকে বলে স্বয়ং একে খান নিয়াজি’র পরিবারের সদস্য। সো, সেই ইমরান খান এখন পাগলের মত প্রলাপ বকবে, এ আর নতুন কি!!!