হাতাহাতি-বহিষ্কারে বিএনএফ’র যাত্রা শুরু
ডেস্ক ২৪:নিবন্ধন পাওয়ার পর হাতাহাতি আর বহিষ্কারের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের (বিএনএফ) প্রথম সংবাদ সম্মেলন ও পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বেলা ১১টায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে দলটির নিবন্ধন-পরবর্তী পরিচিতিমূলক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে পদবি ও নাম ঘোষণা নিয়ে বিএনফের নেতাদের মধ্যে হাতাহাতির পর কোষাধ্যক্ষ মোয়াজ্জেম হোসেন খান মজলিসকে তাৎক্ষণিক বহিষ্কার করা হয়। সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে বিএনএফ’র সভাপতি আবুল কালাম আজাদ দলের নেতাদের নাম, পদবি ও পরিচিতি ঘোষণা করতে থাকেন। ওই সময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত যুগ্ম আহ্বায়ক ও কোষাধ্যক্ষ মোয়াজ্জেম হোসেন খান মজলিসের নাম ঘোষণা না করায় তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে কারণ জানতে চান। তখন সভাপতি আবুলল কালাম আজাদ তাকে চুপ থাকতে বলেন। এই নিয়ে এক পর্যায়ে উভয়ের মধ্যে সাংবাদিকদের সামনেই প্রচণ্ড বাকবিতণ্ডা শুরু হয়।এ সময় উপস্থিত নেতাকর্মীদের মধ্যেও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে সংগঠনের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ কোষাধ্যক্ষ মোয়াজ্জেমকে তাৎক্ষণিকভাবে বহিষ্কার ঘোষণা করেন এবং তাকে হল থেকে বের করে দেয়ার নির্দেশ দেন। এই নিদের্শের পরই আজাদের কর্মীরা মোয়াজ্জেমকে টেনেহেঁচড়ে বের করে দেন। এই ঘটনায় ১৫/২০ মিনিটের মধ্যেই সংবাদ সম্মেলন মুলতুবি ঘোষণা করা হয়। পরে সংবাদ সম্মেলনে বিএনএফ সভাপতি আবুল কালাম আজাদ আগামী দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, বিএনএফ ৩০০ আসনেই দলীয় প্রতীক টেলিভিশন নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। ইতিমধ্যে ১০০ আসনে মনোনয়ন ফরম বিক্রি হয়েছে বলেও জানান তিনি। সংবাদ সম্মেলনে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত পিছিয়ে দেয়ার আহ্বান জানানো হয়। একই সঙ্গে সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানায় নিবন্ধন পাওয়ার আগেই আলোচিত এই দলটি। বিএনফ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দেন। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিএনএফ সভাপতি জানান, তারা দুই নেত্রীর সঙ্গে সংলাপে বসার চেষ্টা করবেন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, কো-কনভেনার সাবেক মন্ত্রী অধ্যাপিকা জাহানারা বেগম, সদস্য সচিব আরিফ মাইনুদ্দিন প্রমুখ। প্রসঙ্গত, বিএনএফ সম্প্রতি নির্বাচন কমিশন থেকে নিবন্ধন পেয়েছে। প্রধান বিরোধী দল বিএনপির গঠনতন্ত্র নকল করে দলটি গঠন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি নেতারা। এছাড়া বিএনপির প্রতীক ধানের শীষের আদলে গমের শীষ দলটিকে বরাদ্দ দেয়া নিয়ে দীর্ঘদিন বিতর্ক চলেছে। তবে বিএনপির আপত্তির মুখে শেষ পর্যন্ত দলটি গমের শীষের পরিবর্তে টেলিভিশন প্রতীক পেয়েছে। এই দলের বেশির ভাগ নেতাই বিএনপি থেকে আসা। |