২৪ ডেস্ক: ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত বাংলাদেশি কিশোরী ফেলানী খাতুন হত্যার মামলায় অভিযুক্ত সীমান্তরক্ষীকে নির্দোষ বলে রায় দিয়েছে বাহিনীর নিজস্ব আদালত। এ রায়ের পর মুক্তি দেওয়া হয়েছে বিএসএফের ১৮১ নম্বর ব্যাটালিয়নের কনস্টেবল অমিয় ঘোষকে। শুক্রবার দুপুরে এ রায় ঘোষণা করেছেন আদালত। বিএসএফের সূত্রগুলো এ খবর নিশ্চিত করেছে। তবে বাহিনীর তরফ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও কিছু জানানো হয়নি। সেনাবাহিনীর কোর্টমার্শালের সমতূল বিএসএফের নিজস্ব আদালত জেনারেল সিকিউরিটি ফোর্সেস কোর্ট বৃহস্পতিবার বিচার শেষ করে। এ রায়টি চূড়ান্ত ছাড়পত্রের জন্য বাহিনীর মহাপরিচালকের কাছে পাঠানো হবে। অগাস্টের ১৩ তারিখ থেকে ফেলানী হত্যা মামলার বিচার চলছিল ভারতের কোচবিহার জেলায় সোনারি বিএসএফ ছাউনিতে। মোট পাঁচজন বিচারক বিচার প্রক্রিয়া চালান আর কোর্ট পরিচালনা করেন বিএসএফের গুয়াহাটি ফ্রন্টিয়ারের ডিআইজি কমিউনিকেশনস সিপি ত্রিবেদী। প্রসঙ্গত, ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি ভোরে পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার জেলার অন্তর্গত চৌধুরীহাট সীমান্ত চৌকির কাছে কাঁটাতারের বেড়া পেরনোর সময়ে ফেলানী খাতুন কনস্টেবল অমিয় ঘোষের গুলিতে মারা যান। দীর্ঘক্ষণ তার দেহ বেড়ার ওপরেই ঝুলে ছিল। ঘোষের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৪ ধারায় অনিচ্ছাকৃত খুন এবং বিএসএফ আইনের ১৪৬ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছিল। ফেলানী হত্যার মামলায় সাক্ষ্য দিতে বাংলাদেশ থেকে তার বাবা ও মামা ভারতে গিয়েছিলেন। |