Main Menu

ইউনূস হতে যাচ্ছেন ইতিহাসের সপ্তম ভাগ্যবান ব্যক্তি

+100%-
যুক্তরাষ্ট্র সিনেটে সংখ্যাগরিষ্ঠ দল ডেমোক্রেটিক পার্টির এসিস্ট্যান্ট লিডার সিনেটর ডিক ডারবিন বলেছেন, বাংলাদেশের গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ড. মুহাম্মদ ইউনূস হতে যাচ্ছেন ইতিহাসের সপ্তম ভাগ্যবান ব্যক্তি- যিনি একইসঙ্গে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল অব ফ্রিডম অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন এবং কংগ্রেসনাল গোল্ড মেডেল পাচ্ছেন। শিকাগোতে ৩ দিনব্যাপী ‘শান্তিতে নোবেল পুরস্কারপ্রাপ্তদের দ্বাদশ সম্মেলন’-এ যোগদানকালে গত বুধবার ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ইলিনয় থেকে নির্বাচিত ইউএস সিনেটর ডিক ডারবিন উচ্ছ্বসিত কণ্ঠে উপরোক্ত মন্তব্য করেন। এ সময় সিনেটর ডিক ডারবিন বুকে জড়িয়ে ধরেন ড. ইউনূসকে। উল্লেখ্য যে, সিনেটর ডারবিন সিনেটে (সিভিল রাইটস, মানবাধিকার, সংবিধান বিষয়ক) জুডিশিয়ারি সাব-কমিটিরও চেয়ারম্যান। ডিক ডারবিন বলেন, বাংলাদেশের গরিবের চেয়েও গরিব মানুষগুলোকে বেঁচে থাকার পথ দেখিয়েছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ড. ইউনূসের দারিদ্র্যবিমোচনের কার্যক্রম আজ বিশ্বব্যাপী সমাদৃত। ড. ইউনূসের মাধ্যমে বাংলাদেশের ইমেজ আজ সারা বিশ্বে উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে। সিনেটরের মুখে উচ্ছ্বসিত প্রশংসায় অভিভূত ড. ইউনূস এ সময় কেবলই বাংলাদেশের মানুষের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানান ডিক ডারবিনকে।
জানা গেছে, শান্তিতে নোবেল পুরষ্কারসহ উপরোক্ত ৩টি পুরস্কারপ্রাপ্ত ৬ ভাগ্যবান মানুষের মধ্যে রয়েছেন মার্টিন লুথার কিং এবং নরম্যান আর্নেস্ট বরলোগ। ড. মুহাম্মদ ইউনূসকেও কংগ্রেসনাল গোল্ড মেডেল প্রদানের বিল পাস হয়েছে গত বছর। সেটি এ বছরই বিতরণ করা হবে। এর আগে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার কাছ থেকেই ড. ইউনূস গ্রহণ করেছেন প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল অব ফ্রিডম এওয়ার্ড।
ড. মুহম্মদ ইউনূস সম্পর্কে সিনেটর ডারবিনের মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত বাংলাদেশীদের অনেকেই মন্তব্য করেছেন যে, ড. ইউনূসের আন্তর্জাতিক ইমেজকে বাংলাদেশের সার্বিক কল্যাণে ব্যবহার করা উচিত। আর এটি হতে পারে ড. ইউনূসকে সরকারের বিশেষ দূত নিয়োগের মাধ্যমে। প্রসঙ্গত: উল্লেখ্য যে, ২০০৯ সালের ১২ আগস্ট হোয়াইট হাউসে ওবামার কাছ থেকে ‘প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল অব ফ্রিডম’ গ্রহণের পরই হোয়াইট হাউজ প্রাঙ্গণে নিজের অনুভূতি ব্যক্তকালে বার্তা সংস্থা এনার কাছে বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশের কল্যাণে যে কোন দায়িত্ব আমি গ্রহণ করতে দ্বিধা করবো না। কারণ, আমি সর্বান্তকরণেই বাংলাদেশের কল্যাণ চাই।’







Shares