Main Menu

মালয়েশিয়ায় ভাগ্যবান ৩২ বাংলাদেশী

+100%-

অবৈধ অভিবাসী শ্রমিকদের ওপর মালয়েশিয়া ধরপাকড় অব্যাহত রেখেছে। গতকাল মালয়েশিয়ার পুত্রজায়া থেকে এশিয়া নিউজ নেটওয়ার্কের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গত অক্টোবর থেকে তাদের সিক্স পি কর্মসূচির আওতায় ৬ হাজারের বেশি অবৈধ শ্রমিক ও ১৬০ জন চাকরিদাতাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।


স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সেক্রেটারি জেনারেল তানশ্রি মাহমুদ আদম বলেছেন, গত ২০শে অক্টোবর থেকে গতকাল পর্যন্ত ৪৮ হাজার ৮৬৪ জন অবৈধ অভিবাসীর তদন্ত সম্পন্ন করেছে। এ পর্যন্ত যাদের অন্তরীণ করা হয়েছে তাদের মধ্যে ৯৪৬ অবৈধ শ্রমিককে আদালত বিভিন্নভাবে দণ্ড দিয়েছে। ৭২ জন চাকরিদাতা ও ৫৪৮ অবৈধ শ্রমিকের সঙ্গে আদালত আপসরফা অনুমোদন করেছে। ১০১১ জনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এর মধ্যে কত জন বাংলাদেশী তা জানা যায়নি। তবে বাংলাদেশের ৩২ জন শ্রমিক মালয়েশিয়া সরকারের একটি বিরল অনুকম্পা লাভ করেছে। কোম্পানির মালিকরা তাদের চাকরিচ্যুত করলেও সরকার তাদের চাকরি দিয়েছে। এ কারণে মালয়েশিয়ার বাংলাদেশ হাইকমিশনার গত ৮ই মার্চ এক বিবৃতিতে মালয়েশিয়া সরকার বিশেষ করে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছে। মালয়েশীয় সংবাদ সংস্থা বারনামা জানিয়েছে, কয়েক বছর আগে ওইসব বাংলাদেশী বৈধভাবে মালয়েশিয়ায় প্রবেশ করেছিলেন। তারা একটি কোম্পানিতে চাকরিও শুরু করেন। কিন্তু ২০১০ সালের জুনে তাদের চাকরিচ্যুত করা হয়। সেই থেকে তারা একটি আশ্রয় কেন্দ্রে ঠাঁই নিয়েছিলেন। বাংলাদেশ হাইকমিশনের বিৃবতিতে বলা হয়েছে, ‘ওই ৩২ জনকে নতুন করে কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিতে মালয়েশিয়া সরকার যে উদারতা দেখিয়েছে তা প্রশংসনীয়।’ এর আগে স্বরাষ্ট্র উপমন্ত্রী দাতুক চি লিওয়ং বলেন, ওই ৩২ বাংলাদেশীকে তিন বছরের মেয়াদে কাজ করার সুযোগ দেয়া হবে।


৭ই মার্চ বারানামার অপর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাতুক সেরি হিশামউদ্দিন হোসেন ৭ই মার্চ কুয়ালালামপুরে প্রকাশিত এক বিৃবতিতে বলেন, মানব পাচারের শিকার হওয়া শ্রমিকদের কর্মসংস্থানের বিষয়ে  সরকার বিস্তারিত পুনর্বাসন কর্মসূচি নিয়েছে। আশ্রয় শিবির থেকে ছাড়া পাওয়ার পরপরই তাদের কর্মসংস্থানের সুযোগ দেয়া হবে। তবে এজন্য কিছু শর্ত পূরণ করতে হবে। প্রথমত, ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকের সম্মতি লাগবে। সংশ্লিষ্ট শ্রমিকের দেশের কূটনৈতিক মিশনের অনুমোদন দরকার হবে। উপরন্তু কূটনৈতিক মিশনকে এ মর্মেও নিশ্চিয়তা দিতে হবে, ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিককে যদি তার দেশে পাঠানো হয় তাহলে তার চাকরিগত নিরাপত্তার ঘাটতি পড়েবে। তবে সবার উপরের শর্ত হলো- মিশনকে এটাও বলতে হবে, সংশ্লিষ্ট শ্রমিক মালয়েশিয়ায় বৈধভাবে প্রবেশ করেছিলেন। তবে সাধারণ নীতি হচ্ছে, আশ্রয় শিবির থেকে কেউ একবার ছাড়া পেলে তাকে প্রথমেই তার নিজের দেশে ফিরে যেতে হবে।


মালয়েশিয়াজুড়ে বর্তমানে অবৈধ শ্রমিকদের ধরপাকড় সামনের দিনগুলোতে আরও জোরদার করা হবে বলে মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘোষণা দিয়েছে। অভিবাসন বিভাগের ১৩ হাজার ৪৪৮ জন কর্মকর্তা গত প্রায় ৬ মাসে ২৬০৭টি অভিযানে অংশ নিয়েছেন। সিক্স পি কর্মসূচির ছয়টি ধাপ রয়েছে। প্রকল্পের নাম ইলিগ্যাল ইমিগ্রান্ট কম্প্রিহেনসিভ সেটেলমেন্ট প্রোগ্রাম। এর আওতায় থাকা ছয়টি ধাপের সূচনায় হলো নিবন্ধন। এর পরে রয়েছে সাধারণ ক্ষমা বা অ্যামনেস্টি, তদারক, কার্যকরকরণ, বহিষ্কার ও আইনানুগকরণ।






Shares