Main Menu

নির্বাচনের দাবিতে বৃহস্পতিবার নবীনগর পৌর কার্যালয় ঘেরাও

+100%-

প্রতিনিধি : নির্বাচনের দাবিতে আগামী বৃহস্পতিবার পৌর কার্যালয় ঘেরাও করবে নবীনগর নাগরিক সংগ্রাম পরিষদ। গত ৯ সেপ্টেম্বর এক সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করতে এক সপ্তাহের আল্টিমেটাম দিয়ে এ কর্মসূচী দেওয়া হয়। তবে গণসংযোগ ও গণস্বাক্ষর কর্মসূচী পালন করা হচ্ছে বিধায় ঘেরাও কর্মসূচী পিছিয়ে সোমবারের পরিবর্তে বৃহস্পতিবার করা হয়েছে।     
সংবাদ সম্মেলনে পরিষদের সভাপতি মো. শফিকুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। লিখিত বক্তব্যে তিনি পৌরসভা নিয়ে নানা চক্রান্ত ও অনিয়মের অভিযোগও তুলে ধরেন। সংবাদ সম্মেলনে পরিষদের যুগ্ম-আহবায়ক গোলাম কিবরিয়া শিবলী, মো. নাছির উদ্দিন, সদস্য সচিব মফিজুর রহমান মুকুল উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, পৌরসভা গঠনের পর ১৪ বছরেও নির্বাচন না হওয়ায় ‘জন প্রতিনিধি’র অভাবে কাঙ্খিত উন্নয়ন হয়নি। রাস্তাঘাটের উন্নয়ন, পরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা, বিশুদ্ধ খাবার পানি, পরিকল্পিত পয়:নিস্কাশনের ব্যবস্থাসহ অনেক সুযোগ সুবিধা থেকে পৌরবাসী বঞ্চিত হয়ে আছে।
পৌরসভার সচিব মো. মাহফুজুর রহমান ১৪ বছর ধরে এখানে চাকুরি করছেন। যে কারনে তার স্বেচ্ছাচারিতা প্রকট আকার ধারণ করেছে। তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করে পৌর কার্যালয়ের সামনে দিয়ে নিউমার্কেটের ভেতর হয়ে জনগণের চলাচলের হাজার বছরের পুরানো জনগুরুত্বপূর্ন রাস্তাটি বন্ধ করে দিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গত ২৭ আগস্ট পৌরসভার সর্বস্তরের শত শত নাগরিক পৌরসভা নির্বাচনের দাবিতে পৌর শহরে এক দীর্ঘ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করে। পরে জেলা প্রশাসকের কাছে বিক্ষুদ্ধ পৌরবাসির পক্ষ থেকে নির্বাচনের দাবি সম্বলিত একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। গত ৫ সেপ্টেম্বর একই দাবিতে স্থানীয় ডাকবাংলোতে  পৌরবাসির উপস্থিতিতে এক সর্বদলীয় সভা থেকে ‘নাগরিক সংগ্রাম পরিষদ’ গঠন করা হয়।
প্রসঙ্গত, ১৯৯৯ সালে তৎকালীন সংসদ সদস্য প্রয়াত অ্যাডভোকেট আবদুল লতিফের চেষ্টায় মোট নয়টি ওয়ার্ড নিয়ে ‘গ’ শ্রেণীর পৌরসভা হিসেবে নবীনগর পৌরসভা যাত্রা শুরু করে। ২০০৯ সালের ১১ ডিসেম্বর এ পৌরসভাকে প্রথম শ্রেণীর (‘ক’ শ্রেণী) পৌরসভায় উন্নীত করা হয়।






Shares