নবীনগরের আবারও পল্লী বিদ্যুতের গাফিলতির কারণে প্রাণ গেল এক কিশোরের
মিঠু সূত্রধর পলাশ , নবীনগর প্রতিনিধি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলা কুড়িঘর গ্রামে আজ বুধবার বিকেলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মো.মোস্তাকিম (১২) নামে এক কিশোরের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। সে উপজেলার কুড়িঘর গ্রামের মো. সহিদ মিয়ার ছেলে। পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ঘরের চালে শুকনো বড়ই আনতে গিয়ে বিদ্যুতের তারে জরিয়ে বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে গুরুত্বর আহত হয় সে। ঘটনা টের পেলে স্থানিয়রা তাকে উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। সরেজমিনে গিয়ে দেখাযায় এলোমেলো ভাবে অনভিজ্ঞ টেকনিশিয়ান দ্বারা ঘরের চালার উপর দিয় বিপদজনক ভাবে বিদুতের লাইনটি টানানো হয়েছে। স্থানীয় এলাকাবাসী জানান,পল্লী বিদুতের লোকজনদের গাফিলতির কারনে অল্প বয়সেই চলেগেল একটি তরতাজা প্রাণ। এমন করে গ্রামের অনেক বাড়িতেই এমন ভয়ঙ্কর মরন ফাঁদ পাতা রয়েছে।
এ বিষয়ে নবীনগর উপজেলা পল্লীবিদ্যুত অফিসের জোনাল ম্যানেজার মানোয়ার মোর্শেদ জানান, কুরিঘর গ্রাম বা শিবপুর, নাটঘর ইউপিটা জোন হিসেবে ভাগ করা হয়েছে। সে জোনে একজন এজিএম বসেন। ওখানে দুর্ঘটনা হলে আমার জানার কথা না। এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পল্লী বিদ্যুতায়ন অফিসের প্রধান জি এম মো. শাজাহান তালুকদার বলেন, এ দুর্ঘটনার বিষয় টি আমার জানা নেই। খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনিয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, গত এক সাপ্তাহ আগে উপজেলার বড়িকান্দি গ্রামের বসত ঘরের বিদ্যুতের মিটার বিস্ফোরিত হলে গৃহকর্তা মোস্তফা মিয়া (৭০) ও তার আপন ভাতিজা জসু মিয়া বিদ্যুত স্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু বরণ করেন। এছাড়াও পল্লীবিদ্যুতের অপরিকল্পিত ভাবে টানানো বিদ্যুতের সংযোগে স্পৃষ্ট হয়ে নবীনগর উপজেলায় প্রতি বছরই বহু লোক মৃত্যুবরণ করছেন। কিন্তু এ বিষয়ে তাদের সামান্যও ভ্রক্ষেপ নেই।