জুয়ারিদের কাছে T20,যেন হিরুইন,গাজা,ইয়াবাকেও হার মানায়।
জুয়ার আসরে বসে স্বর্রবস্ব খুইয়েছেন এমন লোকের সংখ্যা নেহায়েত কম নয়।জুয়া শুরু হয়েছে প্রাচীন গ্রিস আমল থেকে। casino তে গিয়ে জুয়া খেলা যাদের কপালে জুটেনা তাদের থেকে শুরু করে নিম্ন শ্রেণীর মানুষ গুলার কাছে জুয়ার আলো হয়ে এসেছে T20 ক্রিকেট।
অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট লীগ বা কেরিবিয়ান লীগ এর মধ্য দিয়ে টি২০ এর পথ চলা শুরু হলেও জুয়ারিদের কাছে ব্যাপক বিনোদন হয়ে আসে ভারতের আই পি এল। জুয়া খেলে জানলে একটা সময় তার সাথে মেয়ে বিয়ে দিত না কনে পক্ষ।জুয়াকে ঘ্রিনার চোখে দেখা হত সব শ্রেণীতে। জুয়া বন্ধে কত সামাজিক কর্মসূচিই না নেওয়া হতো একটা সময়,কিন্তুু অবাক হলেও সত্য জুয়া আজ ওপেন সিক্রেট।আমাদের এলাকার এমনও লোকদের ইদানীং জুয়া ধরতে দেখি যারা বিচারক শ্রেনীর মানুষ। কোর্ট টাই পরে দিব্বি আসর জমাচ্ছে।টি২০ ফলে গ্রামের হাট বাজার গুলাতে যে হারে টিভি চলে ওই হারে হিরুইন বিক্রিও চলে বলে মনে হয় না।
ছোট দল নিলে ১০০০ থেকে শুরু আর বড় দল ১২০০ থেকে ৪০০০০ পর্যন্ত বা তারও বেশি যায়।এক জন আবার একাধিক জুয়া ধরে।খেলার মঝে বাজি বিক্রি ও নতুন বাজী ধরা হয়। এদের মধ্যেও আছে দালাল যাদের কাজ জুয়া ধরিয়ে দেওয়া,টাকা জমা রাখা,বাজির দর ভাঙানো ইত্যাদি। ফায়দাটা মুলত দালাল শ্রেনিরাই বেশি নেয়।অবাক হয়ে যাই জুয়ারিদের ক্রিকেট জ্ঞান দেখলে।কোন মাঠে খেলা,কে কে খেলে,কার বেগ্রাউন্ড কেমন সব ওদের মুখস্ত।তবে দু:খের বিষয় জুয়া খেলে আজ অবদি কেও বড়লোক হয়েছে বলে শুনি নাই।তবে নি:শ্বেস হয়েছে এমন উদাহরণ ভুরি ভুরি।
এইত কিছুদিন আগের কথা আমার এক কাছের বন্ধু জুয়ার সাগরে গাঁ ভাসায় আজ নি:স্ব।এখন নাকি ঘরে খাবারও জুটে না।ইদানীং বাইরে বের হলে শুনি ভাই কত,মানে রেট কত। আই পি এল রেখে এখন ইংলিশ কাউন্টি লীগ ধরেছে অনেকে।কি হচ্ছে জাতীর।গুটা দেশটাই কি লাস ভেগাস হয়ে যাচ্ছে নাতো।জিজ্ঞেস করলে বলে ধনি,আমির,আশরাফুল রা খেলতে পারলে আমাদের দোষ কি।জুয়া নিয়ে মারামারি এমনকি লাশ পরার গল্প নতুন কিছু না।তবে কি হিরুইন,গাজা আর ইয়াবার পর নিরব ঘাতক হিসাবে আভির্বাব হল টি২০।