ইউএনওসহ চার পুলিশ আহত, ১০ রাউন্ড গুলি
কসবায় দণ্ডিত ইউপি সদস্যকে ছিনিয়ে নিতে ভ্রাম্যমাণ আদালতে হামলা, আটক দুই
খ.ম. হারুনুর রশিদ ঢালী : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় যুবলীগ নেতাকে ছিনিয়ে নিতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের গাড়ি বহরে হামলা হয়েছে। এতে ইউএনওসহ চার পুলিশ আহত হয়েছেন। রবিবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে উপজেলার পশ্চিম ইউনিয়নের বিলঘর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
আহতরা হলেন, কসবার ইউএনও মাসুদউল আলম, কসবা থানার এস. আই মো. হারুনুর রশিদ, পুলিশের নায়ের আলী আজম, কনস্টেবল মাহবুবুল, জয়রুপ। ঘটনার পর থেকে এলাকার উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
এর আগে ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগে কসবা পশ্চিম ইউনিয়নের সাবেক যুগ্ম-আহবায়ক ও ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মো. আলমগীরকে আটক করে। পরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রশান্ত বৈদ্য ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে আলমগীরকে এক বছরের কারাদন্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৩ মাসের জজেল প্রদান করেন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, কসবার বিভিন্ন এলাকার আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাদের নেতৃত্বে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের কাজ চলে। মিলনা মিয়া, হাবিব মিয়া, সোহাগসহ প্রভাবশালী লোকজন উত্তোলন কাজের সঙ্গে জড়িত।
ইউএনও মাসুদউল আলম জানান, ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ঘটনায় পাঁচজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে কসবার বিভিন্ন এলাকায় পৃথক অভিযান চালানো হয়। এ সময় কসবা পশ্চিম ইউনিয়নের বাসিন্দা আলমগীরসহ দুইজনকে আটক করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালত আলমগীরকে সাজা নিয়ে থানায় নিয়ে আসতে থাকে। এ অবস্থায় বিলঘর এলাকার পৌঁছামাত্র গাড়ির ববহরে হামলা হয়। আলমগীরকে ছাড়িয়ে নিতে এ হামলা হয় বলে তিনি অভিযোগ করেন।
আটককৃতরা কসবা পশ্চিম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. মানিক মিয়া, মিলন মিয়া,সোহাগ মিয়া প্রমুখের নাম বলেন।
কসবা থানার ওসি মো. লোকমান হোসেন জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশকে ১২ রাউন্ড গুলি ছুড়তে হয়। এ ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদেরকে গ্রেপ্তারেরও চেষ্টা চলছে।