কসবা উপজেলা চেয়ারম্যান জীবনের ৪৮ ঘন্টার আল্টিমেটাম, মামলার হুশিয়ারী



হেফাজতে ইসলামের তাণ্ডবের ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া কসবা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদুল কাওসার ভূইয়া জীবনকে জড়িয়ে বক্তব্য দেওয়ার ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক দীপক চৌধুরীকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (২৮ এপ্রিল) দুপুর দেড়টায় কসবা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে চেয়ারম্যান জীবন এ আল্টিমেটাম দেন।
হেফাজতে ইসলামের চালানো তাণ্ডবের ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পাঁচজন এমপির প্রতিক্রিয়া নেই উল্লেখ করে সময় টিভিতে সংবাদ প্রচারিত হয়। ওই সংবাদে প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক দীপক চৌধুরী বাপ্পী তাঁর বক্তব্যে বলেন, হেফাজত নেতা মামানুল হক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের এলাকায় (কসবা) এসেছিলেন। ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মন্ত্রীর সাবেক এপিএস ও কসবা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদুল কাওসার ভূইয়া জীবন।
তবে সাংবাদিক বাপ্পীর এ বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনে জীবন বলেন, মাননীয় আইনমন্ত্রী হেফাজতের তাণ্ডবের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে তাণ্ডব নিয়ন্ত্রণে সবধরণের ব্যবস্থা নিয়েছেন। সারাক্ষণ তিনি প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ রেখেছেন। কসবায় আমরা দলীয় নেতাকর্মীরা মিলে হেফাজতকে ঠেকিয়েছি। তাদেরকে আমরা তাণ্ডব করতে দেইনি।
তিনি বলেন, কসবার বাদৈরে একটি ইমলামিক সংস্থা মামুনুল হকের মাহফিল আয়োজন করা হয়েছিল। আয়োজকরা আমাকে প্রধান অতিথি করতে চেয়েছিলেন। আমার সম্মতি না নিয়েই আমাকে প্রধান অতিথি করে পোস্টারও ছাপায় আয়োজকরা। কিন্তু আমি বলেছি মামুনুল হকের মাহফিল হবেনা। পরে প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করে সেই মাহফিল বন্ধ করে দেই। মাহফিলের স্টেজটিও আমরা ভেঙে ফেলি।
তিনি আরও বলেন, ওনি (বাপ্পী) যে বক্তব্য দিয়েছেন- তাতে আমার মানহানি হয়েছে। সারা বাংলাদেশে আমাকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলেছেন তিনি। এ পরিস্থিতিতে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তিনি যদি নিঃশর্ত ক্ষমা না চান, তাহলে আমি তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেব। আমার সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত কোনো সম্পর্ক নেই, শত্রুতাও নেই। কেনো আমাকে জড়িয়ে এমন বক্তব্য দিয়েছেন- সেটি বুঝতে পারছিনা।
সংবাদ সম্মেলনে কসবা উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আবু জাহের, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম, উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী মানিক, সাবেক জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মো. ইব্রাহিম ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. পলাশ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।