Main Menu

প্রায় ৫৬ কোটি টাকা ব্যয়ে এ সেতু নির্মাণ হলে ২০ মিনিটের মধ্যেই জেলা সদরে যাতায়ত সম্ভব

‘শেখ হাসিনা সড়ক’ দীর্ঘদিনের স্বপ্ন:: র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এম.পি

+100%-

bijoyডেস্ক ২৪:: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে শুক্রবার ‘শেখ হাসিনা সড়ক’-এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে। বিজয়নগরের সীমানা থেকে জেলা সদর পর্যন্ত প্রায় ১২ কিলোমিটারের এই সড়কটি এখানকার মানুষের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন। সড়কটি বাস্তবায়িত হলে জেলা সদরের সঙ্গে বিজয়নগরের দূরত্ব অনেকটাই কমে আসবে।

গত শুক্রবার দুপুরে জেলা সদরের সাথে বিজয়নগর উপজলায় সরাসরি সংযোগ স্থাপনা শেখ হাসিনা সড়কের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কার্য নির্বাহী কমিটির সদস্য,পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি ও জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এম.পি।

বিজয়নগর উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের টানমনিপাড়া এলাকায় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট তানবীর ভূইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ভিত্তিপ্রস্তর অনুষ্ঠানে মোকতাদির চৌধুরী এমপি আরো বলেন, প্রতিটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থী আপনাদের কাছ থেকে ভোট নিয়েছেন কিন্তু তারা আপনাদেরকে উপজেলা উপহার দিতে পারেনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আপনাদের দাবির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বিজয়নগরকে উপজেলায় উন্নীত করেছেন। বিজয়নগরের ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকান্ড বাস্তবায়ন করছেন। তিনি বলেন, বিজয়নগরে উপজেলা কমপ্লেক্স ভবন নির্মিত হয়েছে, থানা ভবন নির্মিত হচ্ছে, ৫০ শয্যা বিশিষ্ট স্বাস্হ্য কমপ্লেক্স নির্মিত হচ্ছে। সব কিছু উন্নয়নই করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, বিজয়নগরে একটি কলেজকে সরকারিকরণ করা হবে। মানসম্মত পড়াশুনার জন্য বিজয়নগর উপজেলা সদরে একটি স্ট্যান্ডার্ড স্কুল নির্মান করা হবে। তিনি বলেন, কথা দেয়, কিন্তু  কথা রাখেনা এর নাম হচ্ছে বিএনপি। আর কথা দেয় এবং কথা রাখে এর নাম হচ্ছে আওয়ামীলীগ। তিনি বলেন, নৌকা আছে, নৌকা থাকবে। নৌকা এদেশের স্বাধীনতা দিয়েছে। নৌকা বাংলার মানুষকে সামনের দিকে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, আমি মৌসুমী পাখী নই। আমি আপনাদের ভাই, আপনাদের সন্তান। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে আমি বিজয়নগরে যুদ্ধ করেছি। বিজয়নগর ছিল মুক্তিযোদ্ধাদের একটি বড় রনাঙ্গন। তিনি বলেন, অনেকেই ভোটের আগে আপনাদের কাছে এসে আপনাদেরকে ভুল বুঝানোর চেষ্টা করবে। তাদের কাছ থেকে সর্তক থাকবেন। মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, প্রায় ১০ কিলোমিটার লম্বা শেখ হাসিনা সড়ক এই এলাকার জন্য একটি পদ্মাসেতু। এটি আপনাদের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন। আপনাদের স্বপ্ন এখন বাস্তবে রূপ নিচ্ছে। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা সড়কটি নির্মিত হলে বিজয়নগরবাসী মাত্র ২০ মিনিটের মধ্যেই জেলা সদরে আসা-যাওয়া করতে পারবেন। এই অঞ্চলের শিক্ষার্থীদের জন্য সড়কটি বিরাট উপকারে আসবে। তারা সহজে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গিয়ে পড়াশুনা করতে পারবে।

মোকতাদির চৌধুরী এমপি আরো বলেন, প্রায় ৫৬ কোটি টাকা ব্যয়ে শেখ হাসিনা সড়কটি নির্মিত হচ্ছে। এছাড়া গত ২০১৪ সাল থেকে বতর্মান পর্যন্ত মাত্র দুই বছরে বিজয়নগরে প্রায় ১০০ কোটি টাকার উন্নয়ন কর্মকান্ড বাস্তবায়িত হচ্ছে। আগামী দুই বছরে আরো উন্নয়ন কর্মকান্ড বাস্তবায়িত হবে। তিনি বলেন, আমরা উন্নয়ন কর্মকান্ডের মাধ্যমে বিজয়নগরের চেহারা পাল্টে দিতে চাই। মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন করতে চাই। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা সড়কটি নির্মিত হলে বিজয়নগরে জমির দাম বাড়বে। বিজয়নগরে একটি উপশহর গড়ে উঠবে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশকে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদক্ষ নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে দাড়িয়েছে। বিশ্ববাসীর কাছে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নির্বাহী প্রকৌশলী রায়হান সিদ্দিকী, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আখতার উন নেছা শিউলী, বিজয়নগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম ভূইয়া, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ফয়জুন নাহার টুনি, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান বাবুল আক্তার।
উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তাজুল ইসলামের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন পত্তন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ কামরুজ্জামান রতন ও শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন চর-ইসলামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ দানা মিয়া।
উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি মজিবুর রহমান বাবুল, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডঃ মাহাবুবুল আলম খোকন, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক চৌধুরী আফজল হোসেন নিছার, জাতীয় পরিষদ সদস্য আবুল কালাম ভূইয়া, উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি শাহ নজির আহমেদ, সহ-সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম রমজান, উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতা আবদুল আহাদ মাস্টার, সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান হাজী আক্তার হোসেন, জেলা যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডঃ শাহানুর ইসলাম, সাধারন সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম ফেরদৌস, ইছাপুরা ইউপির চেয়ারম্যান জিয়াউল হক বকুল, উপজেলা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক রাসেল খান, সিঙ্গারবিল ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মনিরুল ইসলাম, পাহাড়পুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ খন্দকার, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ইলিয়াছ সরকার, সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন প্রমুখ।






Shares