Main Menu

দুই কিডনিই বিকল হওয়া ছেলেকে বাঁচাতে মায়ের আকুতি

+100%-

পরিবারের স্বচ্ছলতা ফেরাতে প্রবাসে পাড়ি জমিয়েছিলেন সাব্বির মৃধা (২৫)। কিন্তু সেই স্বপ্ন পূরণ করতে পারলে না তিনি। দুটি কিডনি বিকল হয়ে যাওয়ায় প্রবাস জীবন ছেড়ে ফিরে আসেন দেশে।

সাব্বির ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার তালশহর গ্রামের মৃত হুমায়ূন মৃধার ছেলে। বর্তমানে তিনি ডায়ালাইসিস করে জীবন অতিবাহিত করছেন। প্রতিনিয়ত তার চিকিৎসার ব্যয় পরিবার বহন করতে পারছে না। আত্মীয় স্বজনদের কাছ থেকে ধার করে কোনোভাবে চলছে তার চিকিৎসা। বাঁচার আকুতি নিয়ে মা নিলুফা বেগমকে নিয়ে মানুষের দ্বারে-দ্বারে ঘুরছেন তিনি।

সাব্বির বলেন, সাত ভাই ও তিন বোনের মধ্যে পাঁচ ভাই বিয়ে করে আলাদা সংসার করছেন। আর দুই বোন বিয়ে করে আছে শ্বশুরবাড়িতে। বর্তমানে মা আর এক বোন বাড়িতে আছে।

তিনি বলেন, পরিবারে সচ্ছলতা আনতে ২০১৭ সালে লেবাননে পাড়ি জমায়। সেখানে পরিচ্ছন্নতাকর্মীর কাজ পাই। লেবাননে থাকা অবস্থায় হঠাৎ করেই অসুস্থ হয়ে পড়ি। পরে সেখানকার একটি হাসপাতালে পরীক্ষা করার পর কিডনির সমস্যা ধরা পড়ে। এরপর আমাকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়। দেশে এসে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা করিয়েছি।

চিকিৎসকের বরাত দিয়ে সাব্বির বলেন, আমার দুইটি কিডনিই বিকল হয়ে পড়েছে। সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য আমার কিডনি প্রতিস্থাপন প্রয়োজন। কিন্তু কিডনি না পাওয়ায় বর্তমানে ডায়ালাইসিস করে বেঁচে আছি। প্রতি সপ্তাহে দুইবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে কিডনি ডায়ালাইসিস করি। প্রতি ডায়ালাইসিসের জন্য খরচ হয় তিন হাজার টাকা। বিভিন্নজনের কাছ থেকে ধার করে আমার চিকিৎসার যোগান দিচ্ছে পরিবার।

সাব্বিরের মা নিলুফা বেগম জানান, অসুস্থ ছেলেকে নিয়ে আমি পড়েছি বিপদে। মানুষের দ্বারে-দ্বারে ঘুরে সাহায্য নিয়ে ছেলের ডায়ালাইসিস করাচ্ছি। অনেক টাকা দেনা হয়ে গেছে। সেই দেনা পরিশোধ করারও উপায় নেই। আমার ছেলে প্রতিদিন একটু একটু করে মৃত্যুর দিকে ধাবিত হচ্ছে। মা হয়ে ছেলের এই কষ্ট আমি সহ্য করি কীভাবে? ছেলেকে বাঁচাতে সমাজের বিত্তবানদের কাছে আর্থিক সাহায্য কামনা করছি।

সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা- মোবাইল: ০১৭৪৮৩৯৫৪৯৫। ব্যাংক হিসাব: মো. সাব্বির মৃধা। হিসাব নম্বর: ১৪০২৭০১০১০০৬১ সোনালী ব্যাংক, আশুগঞ্জ শাখা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।






Shares