নাসিরনগরে এডিপির ২৫ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে উপজেলা চেয়ারম্যান
মোঃ আব্দুল হান্নান- নাসিরনগর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের গ্রামীণ অবকাঠামোর রক্ষণাবেক্ষণ ও উন্নয়ন প্রকল্পের স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রনালয়ের (এডিপির) বরাদ্দকৃত ১ কোটি টাকা বরাদ্দের ২৫ লক্ষ টাকা উপজেলা চেয়ারম্যানের নামে হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে নাসিরনগর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এটি এম মনিরুজ্জামান সরকার। এমন অভিযোগ বিভিন্ন ইউপি চেয়ারম্যানদের। ওই নিয়ে উপজেলার চেয়ারম্যান ও ইউপি চেয়ারম্যানদের মধ্যে চলছে তুমুল বাকবিতন্ডা আর চুলছেঁড়া বিশ্লেষন। এই নিয়ে পর পর বেশ কয়েকটি মিটিং বসলেও কোনরূপ সুরাহা হয়নি বলে জানা গেছে। গোকর্ণ ইউপি চেয়ারম্যান এম এ হান্নান, হরিপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ জামাল মিয়া, ধরমন্ডলের আব্দুল হাই, চাপরতলার ফয়েজ উদ্দিন ভূইয়া, পূর্বভাগের মোহাম্মদ হোসেন হাজারী, কুন্ডার ওমরাও খান, ফান্দাউকের ফারুকুজ্জামান, নাসিরনগর সদর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ রফিজ মিয়া এ প্রতিনিধিকে জানান, অর্থলোভী উপজেলা চেয়ারম্যানের এরূপ কর্মকান্ডে জনমনে বিরোপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। তারা জানান বিভিন্ন ইউনিয়নের জনসংখ্যা, আয়তন, আর্তসামাজিক অবস্থার উপরর ভিত্তি করে ইউনিয়ন ওয়ারী নীতিমালা অনুযায়ী বন্টন করার কথা থাকলেও এবং উক্ত বরাদ্দে উপজেলা পরিষদের কোন অংশ না থাকলেও উপজেলা চেয়ারম্যান ও নাসিরনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এটি এম মনিরুজ্জামান সরকার মোট বরাদ্দের ২৫% টাকা প্রায় ২৫ লক্ষ ব্যক্তিগত ভাবে ক্ষমতার প্রভাব কাটিয়ে হাতিয়ে নেওয়ার জোর চেষ্টা করছে। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা চৌধুরী মোয়াজ্জম আহমদের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান বন্টনে কোন অনিয়ম হবে না। নাসিরনগর উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ আকবর আলীর সাথে যোগাযোগ করে নীতিমালা অনুযায়ী বিভাজন করা হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন এখনো কোন সিদ্ধান্ত হয়নি আগামী ৩০ তারিখ পরবর্তী মিটিং ডাকা হয়েছে তখন সিদ্ধান্ত হবে। উপজেলা প্রকৌশল কর্মকর্তার কার্যালয়ে কর্মরত হিসাব রক্ষক মোঃ হুমায়ূন কবিরের সাথে যোগাযোগ করে বরাদ্দকৃত টাকা নীতিমালা অনুযায়ী বিভাজন না হওয়া পর্যন্ত কি ভাবে বিভিন্ন চেয়ারম্যানদের কাছ থেকে প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে এবং বিভাজনে অনিয়ম হচ্ছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন বুঝেন না কিছুটা অনিয়মতো হচ্ছেই। এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান সরকারের সাথে কথা বলতে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে বার বার যোগাযোগের করার পরও তাকে পাওয়া যায়নি।