Main Menu

আলোচিত-সমালোচিত নাসিরনগর উপজেলা চেয়ারম্যান

+100%-

মোঃ আব্দুল হান্নান,নাসির নগর, ব্রাহ্মণবাড়িয়াঃ জেলার নাসিরনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ টি এম মনিরুজ্জামান সরকার এখন আলোচিত সমালোচিত। তাকে উপজেলাবাসির মাঝে দিন রাত চলছে অন্তহীন আলোচনা সমালোচনা। ২৪ আগষ্ট ২০১৪ অনুষ্টিত হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার ৬নং বুড়িশ্বর ইউনিয়ন পরিষদের উপনির্বাচন। অভিযোগ রয়েছে নির্বাচন পরবর্তী সময়ে উপজেলা চেয়ারম্যান তার বিরোধী সাধারণ ভোটারদের সাতে শুরু করেছে নির্মম আচরণ। জানা গেছে অত্র ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি। উপজেলা নির্বাচনে বিজয়ের পর আসনটি শুন্য হয়ে পড়ে। এ আসনে এলাকার স্ব-শিক্ষিত,সুশিক্ষিত,উচ্চ শিক্ষিত তিন রকমের  আট প্রার্থী প্রতিদ্বদ্ধিতা করেন। নির্বাচনে মন্ত্রীর আদেশ অমান্য করে উপজেলা চেয়ারম্যান তার স্ব-শিক্ষিত ছোট ভাই এ টি এম মোজাম্মেল হক সরকার(মুকুল)কে প্রার্থী করে। নির্বাচনে উপজেলা চেয়ারম্যান তার ছোট ভাইয়ের জন্য বিপুল পরিমান অর্থ,ক্ষমতার অপব্যবহার,সাধারণ ভোটারদের হুমকি,ভয়ভীতি প্রর্দশন,বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে ছোট ভাইয়ের বিজয় ছিনিয়ে আনেন। নির্বাচনে জয় লাভের পর সাধারণ ভোটারদের উপর অত্যাচারের ষ্টীমরোলার চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। বেশ কয়েকজন এ প্রতিনিধিকে জানান যে,ইউনিয়ন পরিষদ উপ-নির্বাচনে টাকা দাখিলের দিন ক্ষমতাধর উপজেলা চেয়ারম্যান মন্ত্রী পূত্রের উপর তেলে বেগুনে জ্বলে উঠে। নির্বাচনের পর দিন উপজেলা চেয়ারম্যান তার চাচাত ভাইসহ চার পাঁচজনকে পাঠান দক্ষিণ সিংহগ্রামে। সেখানে গিয়ে তারা তাদের বিরোধী সংখ্যালঘু ভোটারদের তালিকা তৈরি করে । নির্বাচনে তার ছোট ভাইয়ের পক্ষে কাজ না করায় গুনিয়াউক ইউনিয়নের গুটমা গ্রামের মোঃ বাবুল মিয়াকে লাঞ্চিত করে তার উপজেলা পরিষদ থেকে বের করে দেয় বলে জানা গেছে। উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের স্বামী কুন্ডা ইউনিয়নের লতিফ হোসেনের সাথেও চরম দুরব্যবহার করে। শ্রীঘর গ্রামের নগাই বাড়ির হাজী শিরু মিয়াকে রড গরম করে ডুকিয়ে দিবে বলে হুমকি দেয়। শ্রীঘর গ্রামের বর্তমান মেম্বার মোঃ ছায়েব আলীকে অনুরূপ হুমকি দেয়। লক্ষীপুর নির্বাচনী জনসভায় সাংবাদিক মোঃ আব্দুল হান্নানকে নির্বাচনের পর দেখে নেওয়ার ও হুমকি দেয়। জানা গেছে চেয়ারম্যান ক্ষমতা যাওয়ার পর থেকে বিভিন্ন লোককে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির হুমকি দিয়ে হয়রানিরও অভিযোগ রয়েছে।  এলাকায় ঘুরে বিভিন্ন লোকজনের সাথে কথা বলে জানা গেছে ১৯৯৫-৯৬ সালের দিকে ওই উপজেলা চেয়ারম্যান বুড়িশ্বর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। পরবর্তীতে উপজেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচন করে পরাজিত হন। পরবর্তীতে বুড়িশ্বর ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন করে ইকবাল চৌধুরী সাথে পরাজিত হন। ২০০৪ সালে বর্তমান মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী এডভোকেট ছায়েদুল হক তাকে উপজেলা আওয়ামীলীগে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করেন। ২০১১ সালের ৮ জুন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মাননীয় মন্ত্রীর দয়ায় সে বুড়িশ্বর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ২৩ মার্চ ২০১৪ উপজেলা নির্বাচনে আবারও মাননীয় মন্ত্রীর দয়ায় পূনরায় সে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এ বিষয়ে এলাকার বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ সাথে কথা বললে তারা জানান ক্ষমতা চিরদিন থাকে না।হাত বদল হয় ।তারা ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও নাসির নগরের সাবেক দুই উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ বশীর উল্লাহ জুরু ও সারা বাংলাদেশের সফল উপজেলা চেয়ারম্যান ১৬ টি সনদে ভুষিত মোঃ আহসানুল হককে উদাহরন দিয়ে বলেন জনগণ তাদের চেয়ারম্যান বানিয়ে ছিল আবার জনগণই তাদের ঘরে বসিয়ে দিয়েছে ।তারা আরো বলাবলি করছে বর্তমানে সে মন্ত্রীর মাথার উপরে ফঁণাতোলা গোখরো সাপ হয়ে দাড়িয়েছে। জানা গেছে বুধবার উপজেলা চেয়ারম্যান এ টি এম মনিরুজ্জামান সরকার তার কৃত অপরাধের ক্ষমা চাইতে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী এডভোকেট ছায়েদুল হকের বাসায় যায়। মন্ত্রী মহোদয় তাকে ক্ষমা করেছে কিনা জানতে চাইলে এরূপ কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি।






Shares