Main Menu

নাসিরনগরের ব্যবসায়ী ও কলেজ ছাত্র অপহরণ। ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে উদ্ধার

+100%-

মোঃ আব্দুল হান্নান, নাসিরনগর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার কাজল স্টুডিওর মালিক গোপাল দাস (২৮) ও কলেজ ছাত্র সুজন সূত্রধর (২০) কে শুক্রবার বিকেলে অপহরণ করে রবিবারে ছেড়ে দেয় অপহরণ কারীরা। জানা গেছে- নাসিরনগর কাজল স্টুডিওর মালিক কালীচরণ দাসের পুত্র গোপাল দাস স্টুডিওর কাজে মোটর সাইকেল যোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া যায়। অপরদিকে নাসিরনগর কলেজের ডিগ্রী পড়–য়া ছাত্র গোপাল সূত্রধরের ছেলে সুজন সূত্রধর কেনাকাটার কাজে শুক্রবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া যায়। স্ব-স্ব কাজ শেষে গোপালের নিজস্ব এপাচি মোটর সাইকেল যোগে দুইজন নাসিরনগর উদ্দ্যেশে রওনা দেয়। সুহিলপুরের ঘাটুরা নামক স্থানে আসা মাত্রই পিছন দিক থেকে ছয় সাতটি মোটর সাইকেল এসে তাদেরকে আক্রমণ করে। গোপালের মোটর সাইকেলটি তারা নিয়ে নেয় এবং গোপাল ও সুজনকে তাদের মোটর সাইকেলে উঠিয়ে নেয়। গোপাল ও সুজন জানায়- পরে অপহরণ কারীরা তারা দুইজনকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কাউতলীর এডভোকেট তছলিমের বাড়িতে নিয়ে একটি কক্ষে তালা বদ্ধ করে রাখে। রাতে তাদের জোর পূর্বক নেশা জাতীয় ট্যাবলেট খাওয়ানোর চেষ্টা করে। না খেতে চাইলে তাদেরকে মারপিট করা হয়। সুজনের কাছে পাঁচ লক্ষ ও গোপালের কাছে ত্রিশ লক্ষ টাকা মুক্তিপন দাবী করে। মুক্তিপনের টাকা দিতে অস্বীকার করলে অপহরণকারীরা দুইজনকে বিভিন্ন ভাবে নির্যাতন করে। এদিকে গোপাল ও সুজনের অপহরণের খবর এলাকায় ছড়িয়ে পরলে গোপালের ভাই রাজু দাস ও তার আত্বীয় স্বজনরা বিভিন্ন জায়গায় উদ্ধারের চেষ্টা চালায়। সুজন জানায়,  অপহরণকারীরা সারা রাত্র নেশা খেয়ে ঘুমিয়ে পড়লে রবিবার ভোর বেলা সুজন তাদের অজান্তে দরজা খুলে কোনক্রমে পালিয়ে এসে বাড়িতে খবর দেয়। পরে গোপালের ভাই রাজু দাস ও তার আত্বীয় স্বজন ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও নাসিরনগর থানা পুলিশের সহযোগীতায় বিভিন্ন জায়গায় উদ্ধার অভিযান চালায়। কিন্তু ব্যর্থ হয়ে নিরাশ হয়ে পড়ে। সুজন পালিয়ে আসার পরে অপহরণ কারীরা গোপালকে নিয়ে ওই বাড়ী ছেড়ে অন্যত্র চলে যায়। রবিবার বিকাল ৪ ঘটিকায় অপহরণকারীরা অবস্থা বেগতিক বুঝতে পেরে গোপালের মোটর সাইকেল ও মোবাইল ফোন রেখে তার চোখ বেঁধে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিশ্বরোডে ফেলে দিয়ে যায়। সেখান থেকে বিকেলে গোপালের ভাই রাজু দাস, আত্বীয় স্বজন, বন্ধু বান্ধব ও অন্যান্যরা গোপালকে উদ্ধার করে। অপহরণকারীদের চিনতে পেরেছে কিনা জানতে চাইলে গোপালের ভাই রাজু দাস জানান- পরে বলা হবে। সুজন ও  গোপাল জানায় অপহরন কারীরা ছিল মাদকাসক্ত ও অস্ত্রধারী। বাড়ির মালিক এডভোকেট তছলিম জানান, স্হানীয় মামুন এবং নয়ন নামে দুইজন তরুন ছাত্রদের কথা বলে বাসা ভাড়া নেয়। পরে ওদের আচরণে অসঙ্গতি লক্ষ্য করে তাদেরকে বাসা ছাড়ার নোটিশ প্রদান করে।






Shares