Main Menu

নাসিরনগর বিএনপিতে চরম গৃহদাহ ও অন্তঃকোন্দল

+100%-

প্রতিনিধিঃ গৃহদাহ, অসন্তোষ, আর চরম অন্তঃকোন্দলে ভরা নাসিরনগর উপজেলা বি,এন,পি। আওয়ামীলীগ ও অন্যান্য দলের  তুলনায় নাসিরনগরে বিএনপি অনেক শক্তিশালী সত্য।কিন্তু ৭১এর পর নাসিরনগরে একাধিকবার জাতীয় পার্টি ও আওয়ামীলীগ নিবার্চিত হলেও এখনো নির্বাচিত  হতে পারেনি বিএনপি ।আগামী জাতীয় নির্বাচনের হাওয়া সারা বাংলাদেশে বিএনপি মুখী হলেও নাসিরনগর আসন  নিয়ে সন্দিহান বিএনপি নেতা কর্মীরা ।এ আসন থেকে মনোনয়ন চাইবেন কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রবাসী কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক, নাসিরনগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি বিশিষ্ট শিল্পপতি আর ,এ ,কে সিরামিক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, একাধিক শিল্প প্রতিষ্টানের মালিক আলহাজ্ব এস এ কে একরামুজ্জামান (সুখন)।বিগত নির্বাচনে ও তিনি বি এন পি থেকে এ আসনে নির্বাচন করে সামান্য ভোটের ব্যবধানে  আওয়ামীলীগ প্রার্থী এডঃ ছায়েদুল হকের সাথে  পরাজিত হন ।তখন বর্তমান উপজেলা চেযারম্যান মোঃ আহসানুল হক ও তার সাথে ছিলেন ।কিন্তু এবার আহসানুল হক নিজেই প্রার্থী হবেন বলে এলাকায় গণসংযোগ ও প্রচার প্রচারনা চালিয়ে ইতিমধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করতে সহ্মম হয়েছেন ।এ বছর শোনা যাচ্ছে বি এন পির নাসির নগর উপজেলার সাবেক সাধারন সম্পাদক এডঃমোঃ কামরুজ্জামান  মামুন ও এ আসন থেকে  মনোনয়ন চাইবেন ।এ বিষয়ে তার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন মনোনয়ন চাইবো ,ইন্টারভিউ বোর্ডে যাব কিন্তু কর্তৃপহ্ম যাকে ভাল মনে করে তাকে মনোনয়ন দিবেন ।জানা গেছে আলহাজ্ব এস এ কে একরামুজ্জামান  একজন বড় মনের অধিকারী ।তাকে অনেকেই নাসিরনগর বাসীর অহংকার,গৌরব ও উজ্জল নহ্মত্র বলে মনে করেন। তাহার বিভিন্ন্  শিল্প প্রতিষ্টানে এলাকার বিপুল সংখ্যক লোকের এবং দেশের বাহিরে ও তিনি  অনেক লোকের  কর্ম সংস্থানের ব্যবস্থা করেছেন ।আগামীতে তিনি নাসিরনগরে  বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্টান, এলাকাবাসীর চিকিৎসা সেবার জন্য আধুনিক মানের হাসপাতাল ছাত্র /ছাত্রীদের লেখাপড়ার সুবিধার জন্য ডিগ্রি কলেজ কে অনার্স কলেজে রুপান্তর এবং বিশ্ববিদ্যালয় নির্মানসহ আরো অনেক উন্নয়নের আশ্বাস দিয়েছেন বলে শোনা যাচ্ছে ।জানাগেছে একাধিক বিদ্রোহি প্রার্থী  বি এন পি ও অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন কমিটি গঠন  নিয়ে দলে এখন ভিতরে ভিতরে চরম র্অন্তঃদ্বন্ধ বিরাজ করছে ।বিএনপির সাবেক সভাপতি মোঃ ইকবাল চৌধুরী তার অনুসারীদেরকে নিয়ে কমিটি গঠনের পর থেকে নীরব দর্শকের ভুমিকা পালন করে যাচ্ছে ।তাছাড়া       ও বিভিন্ন   ইউনিয়নে ছাত্রদল যুবদল ও মুল দলের কমিটি গঠন নিয়েও রয়েছে নানা ঝামেলা বলে একাধিকসুত্রে জানাগেছে । উপজেলা বিএনপির একটি বিশ্বস্থ সুত্র জানিয়েছে  কিছু সংখ্যক নেতা  একরামুজ্জামানকে ভুল পথে পরিচারনার চেষ্টা করছে ।যাদের সাধারণ ভোটারদের সাথে নেই কোন যোগাযোগ অথচ তারা নিজেদেরকে বড় মাপের নেতা হিসেবে জাহির করার চেষ্টা করছে । রক্তে মেশানো বিএনপির ত্যাগী নেতারা হ্মোভে দল থেকে দুরে সরে রয়েছে বলে ও অন্যএকটি সূত্র জানিয়েছে।
জানা গেছে ২০০১ সালের নির্বাৃচনেএকরামুজ্জামানবঙ্গবন্ধু পরিষদের ব্যানারে আওয়ামীলগের রাজনীতিতে আসেন ।দলের মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্রপ্রার্থী হিসেবে দাড়িয়ে যান ।এরপর আওয়ামীলীগে সুবিধা করতে না পেরে বিএনপিতে যোগদেন ।২০০৯ সালের ২৭ ডিসেম্ভর উপজেলা বিএনপির সম্মেলন  হয় ।সম্মেলনে দলের সাবেক সভাপতি মোঃ ইকবাল চৌধুরী ও সাধারন সম্পাদক এডঃ মোঃ কামরুজ্জামান মামুনকে সরিয়ে তিনি নিজে সভাপতি ও এম এ হান্নানকে সাধারন সম্পাদক করা হয় ।এর পর থেকেই দলের সাবেক সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকসহ অনেকেই হয়ে উঠেন কোনঠাসা ।বি এন পির এই নেতারা জানিয়েছেন ,সম্মেরনের পর থেকেই বি এন পি এখানে ভাগ হয়ে গেছে ।এখানে বি এন পির বড় একটি অংশ নীরব ।তাদের নীরবতা আগামী সংসদ নির্বাচনে ভোটের প্রভাব ফেলতে পারে বলে এমন অনেকেই ধারনা করছেন ।ইকবাল চৌধুরী বলেন আমি এখন দল থেকে দুরে আছি ।দলে কোন কর্মকান্ড নেই।দলে ব্যপক কোন্দল আছে ।গত নির্বাচনে সবাই যেভাবে একাত্ব ছিল, এবার সেটা নেই ।তিনি অভিযোগ করে বলেন, যিনি প্রার্থী হবেন সাধারণ মানুষের সাথে তার তেমন কোন যোগাযোগনেই।তিনি ইউনিয়ন পর্যায়ের অনেক দলীয় নেতা কর্মীদের চেনেন না ।এ অবস্থা বিরাজমান থাকলে জয় পাওয়া কঠিন হবে । বর্তমান বি এন পির সাধারণ সম্পাদক এম এ হান্নান বলেন দলে কোন গ্রুপিং নেই ।সাবেক সভাপতি সাধারণ সম্পাদক সবাই দলে কাজ করছে ।তার মতে একরামুজ্জামানই অপ্রতিদ্বদন্ধী ।তত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে  তার জয় নিশ্চিত বলে দাবী করেন তিনি ।






Shares