নাসিরনগরে ত্রিপল খুনের ঘটনায় পুরুষ ও মহিলা শুন্য সাইউক গ্রাম
প্রতিনিধিঃ স্কুল কমিটির নির্বাচন, উপবৃত্তির টাকা আত্মসাতের ঘটনাকে কেন্দ্র ত্রিপল খুনের ঘটনায় পুরুষ ও মহিলা শুন্য সাইয়ক গ্রাম। ব্রাহ্মনবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল ধরমন্ডল ইউনিয়নের সাইউক গ্রাম। এখানে গত বছরের অক্টোবরে স্কুল কমিটির নির্বাচন, উপবৃত্তির অর্থ আত্মসাতের ঘটনাকে কেন্দ্র করে তোফায়েল, বাচ্চু,রোকন, খসরু খলিল ও অপর দিকে শাহিন ফজলু মোসাহিদ গ্র“পের সংঘর্ষে বাচ্চু মিয়া, হারুন মিয়া, মনা বেগম নামের তিন জন খুন হয়। তিন খুনেরে ঘটনায় ২০৮ জনকে আসামি করে পৃথক পৃথক তিনটি খুনের মামলা রজু করেছে। বাচ্চু খুনের মামলায় ৫৩ জন আসামির মধ্যে ৪১ জন জামিনে থাকলে ও ১২ জন পলাতক রয়েছে। হারুন মিয়ার মামলায় ৮৯ জন ও মনা বেগমের মামলায় ৬৬ জন আসামির মধ্যে ৫ জন গ্রেফতার হলেও ১৫০ জন পলাতক রয়েছে। ত্রিপল খুনের ঘটনায় এলাকায় এখন পুরুষ শুন্য। গ্রাম ছেড়ে অন্যত্র চলে যাওয়ায় পরিবারের লোকদের মধ্যে মহিলারা বাড়ি ফিরে এলেও অনেক পরিবার প্রতিপরে হামলা ও নির্যাতনের স্বীকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। সমস্ত গ্রাম জুরে শুধু ধ্বংশের চিহ্ন। ঘটনার দিন দাঙ্গাবাজরা মালামাল লুট করে নিয়ে যায় এবং পাকা ঘর গুড়িয়ে দেয় ছন ও টিনের ঘর আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছে। অনেক পরিবার খোলা আকাশের নিচে আশ্রয় নিলে ও পার্শ¦বর্তী নোয়াগাওয়ে আশ্রয় নেওয়া দাঙ্গাবাজ বাচ্ছুর লোক জন পুলিশকে ম্যানেজ করে হয়রানি করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। বৃহস্পতিবার মোকতাদির মিয়ার স্ত্রী রোজিনা বেগম বাড়ি গেলে বাচ্চুর ভাই খসরুর নেতৃত্বে তার উপর চালানো হয় লোম হর্ষক হামলা। ৩০ অক্টোবর বাচ্চু হত্যা ২৪ আগষ্ট হারুন ও মনা খুনের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় দাঙ্গাবাজদের ভয়ে নারী পুরুষ গ্রাম ছেড়ে চলে যায়। বন্ধ হয়ে যায় গ্রামের একমাত্র শিা প্রতিষ্ঠান। ওই খুনের ঘটনার পর এলাকায় বিপুল সংখক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। এ বিষয়ে নাসিরনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আব্দুল কাদের জানান এ পর্যন্ত ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আছে। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে এবং কাউকে হয়রানির বিষয়টি খুজ নিয়ে দেখা হবে। |