নাসিরনগরে বিএনপিতে অর্ন্তদ্বন্ধ আওয়ামীলীগের দুর্গ দখলে নিতে মরিয়া বিজেপি
প্রতিনিধি ঃ নির্বাচন হবে কি না ? এমন সংশয় না কাটতেই নাসির নগর উপজেলা বিভিন্ন দলের প্রার্থীরা দৌড়ঝাপ শুরু করেছে । হ্মমতাসীন নেত্রী কখনো বলছে মার্চ এপ্রিলে আবার কখনো বলছে ২৪অক্টোবর থেকে ২৪ জানুযারীর ভিতর নির্বাচন হবে ।ম্ন্ত্রী সভা থাকবে ,সংসদ থাকবে গুরুত্বপুর্ণ সিদ্বান্ত ও অধিবেশন হবেনা ২ সেপ্টেম্বর সোমবার বিভিন্ন মন্ত্রনালয় ও সচিবদের সঙে বেঠকে এ সিদ্বান্ত নেয়া হয় । ১০তম জাতীয় সংসদ নির্বানের সময় যত ঘনিয়ে আসছে নেতাদের হাঁসি মূখে হাত বাড়ানোর মাত্রা তত বেড়ে যাচ্ছে। প্রার্থীরা ইতিমধ্যে বিভিন্ন জায়গা গণসংযোগ, পথসভা,সভাসমাবেশ বিভিন্ন বিয়ে, বৌ-ভাত ধর্মীয় ও সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগদান করতে শুরু করেছে। বিভিন্ন মসজিদ ,মন্দির ধর্মীয় অনুষ্ঠানে দান কয়রাত এবং নির্বাচন পরবর্তী সময়ে এলাকার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে সহযোগীতার আশ্বাস দিচ্ছে। এবার নাসিরনগরে লড়াই হতে পারে আওয়ামীলীগ বিএনপি,বিজেপি ও জেপি চার মূখী প্রার্থীর মধ্যে। তবে বিজেপি দৌড়ে এগিয়ে রয়েছে বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে। এবার আওয়ামীলীগের ভরাডুবী হতে পারে বলে বিশ্বস্থ সূত্রে জানা গেছে। এলাকার সাধারণ ভোটার, বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, কৃষক, শ্রমিক,জেলে,গাড়ী চালক ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন লোকজন এ তত্ত্ব জানিয়েছেন। জানা গেছে এক সময়ে জাতীয় পার্টির ঘাটি হিসেবে পরিচিত নাসিরনগর উপজেলায় পর পর ৪ বার আওয়ামীলীগ থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এডঃ ছায়েদুল হক। তিনি একজন সৎ চরিত্রবান, মেধাবী প্রবীন রাজনীতিবিদ হলেও বিগত আওয়ামীলীগের সাড়ে চার বছরের শাসনামলে উপজেলার সিনিয়র কয়েক জন নেতার দূর্নীতি ও অপকর্মের কারণে আগামী নির্বাচনে এ আসনে আওয়ামীলীগের ভরাডুবী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে। এ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক ও ফান্দাউক ইউপি চেয়ারম্যান ফারুকুজ্জামানের সাথে কথা বললে তিনি জানান “এমপি পাশ করবে তবে কঠিন হবে”। ২০০৩ সালে আওয়ামীলীগের উপজেলা কমিটি হয়েছিল এর পর আর কোন কমিটি হলনা কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন নাসিরনগর উপজেলা আওয়ামীলীগ একজনই নিয়ন্ত্রন করে তাই কমিটির প্রয়োজন পরে না। তিনি আরো জানান ১৯৯১ তে এডঃ ছায়েদুল হক স্বতন্ত প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলে তখনও আমরা তার সাথে ছিলাম। একমাত্র তৎকালীণ আওয়ামীলীগের উপজেলা সভাপতি মোঃ আব্দুর রশিদ ও শেখ আব্দুল আহাদ তার বিরোধীতা করে। বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে। উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক নাছির উদ্দিন রানা ও আহবায়ক সদস্য মোঃ মনির হোসেন ছাড়া অন্যরা দুরে সরে রয়েছে। তাছাড়াও উপজেলা আওয়ামীলীগ,যুলীগ,ছাত্রলীগ,কৃষকলীগের সাথে জেলা কমিটির ব্যাপক বৈরী সম্পর্ক বিরাজ করছে। এডঃ ছায়েদুল হক জেলা ছাত্রলীগের সাথে যোগাযোগ করতে না দেওয়ায় কমিটির অনুমোদন দেয়নি জেলা ছাত্রলীগ। এ বিষয়ে উপজেলা ছাত্রলীগ নেতাদের ভিতরে ােভের আগুন জ্বলছে। তাছাড়াও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক, ভাইস চেয়ারম্যান,মহিলা ভাইসচেয়ারম্যানের , স্বামীর বিভিন্ন দূর্নীতি ও অপকর্মের কারণে আওয়ামীলীগের ভরাডুবীর সম্ভাবনা রয়েছে বলে বিভিন্ন সুত্রে জানাগেছে । অপরদিকে বিজেপি প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা,নাসিরনগর উপজেলার চেয়ারম্যান হিসেবে সারা বাংলাদেশের সফল ও শ্রেষ্ঠ সনদ ও একাধিক পদক প্রাপ্ত মোঃ আহসানূল হক মাষ্টারের জনপ্রিয়তা দিন দিন ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এলাকায় মাটি ও মানুষের নেতা হিসেবে মোঃ আহসানূল হক মাষ্টার সাধারণ মানুষের মনে ব্যাপক ঝড় তুলেছে। আগামী সংসদ নির্বাচনে ১৮ দলীয় জোটের মনোনয়ন পেলে বিপুল ভোটের ব্যবধানে মোঃ আহসানূল হক মাষ্টার বিজয় লাভ করতে পারে বলে একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে। অপরদিকে উপজেলা বিএনপিতে অভ্যন্তরীন কোন্দল বিরাজ করছে। জানা গেছে বর্তমান সাধারণ সম্পাদক এম এ হান্নান ও তার অনুসারীরা একদিকে। সাবেক উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোঃ ইকবাল চৌধুরী ও তার অনুসারীরা বিএনপি থেকে নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে। বতর্মান উপজেলা বিএনপির সভাপতি সংসদ সদস্য প্রার্থী বিশিষ্ট শিল্পপতি আলহাজ্ব এস এ কে একরামুজ্জামান (সুখন) একজন বড় মনের অধিকারী হলেও এবং নাসিরনগর আসনে তার মত প্রার্থীর সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়া সাধারণ মানুষের জন্য বিশেষ প্রয়োজন থাকলেও দলীয় কোন্দলের কারণে না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে। অপরদিকে আগামী সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোঃ রেজুয়ান আহমেদ এলাকায় গণসংযোগ ও প্রচার প্রচারণা শুরু করেছে । জানা গেছে রেজুয়ান আহমেদের ছোট ভাই হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা নামে খ্যাত নাট্যাভিনেতা মোঃ শাহনূল করিম (গরিব উল্লাহ সেলিম)। রেজোওয়ান আহমেদের পে সাধারণ ভোটারদের আগ্রহ বাড়াতে বিভিন্ন গ্রামে হাটে বাজারে, রাস্তায় রাস্তায় গণসংযোগ, কর্মী সভাবেশ, ক্যালেন্ডার বিতরণসহ সাধারণ মানুষের মনে শীষ দিয়ে যাচ্ছে। |