Main Menu

ব্যবসার কথা বলে প্রায ৭০ লক্ষ টাকা আত্মসাতের পায়তারা।

+100%-

নাসিরনগর প্রতিনিধিঃ বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ব্যবসার কথা বলে, বিভিন্ন লোকের কাছ থেকে প্রায় ৭০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে গা ঢাকা দিয়েছে স্বপন কুমার বিশ্বাস নামের এক প্রতারক ।স্বপনের এ কাজে তার বড় ভাই অমৃত বিশ্বাস সহযোগিতা করছে বলে অভিযোগ সমস্ত পাওনাদারদের ।জানা গেছে, চতুর স্বপন কখনো কাঠের ,কখনো মাছের, কখনো সরিষার কখনো মরিচের,কখনো ইটের ব্যবসার কথা বলে এ সমস্ত টাকা সরলমনা মানুষের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছে।

ঘটনাটি ঘটেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসির নগর উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের হরিনবেড় বাজারে।গতকাল সরজমিন হরিণবেড় বাজারে গেলে ভুক্তভোগী মোঃ আলীআশরাফ,দৌলত মেম্বার, মোঃ শিরু মেম্বার ,জয়চরন দাস কাচু মিয়া,রফিক, আনুতোষ দাস ,মুক্তার, শ্রীনিবাস দাস ,নযন মিয়া,মোর্শেদ কামাল  ভীষন দাস,নিসু দাস ,সহ প্রায় শতাধিক লোক জড়ো হয় ।ভুক্তভোগিরা জানান ,মৃত ললিত মোহন দাসের ছেলে স্বপন কুমার  দাসের বাড়ি হরিপুর ইউনিয়নের শংকরাদহ গ্রামে ।সে হরিন বেড় বাজারের একজন ব্যবসায়ী । বাজারের ব্যবসায়ী হিসাবে বিভিন্ন  সময়ে স্বপন বিভিন্ন লোকের কাছথেকে টাকা পয়সা ধার করজা নিতে থাকে। এভাবে সে এক জনের অজান্তে আরেকজনের নিকট থেকে টাকা পয়সা নিতে শুরু করে ।হরিণবেড় হরিপুর ,শংকরাদহ সহ বিভিন্ন গ্রামের ৪৫জন লোকের কাছ থেকে প্রায়৭০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে তার বড় ভাই অমৃতের কাছে জমা রাখে । লোকজন তার কাছে পাওনা টাকা চাইতে গেলে বাদসাধে স্বপনের বড় ভাই অমৃত বিশ্বাস। অমৃত তার ভাই স্বপনের বিভিন্ন লোকের কাছ থেকে নেওয়া টাকা পরিশোধ করবে বলে কথা দিয়ে সময় নেয়। কিছু কিছু পাওনাদারকে কিছু টাকা অমৃতবিশ্বাস  ফেরৎ ও সম্পওি রেজিস্ট্রি করে দেন ।জানগেছে, অমৃত বিশ্বাস পাওনাদারদের টাকা দিয়ে কয়েকটি সি এন জি কিনে ব্যবসা করছে। ।পরবর্তীতে স্বপনের সম্স্ত সম্পত্বি বিক্রি  করে নগদ টাকা পয়সা এবং কিছু সম্পত্তি অমৃত ও তার অন্য ভাইদের নামে রেজিস্ট্রি হাতিয়ে নিয়ে স্বপনকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয় অমৃত ।পাওনাধাররা অমৃতের কাছে টাকা চাইতে গেলে উল্টো হুমকি দিচ্ছে বলে অনেক পাওনাদার জানিয়েছে ।পাওনাদাররা জানায়, অমৃত হ্মমতাসীন দলের ভয় দেখিয়ে কয়েক জন পাওনাধারের নামে নাসির নগর থানায় সাধারন ডাযেরি করেছে ।ভোক্তভোগিরা জানায়, অমৃতের কাছে টাকা চাইতে গেলে সে খুন গুম অপহরনে মত মামলা দিয়ে ফাসিয়ে দিবে বলে হুমকি দেয়। এ বিষয়ে অমৃতের সাথে যোগাযোগ  করে জানতে চাইলে তিনি সমস্ত ঘটনা অস্বীকার করেন ।এ বিষয়ে হরিপুর ইউনিনের চেয়ারম্যান মোঃ জামাল মিয়া, হরিনবেড় বাজার কমিটির সাধারন সম্পাদক  সাবেক মেম্বার মোঃ আলী আজগর ,হরিপুর ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের সভাপতি  মোঃ ফারুক মিয়া, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান লেঃ অবঃ মোঃ গোলামনুর সহ একাধিক ব্যক্তি এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে ।






Shares