নাসিরনগর থানার ওসির সহযোগীতায় মৃত্যু থেকে রক্ষা পেলেন ধর্ষিতা
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, ২২ মার্চ রাতে উপজেলার চাপরতলা গ্রামের ছরু মিয়ার পুত্র জিয়াউর রহমানের দ্বারা প্রতিবেশী মারাজ মিয়ার ষোড়শী কন্যা ধর্ষণের স্বীকার হয়। ওই ঘটনায় চেয়ারম্যান মেম্বার সহ গন্যমান্যরা ২৫ মার্চ ধর্ষিতার বাড়িতে শালিস বসে। শালিসকারকরা ধর্ষিতার পিতার নিকট দেড় লক্ষ টাকা যৌতুক দাবী করে। ধর্ষিতার গরীব পিতা যৌতুকের দেড় লক্ষ টাকা দিতে না পারায় বিয়ে ভেঙ্গে যায়। ধর্ষণের অপমান সহ্য করতে না পেরে লোকলজ্জার ভয়ে ধর্ষিতা বিশ পান করে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়। মূমুর্ষ ধর্ষিতাকে আত্মীয় স্বজনরা নাসিরনগর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসে। ধর্ষিতার অবস্থা আশংকা জনক দেখে, কর্তব্যরত চিকিৎসক ধর্ষিতাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। ধর্ষিতার গরীব পিতার পক্ষে ধর্ষিতাকে টাকার অভাবে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার সার্মথ্য না থাকায় তৎনাৎ নাসিরনগর থানার মহৎ অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আব্দুল কাদের নিজের পকেট থেকে ১০ হাজার টাকা দিয়ে এবং এ্যামবুলেন্স ভাড়া করে এনে ধর্ষিতাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে প্রেরণ করেন। ঢাকা মেডিকেলের কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান আর ১৫ মিনিট পরে আসলে ধর্ষিতার মৃত্যু নিশ্চিত ছিল। বর্তমানে ধর্ষিতা ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ধর্ষনের সহযোগীতার অপরাধে পুলিশ ওই দিনই চাপরতালা ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ ফয়েজ উদ্দিন ভূইয়া (পারভেজ), ইউপি সদস্য খেলু মিয়া, সাবেক ইউপি সদস্য শিশু মিয়া, সর্দার বাবু মিয়া ও দুলাল মিয়াকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে পাঠিয়েছেন। |