Main Menu

নাসিরনগরে কাল বৈশাখী ঝড়ে শত শত ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত ॥ আহত-৬

+100%-
আকতার হোসেন ভুইয়া,নাসিরনগর সংবাদদাতা ॥ নাসিরনগরে কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে সহস্রাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্তসহ উঠতি ফসলের আংশিক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঘরচাপা পড়ে আহত হয়েছে প্রায় ৬ জন। ১৪টি বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। অসংখ্য গাছপালা উপড়ে পড়েছে।  রবিবার রাতে উপজেলার কুন্ডা,,গোর্কণ,পূর্বভাগ,গুনিয়াউক ও হরিপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে গোর্কণ বাজার ও চৈয়ারকুঁড়ি বাজারের ১০/১২ টি দোকানসহ প্রায় সহস্রাধিক কাচাঁ বসতঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। সোমবার  সরেজমিনে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে , গোর্কণ ও কুন্ডা ইউনিয়নের ক্ষতির পরিমান বেশী । বোরো,মরিচসহ গ্রাষ্মকালীন সবজির আংশিক ক্ষতি হয়েছে।  এসময় গুনিয়াউক-আদাঐর পল্লী বিদ্যুতের ৩৩ কেভি সঞ্চালন লাইনের ১৪ টি খুঁটি ভেঙ্গে পড়ায় নাসিরনগর উপজেলায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। অসংখ্য গাছপালা ভেঙ্গে পড়েছে। কোন কোন এলাকায় গাছপালা রাস্তার ওপর পড়ে লোকজনের চলাচলে বিঘিœত হচ্ছে। গোকর্ণ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এম এ হান্নান জানান, রবিবার রাতে ঝড়ে আমার ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের সহস্রাধিক বাড়িঘর ঝাঁজরা হয়ে গেছে। এসময় গোর্কণ বাজার ও চৈয়ারকুঁড়ি বাজারের ১০/১২টি দোকানঘর বিধ্বস্ত হয়। এসময় প্রায় ৬ জন লোক আহত হয়েছে।  
উপজেলা প্রকল্পবাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ হোসেন জানান, ঘুর্ণিঝড়ের আঘাতে উপজেলার বেশ কয়েকটি এলাকা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা পাঠানোর জন্য সংশ্লিষ্ঠ ইউপি চেয়ারম্যারদের অনুরোধ করা হয়েছে। নাসিরনগর পল্লী বিদ্যুৎ বিলিং এরিয়া অফিসের সহকারী জেনারেল ম্যানেজার(নিপুর) নূর মোহাম্মদ জানায়,, প্রচন্ড ঝড়ে মাধবপুর বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে নাসিরনগর বিদ্যুৎ সঞ্চালনের ৩৩ কেভি ও ১১ কেভির দুটি লাইনের ১৪ টি খুঁটি ভেঙ্গে পড়ায় রবিবার সন্ধ্যা থেকে মঙ্গলবার দুপুর  পর্যন্ত  নাসিরনগর উপজেলা বিদ্যুৎবিহীন রয়েছে। তবে বিকল্প বিদ্যুতে শুধুমাত্র উপজেলা সদরে চালু করা হয়েছে।  






Shares