নাসিরনগ আওয়ামীলীগে গৃহদাহ, বি এন পির প্রার্থী চুড়ান্ত



অভিযোগ মন্ত্রীর আত্মীয়করন,রাজাকার পুত্র ও অযোগ্যদের মনোনয়ন প্রদান-
সুষ্ঠ সমাধান না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলনের হুমকি প্রতিবাদ কারীদের।
নাসিরনগর(ব্রাক্ষণবাড়িয়া)সংবাদদাতাঃ:নাসিরনগরে মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রীর বিরোদ্ধে ফুঁেস উঠেছে তার নির্বাচণী এলাকার জনগণ।তিনি ব্রাক্ষণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর ১ আসনের সংসদ সদস্য এডঃ মোঃ ছায়েদুল হক।ব্রাক্ষণবাড়িয়া জেলার নাসির নগর উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের দলীয় প্রার্থী মনোনয়নে বিরোধ বিরাজ করলে ও বি এন পির প্রার্থী মনোনয়ন প্রায় চুড়ান্ত বলে দলীয় সুত্রে জানা গেছে ।
জানা গেছে ২৭ ও ২৮ ফেব্রƒয়ারী গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারে মাননীয় মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রী এডঃ মোঃ ছায়েদুল হক চার দিনের সরকারী সফরে নাসিরনগরে এসে স্থানীয় ডাক বাংলোতে বসে নিজ ইচ্ছে মত প্রার্থী বাচাই করে জেলা কমিটির কাছে তালিকা প্রেরন করেন কিন্তু নিয়মবর্হিভুত প্রার্থী বাছাইয়ের কারনে জেলা কমিটির সভাপতি সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষর করেননি ।এতে সৃষ্টি হয় বিশৃংখলার ।মন্ত্রীর মনোনীত বা বাচাই করা প্রার্থীদের মাঝে রয়েছে ,চাতলপাড় ইউনিয়ন থেকে শেখ মোঃ আব্দুল আহাদ,ভলাকুট ইউনিয়নে এস এম বাকি বিল্লাহ জুয়েল,গোয়াল নগর থেকে মোঃ কিরণ মিয়া,নাসিরনগর সদর থেকে মোঃ আবুল হাসেম,কুন্ডা ইউনিয়ন থেকে মোঃ ওয়াছ আলী,হরিপুর ইউনিয়ন থেকে রাজাকার পুত্র হাজী মোঃ ফারুক মিয়া,চাপরতলা ইউনিয়ন থেকে হাজী মোঃ আব্দুল হামিদ,ধরমন্ডল ইউনিয়ন থেকে মোঃ বাহারউদ্দিন চৌধুরী,ফান্দাউক ইউনিয়ন থেকে হাজী মোঃ ফারুকুজ্জামান,বুড়িশ্বর ইউনিয়ন থেকে এ টি এম মোজাম্মেল হক সরকার (মুখুল),গুনিয়াউক ইউনিয়ন থেকে মোঃ দরবেশ মিয়া ও তার নিজ ইউনিয়ন থেকে তার ভাগিনা মোঃ জানু মিয়া মেম্ভার কে ।
মন্ত্রীর নিজের ইচ্ছে মত দেয়া তালিকা মেনে নিতে নারাজ জেলা ও কেন্দ্রীয় কমিটি।মন্ত্রীর নিজের ইচ্ছে করা তালিকার বিরুদ্ধে জেলা কমিটির কাছে লিখিত আবেদন করেন গুনিয়াউক ইউ,পি চেয়ারম্যান মোঃ গোলাম ছামদানী পিয়ারু। পিয়ারু মিয়ার লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে জেলা কমিটির সভাপতি,সাধারণ সম্পাদক মিলে বিভিন্ন উপজেলা ও ইউনিয়ন কমিটির সভাপতি সাধারন সম্পাদক কে নিয়ে মিটিং করে তারা ও মনোনয় ফরম বিক্রির সিদ্বান্ত নিয়ে ফরম বিক্রি করে ।জেলা কমিটির নিকট থেকে ফরম সংগ্রহ করে চাতলপাড় ইউনিয়নের মোঃ আব্দুল মালেখ সরকার,নাসিরনগর সদর ইউনিয়নের শেখ মোঃ আব্দুল আহাদ,গুনিয়াউক ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান মোঃ গোলাম ছামদানী পিয়ারু,সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ জিতু মিয়া,হরিপুর ইউনিয়ন থেকে মোঃ রাশেদ চৌধুরী দেওয়ান মোঃ আতিকুর রহমান (আঁখি), মন্ত্রীর নিজ ইউনিয়ন পূর্বভাগ থেকে তার ভাগিনা ও যুবলীগ নেতা মোঃ আবুল কালাম আজাদ, ভাতিজা ও যুবলীগ নেতা মোঃ রেজাউল হক আমজাদ হাজী মোঃ জাহের মিয়া ,মোঃ হাবিবুল্লাহ সাবেক মেম্ভার ও মোঃ ফুল মিয়া প্রমূখ।
মন্ত্রীর এই মনোনয়নের বিরুদ্ধে নাসিরনগর স্থানীয় শহিদ মিনার প্রাঙ্গন, ব্রাক্ষণবাড়িয়া বিশ্বরোডে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি,গণজাগরণ মঞ্চ ,মুক্তিযোদ্বা সংসদ সহ সর্বস্থরের জনতার উদ্যোগে মানব বন্ধন প্রতিবাদ সমাবেশ হয়।গুনিয়াউকের চেয়ারম্যান মোঃ গোলাম ছামদানী পিয়ারুর নেত্রীত্বে গুনিয়াউকে ও মন্ত্রীর নিজ ইউনিয়নে তার ভাগিনা ও যুবলীগ নেতা মোঃ আবুল কালাম আজাদ,ভাতিজা মোঃ রেজাউল হক আমজাদ ,মোঃ হাবিবুল্লাহ মেম্বার,মোঃ আবু ছালেক, মোঃ জাহের মিয়া,মোঃ ফুল মিয়া সহ পূর্বভাগ,চান্দের পাড়া,কোয়রপুর,শ্যামপুর ,কদমতলী,কিপাত নগর,বেলুয়া সাত গ্রামের লোকজন তিন যাবৎ মিছিল, মিটিং,প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানব বন্ধন চালিয়ে যাচ্ছে।তাদের এই কর্মসূচী অব্যাহত আছে ।সুষ্ট সমাধান না হওয়া পর্যন্ত এই কর্মসূচী চলবে বলে জানান আন্দোলনকারীরা মোঃ আবুল কালাম আজাদ ও মোঃ রেজাউল হক আমজাদ জানান আমাদের ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের কোন কমিটি ছিল না ।হঠাৎ মন্ত্রী তার বাসায় বসে মোঃ াাব্দুল খালেক রেনু মিয়া কে সভাপতি মোঃ অবিদ রেজাকে সাধারণ সম্পাদক করে মন্ত্রী এক পকেট কমিটি তৈরী করে ফেলে ।যা ইউনিয়নের কেউ জানে না এবং মেনে নিতে ও রাজি না ।তারা জানান আওয়ামীলীগের পূর্বভাগ ইউনিয়ন কমিটির সভাপতি মোঃ আব্দুল খালেক রেনু মিয়ার ছেলে ওই ইউনিয়নের ৩ নং ওর্য়াড বি এন পির সহ সভাপতি ।অপরদিকে বি এন পির মনোনয়ন প্রায় চুরান্ত বলে জানান দলীয় নেতা কর্মীরা ।জানা গেছে বাংলাদেশ জাতীয়বাদী দল বি এন পি নাসিরনগর সদর ইউনিয়ন থেকে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন মোঃ কামরুল আলম ভুইয়া,বুড়িশ্বর ইউনিয়ন থেকে মোঃ ইকবাল চৌধুরী,কুন্ডা ইউনিয়ন থেকে মোঃ ওমরাও খান ,হরিপুর ইউনিয়ন থেকে মোঃ জামাল মিয়া,চাপরতলা ইউনিয়ন থেকে মোঃ ফয়েজ উদ্দিন ভূইয়া পারভেজ,ধরমন্ডল ইউনিয়ন থেকে মোঃ আব্দুল হাই ,ফান্দাউক ইউনিয়ন থেকে এডঃ মোঃ কামরুজ্জামান (মামুন),গোর্কণ ইউনিয়ন থেকে এম এ হান্নান,চাতলপাড় ইউনিয়ন থেকে হাজী মোহাম্মদ আলী,গোয়ালনগর ইউনিয়ন থেকে হাজী মোঃ তারিক মিয়া,ভলাকুট ইউনিয়ন থেকে মোঃ বরকত উল্লাহ,গুনিয়াউক ইউনিয়ন থেকে মোঃ আবুল হোসেন ।
আওয়ামীলীগের মনোনয়ন সম্পর্কে জানতে চাইলে জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আল মামুন সরকার এ প্রতিনিধিকে জানান,মন্ত্রী কোনরুপ নিয়ম না মেনে প্রার্ধী বাচাই করেছেন।এ ক্ষেত্রে যে সব ইউনিয়নে প্রার্থী বাচাইয়ে ব্যাপক অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতি হয়েছে সে গুলোর ৫ টিতে নতুন প্রার্থীর নাম লিখে কেন্দ্রে তালিকা প্রেরন করা হয়েছে। বিষয়ে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সাধারণ সম্পাদক বরাবরে লিখিত চিঠি পাঠনো হয়েছে ও মন্ত্রীর বিরুদ্ধে কেন্দ্রে অভিয়োগ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চেয়ে মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রী এডভোকেট মোঃ ছায়েদুল হকের সাথে একাধিক বার যোগাযোগ করে তার কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি ।