নাসিরনগরে ১০০০ হাজার লিটার চোলাই মদ উদ্ধার।



এম.ডি.মুরাদ মৃধা:নাসিরনগর হতে : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরের গোয়ালনগর ইউনিয়নের মুচি পাড়া থেকে প্রায় ১০০০ হাজার লিটার চোলাই মদ উদ্ধার হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। গ্রামের স্থানীয় মুরুব্বীয়ানারা ও যুবকরা মিলে গতকাল রাত ১০টার সময় চোলাই মদ উদ্ধার অভিযান চালায়। স্থানীয়দের অভিযোগ দীর্ঘ দিন ধরে পুলিশ প্রশাসনকে অভিযোগ করার পরও কোন প্রতিকারর না পেয়ে রাতের অাধারে যুবক বৃদ্ধ মিলে ২৫ ড্রাম (১০০০) লিটার চোলাই মদ উদ্ধার করে।
জানা যায়, গতরাত বুধবার ১০টা গোয়ালনগরের এ এইচ রনি,ইউনুছ মিয়া, আবুল হোসেন. করিম হোসেন, রাজিব আহম্মেদ, মনিরুজ্জামান এর নেতৃত্বে স্থানীয় শত শত জনতাকে সাথে নিয়ে চোলাই মদ তৈরির কারখানা হিসাবে পরিচিত মুচি বাড়িটি ঘেরাও করে। বাড়ির প্রতিটি ঘরের চতুর্দিকে গর্তে পুঁতে রাখা চোলাই মদের অন্তত ২৫টি ড্রাম তুলে এনে রাস্তার পাশে রাখে। পরে ইউপি চেয়ারম্যান এর নির্দেশে পরিষদের ভিতেরে জমা রাখা হয় এবং উদ্ধারকৃত মদ পানিতে ফেলে দেয়ার নির্দেশ দেন। জনতা তৎক্ষণাৎ ড্রামের মদ পানিতে ঢেলে দেয়। যুবসমাজের এ কৃতিত্বপূর্ণ কাজের জন্য স্থানীয় চেয়ারম্যান তাদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। এ মদ তৈরির সাথে জড়িত বাদল দাস, রবি দাস, কাশিয়া লাল,তুফান দাস, খুশি লাল দাস পলাতক আছেন।
এ ব্যপারে গোয়ালনগর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মো: আজহারুল হক বলেন, চোলাই মদ উদ্ধারের বিষয়টি আমি জেনেছি। গত মাসিক মিটিংএ ও আমি গোয়ালনগর ইউনিয়নের মদ,জুয়া,ইয়াবার মত মরণ নেশা নিয়ে আলোচনা করেছি। প্রশাসন সহযোগিতা করলে আমার এলাকায় কোন মদ,জোয়া,ইয়াবা থাকবেনা।