নাসিরনগরে সপ্তম শ্রেণির স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষনের চেষ্টা, থানায় মামলা
এম.ডি.মুরাদ মৃধাঃ নাসিরনগর হতে॥ নাসিরনগরে ৭ম শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রীকে (১৩) ধর্ষনের চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ২৩ মে বুধবার রাত ৮টা এ ঘটনা ঘটে।
থানার এজাহার সুত্রে জানা যায়, ২৩ মে বুধবার রাত ৮টায় বাড়ির পাশে টিউবওয়েলে মুখ ধৌত করিতে গেলে উৎপেতে থাকা হৃদয় মিয়া(২০) সহ তার বন্ধুরা তার বাড়ি হতে উঠিয়ে নিয়ে যায়। সংঙ্গবদ্ধ ভাবে তাকে ধর্ষন করতে গেলে তার চিৎকারে আশ পাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করতে এলে হৃদয় মিয়া সহ তার সঙ্গীরা পালিয়ে যায়।
ঘটনার পর থেকে এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গরা ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে কয়েকবার শালিশ বৈঠক করে মীমাংশার চেষ্টা করে ব্যার্থ হয়েছে। থানায় মামলা হলে তার মেয়েকে আবার তুলে নিয়ে ধর্ষণ সহ হত্যা করার হুমকী দিয়ে আসছে। তাই ভুক্তভোগীর বাবা বাদী হয়ে গত ২৭ মে বুধবার রাতে নাসিরনগর থানায় হাজির হয়ে হৃদয় মিয়া(২০) সহ আরো ৩ জনকে আসামী করে ধর্ষনের চেষ্টার অভিযোগে থানায় মামলা করেন।
ছাত্রীর বাবা মো: আলাল মিয়া বলেন, একটি মহল ঘটনাটি ধামসাচাপা দেয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে। আমি যাতে আইনগত ব্যবস্থা নিতে না পারি সে জন্য বিভিন্না ভাবে ভয় ভীতি দেখানো হচ্ছে। আমার মেয়েকে আবারো তুলে নিয়ে ধর্ষন করা হবে বলে বাড়িতে এসে হুমকী দিয়ে যাচ্ছে। তাই বাধ্য হয়ে আমার মেয়েকে স্কুলে যেতে বারন করেছি।
ভুক্তভোগী স্কুল ছাত্রী আদিছা বেগম(১৩) চাতলপাড় ওয়াজ উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির ছাত্রী। সে ভলাকুট ইউনিয়নের দূর্গাপুর গ্রামের মো: আলাল মিয়ার মেয়ে। আসামী গন একই এলাকার হৃদয় মিয়া(২০) পিতা-রমজান মিয়া, রুবেল মিয়া(২৪) পিতা- আ: হেকিম, রাষ্ট্র মিয়া(৩৫) পিতা- আ:রশিদ, রমজান আলী(৪৫) পিতা- আ:হেকিম। স্কুল ছাত্রীর বাবা আরো বলেন হৃদয় মিয়া ঘটনার পর হতে ঢাকায় আছে। তার পরিবার তাকে দ্রুত বিদেশ পাঠিয়ে ধর্ষনের চেষ্টার শাস্তি হতে বাচতে চাচ্ছে।
এ বিষয়ে চাতলপাড় ওয়াজ উদ্দিন স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জাফর জানান, এ ব্যপারে আমরা শতর্ক আছি। আশা করছি আসামীদের খুব দ্রুত আইনের আওতায় আনতে পারব।