Main Menu

নাসিরনগরের হিন্দু মন্দিরে ভাঙচুর, হিন্দু বাড়িঘরে হামলা, লুটতরাজ এবং প্রশাসনের ভূমিকার ব্যাপারে মন্ত্রীর সাংবাাদিক সম্মেলন

জীবনে কখনো কোন হিন্দুকে মালাউন বলেছি বলে কেউ প্রমাণ দিতে পারবে না:: মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রী ছায়েদুল হক

+100%-

bডেস্ক ২৪:: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরের হিন্দু মন্দিরে ভাঙচুর, হিন্দু বাড়িঘরে হামলা, লুটতরাজ ও হিন্দুদের উদ্দেশে মালাউনের বাচ্চা বলে গালি দেওয়ার ঘটনায় সমালোচনায় থাকা মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রী ছায়েদুল হক এক সংবাদ সম্মেলনে হিন্দুদের গালি দেওয়ার ঘটনাকে অস্বীকার করে হামলাকালীন সময়ে প্রশাসনের ভূমিকার প্রশংসা করেন।

সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী ছায়েদুল হক দাবি করেছেন, “এত বছরের জীবনে কখনো কোন হিন্দুকে মালাউন বলেছি বলে কেউ প্রমাণ দিতে পারবে না, দাঙ্গা বাধিয়ে আমি নিজের পায়ের নিজে কুড়াল মারব কেন।  রবিবার দুপুর ২ টায় নাসিরনগর আশুতোষ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

হামলাকারীদের মুখোশ উন্মোচনে সাংবাদিকদের প্রশাসনকে সহযোগিতার আহ্বান জানিয়ে প্রাণিসম্পদমন্ত্রী বলেন, আপনারা অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার মাধ্যমে হামলাকারীদের মুখোশ উন্মোচন করে প্রশাসনকে সাহায্য করুন এবং এমন কোনো সংবাদ প্রকাশ করবেন না যাতে হিন্দু ভাই-বোনদের মনে ভীতির সঞ্চার হয়।

মন্ত্রী বলেন, সংখ্যালঘুদের মন্দির ও ঘরবাড়িতে হামলার ঘটনায় প্রশাসনের কোন ব্যর্থতা ছিল না। ওসি ও ইউএনও’র প্রশংসা করে মন্ত্রী দাবি করেন, এরাই হামলা ঠেকিয়েছে।

১৪ দলের সমন্বয়ক মোহাম্মদ নাসিম এই ঘটনার জন্য প্রশাসনকে দায়ি করে সব কর্মকর্তাকে প্রত্যাহারের দাবি জানানোর প্রসঙ্গে ছায়েদুল হককে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “নাসিম সাহেব এলাকায় আসেননি।  আমি আছি। না আইসা এইগুলা বলা যায় না। আমার মনে হয় তাঁকে ভুল বোঝানো হয়েছে”।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আমি চার দিন পর নয়, দুইদিন পরেই নসিরনগর এসেছি। এসে পরিস্থিতি শান্ত করেছি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে প্রশাসনের কোন গাফলতি ছিল না। অনেক আগে থেকেই নাসিরনগর আওয়ামীলীগে ষড়যন্ত্র চলছে। কিছু লোককে দলে না ঢুকানোই তারাই ষড়যন্ত্র করে এই পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। এই ষড়যন্ত্র অনেক গভীর এবং অনেক আগে থেকে চলছে।

দলের তিন নেতাকে বহিস্কারের ব্যাপারে মন্ত্রী বলেন, এ ঘটনায় আওয়ামীলীগের যে তিন কর্মীকে বহিস্কার করেছে এটা সম্পূর্ণ না বুঝে করা হয়েছে। প্রকৃত পক্ষে এ তিন লোক দাঙ্গা হাঙ্গামা সামাল দিচ্ছিল বলে বলেন মন্ত্রী। তারা দাঙ্গা সামাল দিতে গিয়ে আহতও হয়েছেন। এ বিষয়ে জেলা আওয়ামীলীগ আমার সাথে কথা না বলেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

রসরাজ ফেসবুক ব্যবহারে পারদর্শী নয় জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, “সে জেলে মানুষ, এইগুলা করার বুদ্ধি যে তার নেই সেটা আইটি এক্সপার্টদের পরীক্ষায় বের হয়েছে”।

উল্লেখ্য, গত ২৮ অক্টোবর রসরাজ দাস নামের এক হিন্দু যুবক ফেসবুকে কাবা শরীফের উপরে হিন্দু মূর্তির ছবি স্থাপন করে এক পোস্টের পর তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে উত্তেজনা বিরাজ করে। ওই পোস্টের দুই দিন পর রোববার (৩০ অক্টোবর) হেফাজতে ইসলাম ও আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াত নামের ধর্মভিত্তিক দুই সংগঠন সেখানে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করে। মিছিল থেকে সেখানকার হিন্দু মন্দিরে ভাঙচুর, হিন্দু বাড়িঘরে হামলা ও লুটতরাজ চালানো হয়।






Shares