কে সেই সংগ্রাম? ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসনের মনোনয়ন চায়? ফেসবুকের অপপ্রচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ
এম.ডি.মুরাদ মৃধা :: কে সেই সংগ্রাম? এই শিরোনামে ফেসবুক স্ট্যাটাসের অপপ্রচারকারীর প্রতি তীব্র প্রতিবাদ জানান এলাকার সাধারণ জনগন। “মিনু আপার ভক্ত” নামক একটি ভুয়া ফেসবুক আইডি হতে কে বা কাহারা এ অপপ্রচার চালিয়ে আসছে। ভুয়া ফেসবুক আইডিতে ফরহাদ হোসেন সংগ্রামের মামা সম্পর্কে বলা হয় ব্রিগ্রেডিয়ার জেনারেল খালেদ মোশারফ ভুয়া মুক্তি যোদ্ধা। তিনি ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট নিয়ে মুক্তিযোদ্ধার খাতায় নাম লিখিয়েছেন। যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও আপত্তিকর।
বিএম ফরহাদ হোসেন সংগ্রামের দাদা আবিদুল হোসেন দুধ মিয়া। তিনি ১৯৫৪ সালে গুনিয়াউকে নিজ বাড়ি মৃত্যুবরণ করেন। অথচ ফেসবুকে লেখা হয়েছে তার দাদাএ আর মঞ্জুর আলী ১৯৭১ সালে পাক হানাদার বাহিনীর দালাল ছিল। অথচ তার দাদা আবিদুল হোসেন দুধ মিয়া ১৯৫৪ সালে তার নিজ বাড়িতে মৃত্যু বরণ করেণ। তাহলে কে সেই মঞ্জুর আলী? তাকে ফরহাদ হোসেন সংগ্রামও চিনেন না এবং তার সাথে তাদের কোন যোগাযোগও নেই।
যোদ্ধাঅপরাধী মামলায় দন্ডপ্রাপ্ত আসামী সৈয়দ মোঃ কায়সার ও বি এম ফকরুল হোসেনকে সংগ্রামের ফুফাত ভাই হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। অথচ ফরহাদ হোসেন সংগ্রামের সাথে তাদের কোন ব্যক্তিগত এবং রাজনৈতিক সম্পর্ক নেই। যারা এই আলবদর নেতাকে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান বি এম ফরহাদ হোসেন সংগ্রামের আত্মীয় বলে অপপ্রচার চালিয়েছে তাদের প্রতি তীব্র ভৎসনা ও নিন্দা জ্ঞাপন করেন।
ফরহাদ হোসেন সংগ্রামের মা-বাবাকেও নিয়ে ফেসবুকে খারাপ মন্তব্য করেছে কিছু দুষ্ট লোক। ফরহাদ হোসেন সংগ্রামের একনিষ্ট কর্মী মোঃ আল ইমরান বলেন, ফরহাদ হোসেন সংগ্রামের মা একজন মুক্তিযোদ্ধা। তার বাবাও মুক্তিযোদ্ধা। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সশস্ত্র সংগ্রামের প্রক্কালে যমজ দুটি সন্তানের জন্ম হয়। যাদের নাম রাখেন বঙ্গবন্ধু। একজন হলেন “সংগ্রাম অন্যজন তার ছোট বোন মুক্তি”। তাদের জন্ম হয় ১৯৭৫ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্থানী ক্র্যাক ডাউন রাতে।
এ ব্যপারে বিএম ফরহাদ হোসেন সংগ্রামের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, আমার জনপ্রিয়তায় ইর্ষান্নিত হয়ে একটি কুচক্রী মহল ফেসবুকের মত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ অপপ্রচার চালাচ্ছে। আমি যখন প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করতে যাই তখন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ড. আব্দুস সুবহান ও সাইফুজ্জামান শেখর আমায় জানান যে আমার বিরুদ্ধে কে বা কাহার বে-নামী চিঠি দিয়েছে প্রধানমন্ত্রী সহ আ.লীগের কেন্দ্রী নেতাদের কাছে। তারা চিঠিতে উল্লেখ করেন আমার মামা ব্রিগ্রেডিয়ার জেনারেল খালেদ মোশারফ ভুয়া মুক্তি যোদ্ধা। আমার মা-বাবা ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা এবং যোদ্ধাঅপরাধী মামলায় দন্ডপ্রাপ্ত আসামী সৈয়দ মোঃ কায়সার ও বি এম ফকরুল হোসেন আমার ফুফাত ভাই। আমি এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। এবং এর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিব।
এক নজরে বদরুদ্দোজা মোঃ ফরহাদ হোসেন সংগ্রামঃ
রাজনৈতিক জীবনঃ
ঢাকার অন্যতম বিদ্যাপীঠ রেসিডিন্সিয়াল মডেল স্কুলে পড়ার সময় ছাত্রলীগে যোগদান করেন। সংগ্রামের ছোটবেলা কেটেছে মতিঝিল এজিবি কলোনিতে। ১৯৮৬ সালে তৎকালীন ৩৩নং ওয়ার্ডের বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৩-৯৪ সালে মতিঝিল থানা ছাত্রলীগের আহবায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৩ সালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ জাতীয় কমিটির সদস্য মনোনিত হন। ১৯৯৪ সালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মনোনিত হন। ১৯৯৮-২০০২ সালে গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০২-২০০৬ সালে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হিসেবে দায়ীত্ব পালন করেন। ২০১২ সাল থেকে বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় আ.লীগের সহ-সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
শিক্ষা জীবনঃ ১৯৮৮ সালে ঢাকা রেসিডিন্সিয়াল মডেল স্কুল হতে এসএসসি পাশ করেন। ১৯৯০ সালে ঢাকা কলেজ হতে এইচ এস সি পাশ করেন। ১৯৯৪ সালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় হতে স্নাতক পাশ করেন। ১৯৯৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে স্নাতোকোত্তর ডিগ্রী লাভ করেন। ২০১৪ সালে এল এল বি ও ২০১৬ সালে এল এল এম ডিগ্রী লাভ করেন।
পেশাঃ পেশায় তিনি ব্যবসা। আমদানীকারক, মেসার্স হোসেন এন্টারপ্রাইজের সত্ত্বাধিকারী।