Main Menu

ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়ার সরাইলে জঙ্গী দমনে বিজিবির “রিজিয়ন রিজার্ভ ব্যাটালিয়ন ” গড়ে তোলার উদ্যোগ

+100%-

ডেস্ক ২৪: সারাদেশে জঙ্গিদের দমনে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) পূর্ণাঙ্গ ব্যাটেলিয়ন গঠন করা হচ্ছে। আর এজন্য অত্যাধুনিক সামরিক সরঞ্জাম সমৃদ্ধ এই বিশেষ ব্যাটেলিয়ন বেসামরিক প্রশাসককে বিভিন্ন কার্যক্রমে সহযোগিতা করবে।

সত্রে জানা গেছে, উগ্র জঙ্গি দমনের জন্য বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের ওই ব্যাটেলিয়ন ‘রিজিয়ন রিজার্ভ ব্যাটেলিয়ন’ নামে  সীমান্তে দায়িত্ব পালনের কোন বাধ্যবাধকতা নেই। তারা জঙ্গী দমনের পাশাপাশি সহিংস রাজনৈতিক কর্মসূচী মোকাবেলা, অবৈধভাবে ভোগ্যপণ্য মজুদসহ আরও বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রমে ইতোমধ্যে সম্পৃক্ত হয়েছে।

এ ব্যাটারিয়নকে ম্যাজিস্ট্রেট, বিজিবি ও পুলিশের সমন্বয়ে টাস্কফোর্স গঠন করে নির্দিষ্ট অঞ্চলে যে কোন ধরনের অভিযান চালানোর ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে অতীতের মতো সবক্ষেত্রে বেসামরিক প্রশাসনের আহ্বানের জন্য এ ব্যাটেলিয়নকে অপেক্ষা করতে হবেনা। তবে বেসামরিক প্রশাসনও তাদের চাহিদা অনুযায়ী এ ব্যাটেলিয়নকে ব্যবহার করতে পারবে।

সুত্রটি আরো জানায়, চট্টগ্রামে রিজিয়ন রিজার্ভ ব্যাটেলিয়নের অধিনায়ক হিসেবে কাজ করছেন ২৮ বর্ডার গার্ড ব্যাটেলিয়নের লে.কর্ণেল এস এম সালাহউদ্দিন।

‘রিজিয়ন রিজার্ভ ব্যাটেলিয়নের আওতায় স্বতন্ত্র একটি গোয়েন্দা প্লটুন রয়েছে। জঙ্গীবাদ দমন, চোরাচালান ও মাদক প্রতিরোধ এবং বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তায় করা হচ্ছে। যে কোন ধরনের সহিংস কর্মসূচী মোকাবেলার জন্য তাদের বিশেষ প্লাটুন রয়েছে।

বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর বিডিআর বিদ্রোহের পর পুর্নগঠিত বিজিবি’র আওতায় দেশের চার অঞ্চলে এ ধরনের চারটি ব্যাটেলিয়ন গড়ে তোলার উদ্যোগ নেয়া হয়। অঞ্চলগুলো হচ্ছে, চট্টগ্রাম, যশোর, রংপুর এবং ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়ার সরাইল।

সুত্রটি আরো জানায়, চট্টগ্রামে ২৮ বর্ডার গার্ড ব্যাটেলিয়নের অভ্যন্তরীণ ‘রিজিয়ন রিজার্ভ ব্যাটেলিয়ন’ নামে এ বিশেষ ইউনিট গত ফেব্রুয়ারিতে প্রাথমিকভাবে কাজ শুরু করেছে। গত আগস্টে ব্যাটেলিয়নটি পূর্ণাঙ্গভাবে মাঠে নেমেছে।

চট্টগ্রাম, তিন পার্বত্য জেলা রাঙামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি এবং কক্সবাজার জেলা এ ব্যাটেলিয়নের কার্যক্রমের আওতাভুক্ত রয়েছে। ার একইভাবে যশোর, রংপুর এবং ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়ার সরাইলেও তিনটি আলাদা ব্যাটেলিয়ন গড়ে তোলার কাজ চলছে।

রিজিয়ন রিজার্ভ ব্যাটেলিয়নে প্রায় সাতশ’রও বেশি সদস্য আছে। তাদের জন্য বরাদ্দ আছে অত্যাধুনিক সাজোয়া যান, অস্ত্রশস্ত্রসহ সামরিক সরঞ্জাম, বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট ও হেলমেট, ওয়াকিটকিসহ বিভিন্ন আধুনিক ইক্যুইপমেন্ট।

এ ব্যাটেলিয়নের আওতায় দু’টি বিশেষ প্লাটন রয়েছে। আর একটি গোয়েন্দা প্লাটুন এবং অপরটি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও সহিংসতা মোকাবেলায় প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত বিশেষ প্লাটুন।

ওই গোয়েন্দা প্লাটুনে ৩৫ জন সদস্য রয়েছে। এরা বিজিবি’র গোয়েন্দা ইউনিটের চেয়ে আলাদা এবং বিশেষভাবে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত।

সহিংসতা মোকাবেলার জন্য যে প্লাটুন গড়ে তোলা হয়েছে সেখানেও আছে ৩৫ জন সদস্য। হরতালসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচীতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য তারা অত্যাধুনিক সাজোয়া যানসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম নিয়ে মাঠে নামতে পারবে।

সহিংসতার মোকাবেলার জন্য যে প্লাটুন গড়ে তোলা হয়েছে ব্যাটেলিয়নের পূর্ণাঙ্গ কার্যক্রম শুরুর আগেই তাদের মাঠে নামানো হয়েছে।

সুত্রটি জানায়, মানবতা বিরোধী অপরাধে যুক্ত দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর রায়ের পর চট্টগ্রামের বাঁশখালী, সাতকানিয়া ও লোহাগাড়ায় সহিংসতা দমনে এ প্লাটুনকে কাজ করতে হয়েছে।

এছাড়া গত কয়েক মাসে বিএনপি ও জামায়াত যেসব হরতাল কর্মসূচী পালন করেছে তাতে জেলা প্রশাসকের আহ্বানে চট্টগ্রাম জেলা ও নগরীতে এ প্লাটুনের সদস্যদের কাজ করতে হয়েছে।

আর গত ২৬ আগস্ট, ৩১ আগস্ট ও ৪ সেপ্টেম্বর তিন দফা অভিযান চালিয়ে এ ব্যাটেলিয়নের সদস্যরা প্রায় তিন কেজি এক’শ গ্রাম হেরোইনসহ প্রায় তিন কোটি টাকার মাদকদ্রব্য উদ্ধার করেছে।

আসন্ন ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে নগরীতে ভোগপণ্যের মজুদ করা হচ্ছে কিনা, কৃত্রিমভাবে দাম বাড়ানো হচ্ছে কিনা সে বিষয়ে গোয়েন্দা নজরদারি করা হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট সুত্র জানিয়েছে।






Shares