Main Menu

‘নন ওয়েস্ট কস্ট’-র ১৭ লাখ টাকা ভাগবাটোয়ারা:সরাইলে কর্মসৃজন প্রকল্পে হরিলুট

+100%-

মোহাম্মদ মাসুদ, সরাইল থেকেঃব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে কর্মসৃজন প্রকল্পের (প্রথম ধাপ) শ্রমিকের ৬০ লক্ষাধিক টাকা লুটপাট করেও তৃষ্ণা মিঠেনি প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের। এবার কাজ না করে ‘নন ওয়েস্ট কস্ট’র ১৭ লাখ টাকা ভাগবাটোয়ারা করে নিয়েছে পিআইও ও জন প্রতিনিধিরা। সমান দুই ভাগ হয়েছে ওই টাকা। অসহায় নিঃস্ব দরিদ্র শ্রমিকদের টাকা লুটপাটের পর ‘নন ওয়েস্ট কস্ট’র টাকা হরিলুটের বিষয়টি প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলেছে পুরো প্রকল্পকে।

প্রকল্প সংশ্লিষ্ট লোকজন ও তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের ৪৩টি প্রকল্পের কাজ রক্ষণাবেক্ষন করার জন্য ব্যয় ধরা আছে ১৭ লক্ষাধিক টাকা। প্রত্যেক ইউনিয়ন পাবে গড়ে ২ লক্ষাধিক টাকা। প্রকল্পের মাটি রক্ষার জন্য ছোট কালভার্ট, দেওয়াল, বাঁশ, মলি ও তরজা দিয়ে প্রটেকশন দেওয়ার জন্যই দেয়া হয়েছে এ বরাদ্ধ। কিন্তু বাস্তবে প্রকল্প গুলোতে এ ধরনের কোন কাজই হচ্ছে না। কিছু ইউনিয়নে কর্মসৃজন প্রকল্পের কাজের কোন অস্তিত্বই নেই। শ্রমিকের সংখ্যায় নয়ছয় করে পিআইও এবং জনপ্রতিনিধিরা ৬০ লক্ষাধিক টাকা পকেটে ঢুকিয়েও তৃপ্ত নন। তাদের দৃষ্টি চলে গেছে নন ওয়েস্ট কস্টের টাকার দিকে। নিরবে নিভৃতে উভয় পক্ষের মধ্যে চলে কানা ঘুষনা। দর কষাকষির পর সিদ্ধান্ত হয় ওই টাকা ভাগবাটোয়ারার। গোপন চুক্তি হয় পিআইও অফিসের কর্তাবাবু ও জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে। ১৭ লক্ষাধিক টাকার মধ্যে ৮ লক্ষাধিক টাকা রেখে দিবেন পিআইও। শর্ত কাজের তদারকিতে যাবেন না পিআইও অফিসের কেউ। গেলেও সেটা হবে লোক দেখানো। বাকী ৮ লক্ষাধিক টাকা পাবে ৯ ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধিরা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক জন প্রতিনিধি বলেন, শুধু কাগজে কলমে শ্রমিক দেখিয়ে লাখ লাখ টাকা কামাই করেও ক্ষিধা মিঠেনি পিআও’র। নন ওয়েস্ট কস্টের টাকা থেকে প্রথম পিআইওকে বিশ ভাগ টাকা দেওয়ার কথা হয়েছিল। পরে দর কষাকষি করে ৫০ ভাগ টাকা আদায় করে নিয়েছেন তিনি। কিভাবে কাজ করব বুঝি না। গত ২০/৩০ বছরের মধ্যে এমন ঘুষ বাণিজ্যের পিআইও দেখিনি। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মোঃ আবুল কালাম মিয়াজী বলেন, নন ওয়েস্ট কস্টের কিছু টাকা দিয়েছি। কাজ চলছে। টাকার ভাগবাটোয়ারার বিষয়টি আমার জানা নেই।     






Shares