Main Menu

সরাইলে বর্ষ বরনে জাটকা, পান্তা-ইলিশ নিয়ে অতিথিদের ক্ষোভ

+100%-

প্রতিনিধিঃ এবার সরাইলে বর্ষ বরনে জাটকাই ছিল প্রধান ভরসা। আবার পান্তা ইলিশ না পাওয়ায় আমন্ত্রিত অতিথিরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। খাবার না পেয়ে মুঠো ফোনে সাংবাদিকদের কাছে নালিশ করেন পুলিশ সদস্যরা। আনন্দ শোভা যাত্রায় রামদা প্রদর্শনের বিষয়টি আলোচিত হচ্ছে সর্বত্র। নিরব চাঁদা আদায়ের পর ও সরব ছিল চেয়ারম্যান এবং কর্মকর্তাদের উপর দায়িত্ব চাপিয়ে দেওয়ার বিষয়টি। অনুষ্ঠানের টাকায় কর্তা ব্যাক্তিদের দামী পাঞ্জাবী ক্রয়ের নাটকটি ও চাউর রয়েছে গোটা সরাইলে। উপ কমিটির আহবায়কই জানেন না কি ভাবে আয়োজন হচ্ছে। উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, গত রোববার সরাইল উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত বর্ষ বরনের প্রধান কর্মসূচী ছিল পান্তা ইলিশ ভোজ। সাথে ছিল কর্মকর্তাদের দেয়া হরেক রকম ভর্তা। আমন্ত্রিত অতিথি ছিল শতাধিক। সরেজমিনে দেখা যায়, ইলিশের পরিবর্তে জাটকা ভাজা খাওয়ানো হচ্ছে। তাও আবার স্বল্পতার কারনে সকল অতিথিকে জাটকা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। বিষয়টিকে কেন্দ্র করে বেশ কয়েক জন অতিথি ক্ষোভে ফেটে পড়েন। পাকশিমুল ইউপি চেয়ারম্যান কাজী মোজাম্মেল হক বলেন, আমার উপর অর্পিত চিংড়ি ও ভর্তা দেয়ার দায়িত্ব ৫ হাজার টাকা খরচ করে পালন করলাম। খাবার সময় আমি পেলাম জাটকার ছোট একটি টুকরা। যা চোখে দেখাও কষ্টকর। আ’লীগ নেতা আবুল হোসেন বলেন, কয়েকজন অতিথি ও চেয়ারম্যানকে জাটকার বিষয়টি নিয়ে আক্ষেপ করতে শুনেছি। দাওয়াত করে এনে তারা অনেককে খাবার দিতে পারেনি। এটা সত্যিই লজ্জার কথা। সরাইল থানার উপ-সহকারি পরিদর্শক (এ এস আই) মোঃ ইসমাইল মিয়া মুঠো ফোনে বলেন, এস আই, এ এস আই ও কন্সটেবল সহ ৮ জন পুলিশ ডিউটি করছি। আমাদের ভাগ্যে উপজেলার পান্তা ভাত জুটেনি। অরুয়াইল ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মিজানুর রহমান বলেন, পদ্মার ইলিশ ২৮ হাজার টাকা কেজি। এ ছাড়া পাওয়াও দুস্কর। তাই স্থানীয় জেলেদের দিয়ে মেঘনা থেকে ইলিশ ম্যানেজ করেছি। এ গুলি জাটকা কিনা জানি না। তবে ৬/৭ টি মাছে এক কেজি হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলেরা জানায়, ১১/১২ টি মাছ কেজিতে উঠে। এ গুলিকে আমরা জাটকা বলেই জানি। উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও খাবার ব্যবস্থাপনা উপ- কমিটির আহবায়ক  হাজী ইকবাল হোসেন বলেন, আমি শুধু কাগজে আহবায়ক। আসলে খাবারের বিষয়ে আমাকে কোন কিছুই জানায়নি আয়োজকরা।






Shares