সরাইলে দাফনের ২ মাস পর কবর থেকে শিশুর লাশ উত্তোলন



মোহাম্মদ মাসুদ, সরাইল ॥ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আদালতের আদেশে আজ সোমবার(১৭ আগষ্ট) বিকালে সরাইল উপজেলা সহকারী কমিশনার ( ভূমি) ও ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা প্রিয়াংকা ও সরাইল থানা তদন্ত কর্মকর্তা মো:শফিকুল ইসলাম উপস্থিতিতে উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের কাটানিসার গ্রামের কবরস্থান থেকে লাশ উত্তোলন করা হয়।
পরে ময়না তদন্তেরর জন্য লাশটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া পাঠানো হয়। নিহত বায়েজিদ সরাইল উপজেলার কাটানিসার গ্রামের মো. হেলাল মিয়ার ছেলে।
জানা যায়, গত ১৩মে ২০২০ কাটানিসার গ্রামের মাসুক মিয়ার পুকুরের ঘাটলায় রক্তাত্ত অবস্থায় বায়েজিদ(৮)কে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে নিয়ে ভত্তি করলে বায়েজিদের অবস্থা অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মারা যায়। পরে বায়েজিদকে চেয়ারম্যানের সহযোগিতায় ময়না তদন্ত ছাড়াই তার গ্রামের কবরস্থানে দাফন করেন। নিহত বায়েজিদের বাবা হেলাল মিয়া মৃত্যু ২ মাস পর বাদী হয়ে গত ১৯ জুলাই ২০২০ ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতে ১০ জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা করেন। ২১জুলাই ২০২০ আদালত লাশ কবর থেকে উত্তোলন করে ময়না তদন্তে আদেশ দেন।
মামলার বাদী নিহতের পিতা হেলাল মিয়া অভিযোগে বলেন, তার ছেলে বায়েজিদকে প্রতিবেশী মাসুক মারধর করে তাদের বাড়ির পুকুরের ঘাটলাযয় ফেলে চলে যায়। নিহত পিতা হেলাল মিয়া ঘটনার ২ মাস পর ঘটনা জেনে এই মামলা করেছেন বলে উল্লেখ করেন।
সরাইল উপজেলা সহকারী কমিশনার ( ভূমি) ও র্নিবাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা প্রিয়াংকা বলেন, আদালতের আদেশে সোমবার লাশটি কবর থেকে উত্তোলন করা হয়।