Main Menu

নবীনগরে শিক্ষক আবু কায়েছ এর মুক্তির দাবীতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা 

+100%-
মিঠু সূত্রধর পলাশ, নবীনগর প্রতিনিধি:: গ্রাম্য আধিপত্য বিস্তারের ঘটনায় খুনের মামলায় কারাগারে আটক ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার গৌরনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) মো. আবু কায়েছ এর মুক্তির দাবীতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্টিত হয়েছে।
আজ ১৬ আগষ্ট রবিবার সকালে সচেতন নাগরিক সমাজের ব্যানারে গৌরনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গন ও তাঁর নিজ গ্রাম সাতঘর হাটিতে এ মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্টিত হয়।
মানবন্ধনে অংশ নেয়া স্থানীয়রা বলেন, একজন স্বনামধন্য প্রধান শিক্ষক যদি মামলার মিথ্যা আসামী হয়ে কারাগারে যেতে হয়, তাহলে সাধারণ মানুষের কি অবস্থা হবে? তাঁরা বলেন পা কাটা উল্লাস করা আলোচিত হত্যাকান্ডের বিচার দেশের সকলেই চাই। কিন্তু হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত নয় এমন কেউ সাজা পাক এইটা কেউ মানবে না। কারন পা হারানো লোক আহত অবস্থায় জবানবন্দি দিয়েছে। নিহত মোবারক মৃত্যুর আগে তাকে কারা হামলা করে তার পা কেটে নিয়েছে তাদের নাম বলেছে। জবানবন্দীতে কায়েছ মাষ্টার বা তাঁর গ্রামের নাম নিহত মোবারক উল্লেখ করেনি। তারপরেও মিথ্যা ও প্রতিহিংসামূলকভাবে তাঁকে এবং নিরপরাধ-নির্দোষ একাদিক ব্যাক্তিকে এ মামলার আসামী করা হয়েছে। আমরা মেধাবী শিক্ষক কায়েছ মাষ্টার সহ ঘটনার সাথে জড়িত নয় এমন সকলের নাম মামলার এজাহার থেকে বাদ দেয়ার জোর আবেদন জানাচ্ছি মহামান্য আইন প্রশাসনের নিকট।
গৌরনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি মোঃ রজ্জব আলী বলেন, কায়েছ মাষ্টার অত্যন্ত ভাল লোক। উনাকে কোনদিন ধমকের সুরে কথা বলতে দেখিনি। আমাদের গ্রামের মত নাজুক পরিবেশের বিদ্যালয়টির হাল ধরে রয়েছেন চাকুরী জীবনের শুরু থেকেই। গত মঙ্গলবার তিনি অফিসিয়াল কাজ শেষ করে নিজ গ্রাম সাতঘর হাটিতে গেলে পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে। আমি চাই উনাকে দ্রুত মামলা থেকে অব্যহতি দেওয়া হোক।
পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থী নিলা আক্তার সহ তার সহপাটিরা বলেন, আবু কায়েছ স্যার আমাদের শিক্ষক। তিনি জাতি গড়ার কারিগর। তিনি আমাদের ভালভাবে শিক্ষা দেন। তিনি কখনো মানুষ হত্যার সাথে জড়িত হতে পারে না।  আমরা আমাদের আবু কায়েছ স্যারের দ্রুত মুক্তি চাই, কারন তিনি মানুষের সকল বিপদ-আপদে এগিয়ে আসেন। পাশের গ্রামের হত্যাকান্ডে তাঁকে ফাসানো হয়েছে। আমরা দ্রুত আমাদের স্যারের মুক্তি চাই।
উল্লেখ যে, গত ১২ এপ্রিল বিবদমান চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান ও সর্দার আবু কাউছার মোল্লার সমর্থকদের মধ্যে গোষ্ঠিগত দাঙ্গায় মোবারক নামে এক ব্যাক্তির পা কেটে নিয়ে যায় প্রতিপক্ষের লোকজন। আহত অবস্থায় তিনি (মোবারক) তাঁর হত্যার সাথে জড়িতদের নাম বিডিও ফুটেজে বলে গেলে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। পরদিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মোবারক মৃত্যুবরণ করলে তাঁর চাচাত ভাই চাঁন মিয়া বাদী হয়ে ১৫২ জনের নাম উল্লেখ করে নবীনগর থানায় মামলা দায়ের করে।





Shares