Main Menu

প্রধানমন্ত্রীর এ মানবিক সহায়তা কোনো দান নয়, এটি আপনাদের (দরিদ্র-অসহায়) অধিকার –মোকতাদির চৌধুরী এমপি

+100%-

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হওয়া তান্ডব রুখতে না পারায় ক্ষমা চেয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র. আ. ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেছেন, যাদের কাছে আশা করেছিলাম শিষ্টাচার, ভদ্রতা, যারা আমাদের শিক্ষা দেবে কীভাবে সভ্য হয়ে চলা উচিত এবং যারা মানুষকে ধর্মীয় শিক্ষা দেবে- যখন দেখি তাদের লোক এসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল ও পুলিশের এপিসি খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে ভেঙেছে এবং আগুন দাউ দাউ করে জ্বলা সত্ত্বেও ফায়ার সার্ভিস নির্বিকার ছিল, এটা যখন দেখি এবং আমি কিছু করতে পারিনা- তখন আপনাদের প্রতিনিধি হিসেবে আমি লজ্জা পাই, আমার মাথা হেঁটে হয়ে আসে। আপনারা আমাকে ক্ষমা করবেন।
গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে দরিদ্র ও অসহায়দের জন্য প্রধানমন্ত্রীর মানবিক সহায়তা প্রদান উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভা কর্তৃপক্ষ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের বিরোধীতা করে গত ২৬ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক তান্ডব চালায় হেফাজতে ইসলামের কর্মী-সমর্থকরা।
সাংসদ মোকতাদির চৌধুরী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর এ মানবিক সহায়তা কোনো দান নয়, এটি আপনাদের (দরিদ্র-অসহায়) অধিকার। এটি আপনাদের প্রাপ্য। যে প্রাপ্যের বৃহৎ অংশ আমরা (জনপ্রতিনিধি) চুরি করে খাই। গরীব মানুষ পায়না। সেই গরীব মানুষদের কিছু দান-খয়রাত করে আমরা নিজেদের অপরাধ ঢাকতে চাই। আমাদের অপরাধ আমরা ঢাকতে পারব কিনা- জানিনা। আপনারা আমাদের কীভাবে দেখবেন আমরা জানিনা। আমি বারবার আপনাদের কাছে ক্ষমা চাই’।
উপকারভোগীদের উদ্দেশ্য করে সাংসদ বলেন, ‘আজকে যে আপনারা দরিদ্র অবস্থায় আছেন। আপনারা যে সহায়তা নেওয়ার জন্য এসেছেন- এটার জন্যও আমরা যারা রাষ্ট্র চালাই, দেশ চালাই এবং যারা দেশের মুরুব্বী বলে দাবি করেন- তারাও দায়ী। সকল মানুষের জন্য আমরা অন্য, বস্ত্র ও শিক্ষার ব্যবস্থা করতে পারিনি- সেটার জন্যও আমরা দায়ী’।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার মেয়র নায়ার কবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খাঁন, পুলিশ সুপার মো. আনিসুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল মামুন সরকার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন জামি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া টেলিভিশন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মনজুরুল আলম প্রমুখ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংরক্ষিত কাউন্সিলর হোসনে আরা বেগম, শাহানা বেগম, মিনারা বেগম, নিলুফা ইয়াছমিন, কাউন্সিলর মোঃ জামাল হোসেন, শেখ মোঃ মাহফুজ মিয়া, আক্তার হোসেন চৌধুরী, মিজানুর রহমান, মোঃ আবদুল মালেক, ওমর ফারুক জীবন, ফারুক আহমেদ, মীর মোঃ শাহীন মিয়া, মোঃ ফারুক মিয়া, মোঃ কাওসার মিয়া, মোঃ সাকিল, মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম, নির্বাহী প্রকৌশলী নিকাশ চন্দ্র মিত্র, সচিব মোঃ সামছুদ্দিন, হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মোঃ গোলাম কাউছার, সহকারী প্রকৌশলী কাউছার আহমেদ, বস্তি উন্নয়ন কর্মকর্তা মুখলেছুর রহমান প্রমুখ।
পরে আলোচনা শেষে অতিথিবৃন্দরা অসহায় ও দুস্থদের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর মানবিক সহায়তা হিসেবে নগদ অর্থ বিতরণ করেন। পৌর এলাকার ৪০০ পরিবারকে ৫০০ টাকা করে দেওয়া হয় অনুষ্ঠানে।






Shares