নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্ধুদ্ধ হয়ে দেশকে ভালোবাসতে হবে, অন্যায় ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে —–জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খাঁন
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবার ও খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে সার্কিট হাউজ সম্মেলন কক্ষে এই সংবধর্না অনুষ্ঠিত হয়।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ রুহুল আমীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খাঁন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনিসুর রহমান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি নায়ার কবির, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর চেয়ারম্যান যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল ওয়াহিদ খান লাভলু, জেলা জাসদ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এড. আখতার হোসেন সাঈদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়াছেল সিদ্দিকী, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম ভূইয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা এড. হামিদুর রহমান, সাবেক উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আলহাজ্ব আবু হোরায়রাহ্, খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের পক্ষে বক্তব্য রাখেন ইখতিয়ার হোসেন, এড. এনামুল হক কাজল, রেহেনা আক্তার প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জেলা শিল্পকলা একাডেমি’র সাধারণ সম্পাদক এস আর এম ওসমান গণি সজীব। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ৬ জন শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবার এবং ৪ জন খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাকে সংবধর্না দেয়া হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খাঁন বলেন, মুক্তিযোদ্ধাগণ আমাদের অহংকার। তাদের বীরত্বেই এই দেশ স্বাধীন হয়েছে। আমরা পেয়েছি স্বাধীনতা। তিনি বলেন, হয়ত বা আগামী ৩০/৩৫ বছর পর এমনভাবে এখানে উপস্থিত মুক্তিযোদ্ধাগণদের আর না-ও পেতে পারি। আজ যে সকল মুক্তিযোদ্ধাগণ বক্তব্য রাখছেন, একদিন হয়ত তারা থাকবে না। তিনি জীবিত সকল মুক্তিযোদ্ধাগণদের দীর্ঘায়ু ও সু-স্বাস্থ্য কামনা করেন। তিনি আরো বলেন, এক সময় মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে বিকৃত করা হয়েছিল। বাংলাদেশকে ভুল পথের দিকে নেয়া হয়েছিল। বর্তমান সরকারের আমলে মানুষ মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানতে পেরেছে। তিনি বলেন, আমাদের নতুন প্রজন্মের মাঝে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে হবে। তারা যেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্ধুদ্ধ হয়ে দেশকে ভালোবাসতে পারে, অন্যায় ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে পারে।